বন্ধুর ঘর ভেঙে করেছেন 'বউদিকে' বিয়ে, জানুন এমন ক্রিকেটারদের কাহিনি
হিন্দিতে একটা প্রবাদ রয়েছে 'পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া'। বাংলা বলে 'ভালবাসায় অন্ধ'। সত্যিই প্রেমে পড়লে মানুষ কি না করে। এমন কিছু উদাহরণ রয়েছে তারকা ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত জীবনেও। যেখানে বন্ধুর ঘর ভাঙতে দুবার ভাবেননি তার সতীর্থ। বন্ধুর বউয়ের সঙ্গে প্রেম শুধু নয়, বিয়ে পর্যন্ত করেছেন। একই দলে খেলার কারণে একে অপরের ভাল বন্ধু হয়ে ওঠেন ক্রিকেটাররা। যাতায়াত করেন এক অপরেরে বাড়িতেও। আর সেখান থেকেই অনেকে ঘর ভাঙেন বন্ধুর। সম্পর্কে 'ভাবী' বা 'বউদি' হলেও, তাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আজ আপনাদের বলব এমন কিছু ক্রিকেটারদের ঘটনা। বিশ্ব টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে জানুন সেই কাহিনি।
| Published : Jun 05 2021, 02:13 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
ভারতীয় দলের ওপেনার মুরলি বিজয় ২০১২ সালে দীনেশ কার্তিকের প্রাক্তন স্ত্রী নিকিতা বানজরাকে বিয়ে করেছিলেন। যা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি।
দীনেশ কার্তিক ২০০৭ সালে নিকিতা বানজরাকে বিয়ে করেছিলেন, তবে তাদের সম্পর্ক কেবল ৫ বছরই টিকেছিল। বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পরে নিকিতা বানজারা মুরলি বিজয়কে বিয়ে করেছিলেন।
নিকিতা বানজারা পেশায় কাস্টিং শিল্পী ছিলেন। ৩ জন সন্তানও রয়েছে তার। নিকিতা বানজারা এবং দীনেশ কার্তিকের বাবা দুজনেই খুব ভালো বন্ধু ছিলেন, যার কারণে তারা তাদের সন্তানদের বিয়ে করা উপযুক্ত বলে মনে করেছিলেন। দীনেশ কার্তিকের ২১ বছর বয়সে নিকিতা বানজরার সঙ্গে বিয়ে হয়।
তবে জানা গিয়েছে দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে নিকিতার বিবাহ বিচ্ছেদের প্রধান কারণই হল, মুরলি বিজয়ের সঙ্গে নিকিতার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক।
বিবাহ বহির্ভত সম্পর্কের কথা দীনেশ কার্তিক জানার পর থেকেই নিকিতার সঙ্গে তার সম্পর্ক খারাপ হয়। কিন্তু শোনা যায় মুরলি বিজয় ও নিকিতা প্রেমে পাগল ছিলেন। তাই নিকিতা কার্তিকের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর মুরলি বিজয়ের সঙ্গে বিয়ে করেন।
শ্রীলঙ্কার উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গা বিয়ে করেছিলেন তিলকরত্নে দিলশানের স্ত্রী নীলঙ্কা ভিথঙ্গেকে। তিলকরত্নে দিলশানকে শ্রীলঙ্কার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
তিলকরত্নে দিলশান প্রথা অনুসারে নীলঙ্কা ভিথানেজকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাদের দুজনেরই একটি পুত্র সন্তান রয়েছে, কিন্তু কিছু বছর পর থেকে তাদের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে ও তারা বিবাহ বিচ্ছেদ করে।
কিন্তু শোনা গিয়েছে উপুল থারাঙ্গার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই দিলশান ও তার স্ত্রী মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছিল ও তারা ডিভোর্স নিয়েছিলেন।
ডিভোর্স দেওয়ার পরে একদিকে উপুল থারাঙ্গা নীলাঙ্কা ভিথানেজকে বিয়ে করেছিলেন। তিলকরত্নে দিলশান তাঁর শৈশবের বন্ধু মঞ্জুলাকে বিয়ে করেছিলেন।