জুতো-লাঠি দিয়ে মার থেকে গায়ে গরম জল দেওয়া, জানুন সেওয়াগের জীবনের অজানা কাহিনি
হরিয়ানার জাট পরিবারে জন্ম ভারতের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগের। ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি সেওয়াগের ভালোবাসা ছিল। যেই সময় শিশুরা অন্য খেলনা দিয়ে খেলত, সেই সময় থেকেই ব্যাট নিয়ে খেলা করতেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ। মাত্র ১২ বছর বয়সে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে নিজের দাঁত ভেঙে ফেলেছিলেন বীরু। তারপর ক্রিকেটের প্রতি প্রেম ও যোগ্যতার জোরেই ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন সেওয়াগ। কিন্তু ছেলেবালায় এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন সেওয়াগ যার জন্য তাকে জুতো-লাঠি দিয়ে মার খেতে হয়েছিল। চলুন সেওয়াগের জীবনের সেই অজানা কাহিনি।
- FB
- TW
- Linkdin
বীরেন্দ্র সেওয়াগরা চার ভাই বোন। সেওয়াগ তৃতীয় সন্তান। মঞ্জু ও অঞ্জু সেওয়াগের দুই বড় বোন। সেওয়াগের ছোট ভাইয়ের নাম বিনোদ।
শুধু চার-ভাইবোন নয়, সেওয়াগরা যৌথ পরিবারে থাকতেন। সেওয়াগদের পরিবার ছাড়াও তাদের সঙ্গে থাকতেন তাদের কাকারাও। আমরা সবাই নিজেদের মধ্যে ক্রিকেট খেলতাম।
বীরু বারো বছর বয়সে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে নিজের দাঁত ভেঙে ফেলেন। যার পরে বীরেন্দ্র সেওয়াগের বাবা কিষাণ সেওয়াগ বীরুর খেলা বন্ধ করে দেন।
সেওয়াগ জানিয়েছেন অতিরিক্ত খেলার জন্য ও পড়াশোনা না করার জন্য একাধিক তার মা তাকে মেরেছিলেন। এক বার জুতো দিয়েও সেওয়াগকে পিটিয়েছিলেন তার মা। তবে তা খেলার জন্য নয়।
সেওয়াগ জানিয়েছেন, ছোট বেলায় আমি একবার আমার বাবার বিড়ির প্যাকেট চুরি করেছিলাম। বাড়ির সামনে হাসপাতালের দেওয়ালে বসে আমি ও আমার ভাই ও কাকার ছেলেরা একসঙ্গে বিড়ি খাচ্ছিলাম।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই সময় মায়ের কাছে ধরা পড়ে যান সেওয়াগ। তারপর তাদের জুতো ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছিল।
এছাড়াও বীরেন্দ্র সেওয়াগের মা জানিয়েছেন সেওয়াগ স্কুলেও যেতে চাইত না। স্কুলে যাওয়ার সময় নানা ধরনের নাটক করত। সেই সময় ওর গায়ে গরম জল ছিটিয়ে দেওয়া হত।
সেওয়াগ ছোট বেলায় এতটাই দুষ্টু ছিল যে তার মা সামলাতে হিমসিম খেত। সেওয়াগকে শাসক করার জন্যই কঠোর শাস্তির দিতেন তার মা।
ছোট বেলায় খুব দুষ্টু থাকলেও, ক্রিকেট খুব মনোযোগ সহকারে খেলতেন। তিনিই ভারতের একমাত্র ক্রিকেটার যার টেস্টে ক্রিকেট ৩০০ রান রয়েছে। একটি নয় দুটি তিনশো রান রয়েছে সেওয়াগের।
ছোটবেলার স্মৃতি এখনও সেওয়াগকে নস্টাসজিয়ায় নিয়ে যায়। ক্রিকেট জীবনে সাফল্যের জন্য মায়ের শাসন ও ভালোবাসাকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন নজবগড়ের নবাব।