৮০০ কোটি টাকার মালিক,সেই ধোনিরও বাজারে রয়েছে ১৮০০ টাকার দেনা,গল্প নয় সত্যি
আইপিএল ২০২০ শুরু হতে চলেছে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে। আইপিএল শুরুর আগে নামী খেলোয়াড়দের কোটি কোটি টাকায় কেনা হয়। চেন্নাই সুপার কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজি এক মরসুমের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ১৫ কোটি টাকা দেয়। এই ক্রিকেটাররা আইপিএল চলাকালীন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে থাকে। তাই আমরা যদি বলি যে মহেন্দ্র সিং ধোনির বাজারে দেনা রয়েছে,তবে আপনি কি তা বিশ্বাস করবেন? কিন্তু এটাই সত্যি। আর সেই দেনার পরিমাণ শুনলে আরও চমকে যাবেন। মাত্র ১৮০০ টাকা।
- FB
- TW
- Linkdin
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এক বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করেন। ২০১৩ সালে ধোনি সর্বাধিক উপার্জনকারী ক্রিকেটার হয়েছেন। তথ্য অনুসারে ধোনি এক বছরে ১৯২ কোটি টাকারও বেশি আয় করেন।
রাঁচির একটি ছোট্ট জায়গা থেকে উঠে আসা এমএস ধোনি ক্রিকেটে প্রচুর খ্যাতি ও টাকা অর্জন করেছেন। খেলাধুলা ও বিজ্ঞাপনে ধোনির কোটি টাকা আয় হয়। যা অন্যান্য ক্রিকেটাদরদের থেকে অনেকটাই বেশি।
২০২০-র মার্চ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী যাঁর সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ৮০০ কোটি টাকা, বাজারে তাঁরই কিনা দেনা রয়েছে ১৮০০ টাকা! হাস্যকর মনে হলেও এটাই সত্যি। তবে আক্ষরিক অর্থে বাজারে নয়, মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে থেকে এই অল্প পরিমাণ অর্থ পাওনা রয়েছে ঝাড়খণ্ড স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের।
গত রবিবার অনলাইন জেনারেল মিটিংয়ের সময় ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থা ২০১৯-২০'র যে অ্যানুয়াল রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে উল্লেখ করা রয়েছে ধোনির কাছ থেকে এই পাওনা অর্থের কথা। আসলে আজীবন সদস্যপদের জন্য ধোনি ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন ক্রিকেট সংস্থাকে, তাঁর ১৮ শতাংশ জিএসটি বাবদ ১৮০০ টাকা এখনও পাওয়া যাবে তারকা ক্রিকেটারের কাছ থেকে।
ধোনিকে অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপিত হয় গতবছর সেপ্টেম্বরে। পরের মাসেই বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। গত জুলাইয়ে ধোনি জেএসসিএর লাইফ মেম্বার হন। তাঁর জন্মদিনের ২ দিন আগেই ধোনিকে লাইফ মেম্বারশিপ প্রদান করে ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থা।
১৮০০ টাকার বকেয়া ধোনির পক্ষে বড় বিষয় নয়, তবে জেএসসিএর রিপোর্টের পরে এই বিষয়টি অবশ্যই ধরা পড়েছে। যা সত্যিই অবাক করেছে সকলকে।