- Home
- Sports
- Cricket
- সম্পূর্ণ পাল্টে যেতে পারে প্রতিযোগিতা, ১০ দলের IPL-এ আসতে পারে একাধিক পরিবর্তন, জানুন বিস্তারিত
সম্পূর্ণ পাল্টে যেতে পারে প্রতিযোগিতা, ১০ দলের IPL-এ আসতে পারে একাধিক পরিবর্তন, জানুন বিস্তারিত
অবশেষে সোমবার আইপিএলের (IPL) দুটি নতুন দলের নাম ঘোষণা করেছে বিসিসিআই (BCCI)। লখনউয়ের দল কিনেছেন আরপিজি গ্রুপ (RPG Group)অর্থাৎ সঞ্জীব গোয়েঙ্কার (Sanjeev Goenka)কোম্পানি। অপর দলটি আহমেদাবাদ শহরের। দলটি কিনেছেন সিভিসি গ্রুপ (CVC Capitals) । দল ৮ থেকে ১০ হওয়ায় ২০২২-আইপিএলেও আসতে চলেছে একাধিক পরিবর্তন। কেমন হতে পারে প্রতিযোগিতা জেনে নিন আপনিও।
| Published : Oct 26 2021, 06:50 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
অবশেষে সোমবার দুবাই নিলাম পর্ব শেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল আইপিএল ২০২২ এ নতুন দুটি দলের শহর ও মালিক সংস্থার নাম। একটি দলের মালিক হল সিভিসি ক্যাপিটালস ও অপর দলটির মালিকানা পেলেন আরপিজি গ্রুপ অর্থাৎ সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সংস্থা।
ফের আইপিএল দলের মালিক হিসেবে দেখা যেতে চলেছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে। নতুন দল কেনার জন্য সোমবার সব থেকে বেশি দাম দিয়ে বিড করেছে তাঁর সংস্থা আরপিজি গ্রুপ। নিলামে প্রায় ৭০৯০ কোটি দাম দিয়েছে তারা। লখনউ পেয়েছে আরপিজি গ্রুপ।
আরপিজি গ্রুপ ছাড়াও আইপিএল-এ অপর দলটি কিনতে চলেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা সিভিসি ক্যাপিটাল। তাদের বিড ৫৬০০ কোটি টাকার। আহমেদাবাদ শহরের দলটি কিনছে সিভিসি গ্রুপ। দুই সংস্থা মিলিয়ে ১২,৬৯০ কোটি টাকা আয় হবে বিসিসিআইয়ের।
দুটি নতুন দল যুক্ত হওয়ায় ২০২২ আইপিএল ১০ দলের হতে চলেছে। এর আগে ২০১১ সালে শেষবার ১০ দলের আইপিএল আয়োজিত হয়েছিল। সেবারও প্রতিযেগিতার ফর্ম্যাটে বেশ কিছু রদবদল হয়েছিল। সেই বদল দেখা যেতে পারে ২০২২ মরসুমেও।
দুটি নতুন ফ্রাঞ্চাইজি বাড়ায় আইপিএলের ম্যাচ সংখ্যা বাড়তে চলেছে। আট দলের আইপিএল-এ এখন পর্যন্ত ৬০টি করে ম্যাচ খেলা হয়, কিন্তু এবার থেকে প্রতি আইপিএল-এ ৭৪টি করে ম্যাচ দেখা যাবে। কিন্তু প্রতিটি দলের ক্ষেত্রে ম্যাচের সংখ্যা বাড়ছে না।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, এ বার আট দলের আইপিএল-এ প্রতিটি দল যেরকম সাতটি হোম এবং সাতটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলেছে, ২০২২ সালেও প্রথম পর্বে প্রতিটি দল ১৪টি করেই ম্যাচ খেলবে। প্রত্যেক দলের ম্যাচের সংখ্যা একই থাকছে।
২০১১ সালেও ১০ দলের আইপিএল হয়েছিল। সে বারও প্রতিটি দলকে রাউন্ড রবিন পর্বে ১৪টি করে ম্যাচ খেলতে হয়েছিল। সে বার ১০টি দলকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিল। সেই নিয়মইন বিসিসিআইয়ের এবার ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে।
সেক্ষেত্রে প্রত্যেক দলকে নিজের গ্রুপের বাকি চারটি দলের সঙ্গে দু’ বার করে খেলতে হয়েছিল। এ ছাড়া অন্য গ্রুপের চারটি দলের সঙ্গে একবার করে এবং বাকি দলটির সঙ্গে দু’বার করে খেলতে হয়েছিল।
স্থানীয় এবং বিদেশী মিলিয়ে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বোচ্চ চারজন খেলোয়াড়কে ধরে রাখার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। তবে সেই চার জনের মধ্যে কতজন স্থানীয় এবং বিদেশী খেলোয়াড় থাকবে তার কোনও বিবরণ দেওয়া হয়নি।
তবে এটি এখন জানা গেছে যে কোনও রাইট-টু-ম্যাচ কার্ড থাকবে না। এই নিয়মগুলি আসার সম্ভাবনাই প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিসিসিআইয়ের তরফে সরকারিভাবে এখনও কিছু ঘোষণা করা হয়নি।