- Home
- Sports
- Cricket
- রূপের আগুনের কাছে হার মানবে নায়িকারা, চিনে নিন বিশ্বের সেরা ১২ সুন্দরী মহিলা ক্রিকেটারদের
রূপের আগুনের কাছে হার মানবে নায়িকারা, চিনে নিন বিশ্বের সেরা ১২ সুন্দরী মহিলা ক্রিকেটারদের
বর্তমানে শুধু পুরুষ ক্রিকেটার নয়, মহিলা ক্রিকেটাররাও একই রকম তারকা তকমা পাচ্ছে। স্টারডাম, লুকসের দিক থেকেও পিছিয়ে নেই মহিলা ক্রিকেটাররা। অনেকের কাছেই রোল মডেল বিভিন্ন মহিলা ক্রিকেটাররা। বিশ্বে এমন কিছু মহিলা ক্রিকেটার রয়েছে যারা রূপে টক্কর দিতে পারে নায়িকাদেরও। এক নজরে দেখে নিন বিশ্বের সেরা ১২ জন মহিলা ক্রিকেটারদের।
- FB
- TW
- Linkdin
এলিস পেরি-
এই মহিলা ক্রিকেটার রূপের গুণে সবাইকে মুগ্ধ করে রেখেছেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট টিম এবং ফুটবল টিমে একসঙ্গে অভিষেক করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন।২০০৭ সালে ক্রিকেট দলে জায়গা পান এবং তার একমাস পরেই ফুটবল টিমে জায়গা করে নেন। অসাধারণ সুদর্শনা এই মহিলা ক্রিয়াবিদ অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে তরুণী আবার দেশের প্রথম ক্রিড়াবিদ যিনি ক্রিকেট এবং ফুটবল জাতীয় দলে খেলেছেন।
লরা মার্শ-
একজন সুদর্শনা ইংলিশ ক্রিকেটার। লরার জন্ম কেন্টের পেমবুরিতে। ১১ বছর বয়স থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু। পেস বোলিং করেন। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ সিরিজে অংশ নেওয়া লরা ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে প্রথম সুযোগ পান।
হলি ফার্লিং-
২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলে অভিষেক হয় তাঁর। মিডিয়াম ফাস্ট বোলার ফার্লিং ২০১৩ মহিলা বিশ্বকাপে মাত্র ৪টি ম্যাচ খেলেছিলেন। কুইন্সল্যান্ডের হয়ে মাত্র ১৪ বছর বয়সে অভিষেকের মঞ্চে প্রথম তিন বলে হ্যাট্রিক হয়েছে তাঁর। ২০১৩ বিশ্বকাপে তাদের মহিলা ক্রিকেট দলে ফার্লিংকে দ্বাদশ সদস্য রূপেও রেখেছিল আইসিসি।
সিসিলিয়া জয়াস-
সিসিলিয়া আয়ারল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্য।তাঁর জমজ বোনও রয়েছে। ইসোবেল জয়াসও ক্রিকেটার। দুই বোনই ব্যাটসওম্যান। তাদের ৩ ভাই ডমিনিক, এড এবং গাচ আয়ারল্যান্ড পুরুষ ক্রিকেটের হয়ে খেলছে। এর মধ্যে এড আবার ইংল্যান্ড টিমের হয়েও খেলছেন।
মিতালি রাজ-
ভারত দলের অধিনায়িকা রূপসী মিতালি ব্যাটহাতে ক্রিকেট মাঠে যেমন মারাত্মক তেমনই স্প্যাগটি টপে হোটেল রুমের সেলফি দেখলে যে কেউ প্রেমে পড়ে যাবেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে ভারতীয় ক্রিকেট দলে আসা মিতালি শুরু থেকেই যেন লেজেন্ড হওয়ার জন্য ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলেন। টেস্ট ও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সমান পারদর্শী মিতালি সব সময় আলোচনায় থাকেন তার রূপের সৌন্দর্যে।
জাহানারা আলম-
সেরা সুন্দরীর এই তালিকায় স্বাভাবিক ভাবেই সবার উপরে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের বোলিং অলরাউন্ডার জাহানারা আলম। বাংলাদেশের অধিনায়ক ও ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া দলের এই সদস্য অপরূপ সৌন্দর্য্যের অধিকারী। তিনি বল ব্যাটে যেমন এশিয়া কাপ জেতাতে পারেন তেমনি আবার সৌন্দর্যে দিওয়ানা করতে পারেন দেশের লাখো তরুণকে।
স্মৃতি মান্দানা-
ভারতের জাতীও ক্রাশ হিসেবে পরিচিত স্মৃতি মান্দানা । ক্রিকেট মাঠে যে কয়জন সুন্দরী রমণী হাজারও তরুণের মন জয় করে রেখেছেন তার ভেতর অন্যতম সেরা স্মৃতি মান্দানা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তার ফ্যান ফলোয়ার্সের সংখ্যাও আকাশ ছোঁয়া।
ইশা গুহ-
ইংল্যান্ডের এই মহিলা ক্রিকেটার আবার জন্মসূত্রে বাঙ্গালী। একদশক ইংলিশ টিমের হয়ে ক্রিকেট খেলার পর অবসর নিয়েছেন ২০১২ সালে। ২০০৮-০৯ সালে মহিলাদের আইসিসি র্যাংঙ্কিয়ে এক নম্বর বলার ছিলেন। অবসর নেওয়ার পর বিবিসির স্পোর্টস ওয়েব সাইডে ক্রিকেট সংক্রান্ত কলাম লেখেন এবং আইপিএল এর সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন টিভি প্রেজেন্টার হিসাবে কাজের কল্যাণে। এখনো আছেন সকলের নজরে।
সারা টেলর-
ইংলিশ টিমের এ উইকেটকিপার ওপেনিং ব্যাটসওম্যানকে দেখলে যে কেউ মন হারিয়ে ফেলবে।২০০৮ সালে ইংল্যান্ড মহিলাদের অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হারায়, সেবার টিমের সদস্য ছিলেন সারা। সাসেক্সের হয়ে কাউন্টিও খেলেন তিনি। ২০১৩ সালে টেলর সেরা টি-২০ মহিলা ক্রিকেটারের খেতাব জিতেছিলেন।
ডেন ভ্যান নাইকারক-
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিন ফরম্যাটে খেলার পাশাপাশি দলের নেতৃত্ব দেন এই সুন্দরী তরুণী । তিনি একজন জেনুইন অলরাউন্ডার , ডান দাতে ব্যাটিং এর পাশাপাশি তিনি লেগ স্পিন করে থাকেন । ডেন ভ্যান নাইকারক এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১ টি টেস্ট ৯৯ টি ওডিআই এবং ৭৬ টি টি ২০ খেলে রান করেছেন ৩৭৬৯ ।
মিগণন দু প্রিজ-
দক্ষিণ আফ্রিকার এই মহিলা ক্রিকেটার ডানহাতি উইকেটকিপার-ব্যাটসওম্যান। ২০১১ থেকেই ২০১৬-তিন ধরনের ফরম্যাটেই জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাত্র ৪ বছর বয়স থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু মিগণনের। এছাড়া সফট বল, হকি, টেবিল টেনিসও খেলেন। শচীন টেন্ডুলকার, জন্টি রোডসের ফ্যান এই মহিলা ক্রিকেটার মার্কেটিংয়ে অনার্স গ্রাজুয়েট।
সানা মির-
পাকিস্তানের এই মহিলা ক্রিকেটারকে দেখলে অনেকে মডেল ভেবে ভুল করে বসতে পারেন। অসাধারণ সুন্দরী সানা পাকিস্তান মহিলা দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। আদতে বোলিং অলরাউন্ডার সানার নেতৃত্বেই ২০১০ ও ২০১৪ সালে এশিয়ান গেমসে সোনা জেতে পাকিস্তান।