Sex Scandal, শুধু টিম পেন নয়, বেপরোয়া যৌন জীবনে কলঙ্কিত অসংখ্য ক্রিকেটার
- FB
- TW
- Linkdin
টিম পেইন-
যৌন কেলেঙ্কেরী বিতর্কে জড়িয়ে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের (Australia Cricket Team) অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ছেড়েছেন টিম পেইন (Tim Paine)। ২০১৭ সালে গাব্বায় অ্যাসেজ সিরিজি চালাকীলন এক মহিলা কর্মীর সঙ্গে অশ্লীল চ্যাট করেন পেন। পাশপাশি নিজের যৌনাঙ্গে ছবিও শেয়ার করেন পেইন। প্রাথমিকভাবে ওই মহিলা কোনও অভিযোগ না জানালেও, ২০১৮ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে বিষয়টি জানানও ওই মহিলা। তদন্তও শুরু হয়। সেই সময় নির্দোষ প্রমাণিত হলেও,সম্প্রতি বিষয়টি আবারও সামনে সামনে আসে ও শুক্রবার নিজের অপরাধ স্বীকার করে পেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
কী ছিল সেই সেক্স চ্যাটে-
ফাঁস হয়েছে সেই চ্যাটও। ম্যাসেজগুলি ২০১৭ সালে ২২ ও ২৩ নভেম্বর পেইন এবং ওই মহিলার মধ্যে চালাচালি হয়। সেখানে অনেকটা পর্ন ভিডিয়োর স্ক্রিপ্টগুলির মতো মহিলাটি পেনের বিষয়ে ‘দুষ্টু চিন্তাভাবনা করা’ এবং নিজেকে ‘খারাপ মহিলা’ বলার পাশপাশিও বেশ কিছু যৌন উস্কানিমূলক কথা বলেন। একটি ম্যাসেজে পেইন লেখেন, ‘ওই ঠোঁট দিয়ে আমার কাজটা শেষ করে দাও!’ তবে মহিলাটি কাজে বেরোনোর কথা বলতে বলতেই তাঁর কথা অনুযায়ী উত্তেজনার চরমে পৌঁছে নিজের পুরুষাঙ্গের ছবি পাঠান সদ্য প্রাক্তন অজি অধিনায়ক। ঘটনায় বিবৃতি প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন পেন।
শেন ওয়ার্ন
তবে শুধু টিম পেইন নয়, অস্ট্রেলিয়ার একাধিক ক্রিকেটারের নাম জড়িয়েছে যৌন কেলেঙ্কারিতে। শেন ওয়ার্নের নাম সব থেকে বেশিবার ওঠে এসেছে। তখন ২০০০ সাল। স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়া দলের ডেপুটি ছিলেন ওয়ার্ন। সেই সময়ে ব্রিটিশ নার্স ডোনা রাইটকে পাঠানো ওয়ার্নের যৌন উত্তেজনামূলক ফোনবার্তা ফাঁস হয়। সামনে আসে একাধিক অশ্লীল মেসেজও। যার ফলস্বরূপ সহ অধিনায়কের পদ খোয়াতে হয় ওয়ার্নকে। এর ঠিক তিন বছর পরে আবারও যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়ান ওয়ার্ন। ২৫ বছরের এক মডেলের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। পরবর্তীতে সেই মডেল আবার শেনের ফিটনেসের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ২০০৬ সালে ফের এক বার যৌন বিতর্কে উঠে আসে ওয়ার্নের নাম। এমনকী কেরিয়ার শেষ করেও নারী কেলেঙ্কারির 'নেশা' ছাড়তে পারেননি ওয়ার্ন।
নাথান লায়ন
অজি তারকা স্পিনার নাথান লায়নের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী মেল ওয়ার্নিং। ব্লগ অ্যাকউন্টে মেল ওয়ার্নিং লিখেছিলেন, অতিরিক্ত ওজন এবং মোটা হওয়ার কারণে তাকে ডিভোর্স দেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার! অবশ্য এই ডিভোর্সের আগে থেকেই এম্মা ম্যাকার্থি নামের এক তরুণীর সঙ্গে ডেট করছিলেন লায়ন। এখনও তাদের প্রেম চলছে। আগের সংসারে তাদের দুটি বাচ্চাও আছে। এই খবর সামনে আসার পর যথেষ্ট সমালোচনা হয়েছিল অজি ক্রিকেটারের।
কেভিন পিটারসন
প্রাক্তন ইংল্যান্ড তারকা কেভিন পিটারসনের বিরুদ্ধেও উঠেছিল যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। দক্ষিণ আফ্রিকার সুন্দরী ভ্যানিসা নিমোর সঙ্গে একাধিকবার সহবাসের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ভ্যানিসা জানিয়ে ছিলেন, কেপি নাকি তাকে দিনের মধ্যে বহুবার যৌনমিলনের জন্য জোর করতেন। যা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি।
ক্রিস গেইল
ক্যারেবিয়ান তারকা ক্রিস গেইলের বিরুদ্ধেও একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। ২০১২ সালের টি২০ বিশ্বকাপের সময় ক্রিস গেইলকে হোটেলের ঘরে তিন জন ব্রিটিশ মহিলার সঙ্গে হাতানাতে ধরা হয়েছিল। যা নিয়ে খুব বিতর্ক হয়েছিল। এছাড়াও মহিলা সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে গেইলের বিরুদ্ধে।
শাহিদ আফ্রিদি
'লেডি কিলার' নামে পরিচিত পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি। তার নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার বিতর্ক সকলের জানা। ২০০০ সালে করাচির এক হোটেলে এক ঝাঁক তরুণীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায় আফ্রিদিকে। ছিলেন আরও কয়েক জন পাক ক্রিকেটার। যদিও পরে আফ্রিদিদের বক্তব্য ছিল যে, করাচির হোটেলে মেয়েরা তাদের অটোগ্রাফ নিতে এসেছিল। যদিও তা বলে বিতর্ক এড়াতে পারেননি পাক তারকা।
মোহাম্মদ আকরাম এবং সাকলাইন মুস্তাক
১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল পাকিস্তানের ক্রিকেট দল। দলের সঙ্গে ছিলেন দুই নির্ভরযোগ্য বোলার মোহাম্মদ আক্রাম এবং সাকলাইন মুস্তাক। সেই সময়ে ওখানকার বিখ্যাত এক স্ট্রিপ ক্লাবে তাদের ছবি প্রকাশ্যে আসে। সেখানে কয়েক জনের সঙ্গে মারপিটও হয় দুজনের। যা নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল পাক ক্রিকেটে।
মহম্মদ শামি
যৌন নিগ্রেহের তালিকায় নাম রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ শামিরও। ক্রিকেটারের স্ত্রী হাসিন জাহানের অভিযোগ, শামির সঙ্গে একাধিক নারীর সম্পর্ক রয়েছে। হাসিনের দাবি, এ নিয়ে বলতে গেলে তার ওপরে অত্যাচারও চালিয়েছেন মহম্মদ শামি। যদিও এই বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন।
মাইক গেটিং
ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইক গেটিং জড়িয়েছিলেন বিতর্কে। লুইস শিপম্যান নামে এক নারীর সঙ্গে হোটেলের ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গিয়েছিল গ্যাটিংকে। যদিও সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই খবর অস্বীকার করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। লুইস ছিলেন এক জন মদ বিক্রেতা। এই ঘটনার ফলে বহু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল গেটিংকে।
ড্যারেল টাফি
কিউই ক্রিকেটাররাও বাদ যাননি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ থেকে। ক্রিকেটার এবং ফোন। দুই যেন একে অন্যের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। ফোন-বিতর্কে উঠে এসেছে একাধিক ক্রিকেটারের নাম। তেমনই একজন নিউজিল্যান্ডের মিডিয়াম পেসার ড্যারেল টাফি। ২০০৫ সালে ২৩ বছরের এক তরুণীর সঙ্গে তার সেক্স ভিডিও ফাঁস হয়। যদিও পরে ওই নারী টাফিকে চেনেন না বলেই দাবি করেন ও বিতর্কে ধামাচাপা পড়ে।
আসাদ রউফ
শুধু ক্রিকেটার নয়, তালিকায় রয়েছে একজন আম্পায়ারও। পাকিস্তানের আম্পায়ার আসাদ রউফের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন এক ভারতীয় মডেল। তাদের কিছু ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। যদিও রউফ অভিযোগ অস্বীকার করেছিলন। কিন্তু ছবি প্রকাশ্যে আসায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল রউফকে।