- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- প্রেম করতে এসে দুই রাত কাটিয়ে টাকা ধার নিয়েছিলেন সইফ আলি খান, হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন প্রাক্তন স্ত্রী অমৃতা
প্রেম করতে এসে দুই রাত কাটিয়ে টাকা ধার নিয়েছিলেন সইফ আলি খান, হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন প্রাক্তন স্ত্রী অমৃতা
- FB
- TW
- Linkdin
১৯৯১ সালে বলিউডে আত্মপ্রকাশ। কাজলের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু বলিউডে সইফ আলি খানের প্রথম দিনগুলি খুব একটা সহজ ছিল না। কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল তাঁকে। তারপরই নিজের একটা পরিচিতি তৈরি করেছেন তিনি।
শর্মিলা ঠাকুরের ছেলে। নবাব পাতাউদির বংশধর। তারপরেই বলিউডে মাটি পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল সইফ আলি খানকে। এমন একটা সময় ছিল যখন নাকি নবাব পুত্রের কাছে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার টাকা পর্যন্ত ছিল না।
বলিউডের আত্মপ্রকাশের আগেই সইফ আলি খান প্রেমে পড়েছিলেন তাঁর থেকে বয়সে কিছুটা বড় অমৃতা সিংএর। দীর্ঘ প্রেম আর ডেটিংএর পরই চার হাত এক হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ও সইফ আলি হাত ফাঁকা ছিল।
সইফ আলি খান আর তাঁর প্রেমের দিনগুলি বড়ই সুন্দর ছিল। সিমি গারেওয়ালের অনুষ্ঠানে এসে নিজেই সেই কথা জানিয়েছিলেন অমৃতা। তিনি আরও বলেছেন নবাব পুত্র হলেও তাঁর মধ্যে কোনও বড়লোকি ছিল না। নিতান্ত মাটির মানুষ ছিলেন সইফ।
একটি ফোটোশ্যুটের আসরে অমতা আর সইফের প্রথম দেখা হয়েছিল। সেই সময় সফই আমৃতার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। ডেট করতে চেয়েছিলেন। অমৃতা বাইরে না গিয়ে তাঁকে নিজের বাড়িতেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
প্রথম দিন অমৃতার বাড়িতেই দেখা করেন সইফ। প্রথম দেখাতেই প্রেম। তাঁরা একে অপরকে চুমুও খেয়েছিলেন। একই বাড়িতে রাত কাটিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন। এক দিন নয়, সেই সময় সইফ অমৃতার বাড়িতে পরপর দুই দিন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত। সেই সঙ্গে আরও একটা মজার বিষয় জানিয়েছিলেন অমৃতা।
অমৃতা আর সইফ আলি খান সিমি গারেওয়ালের একটি টকশোতে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেই সময়ই হাটে হাঁড়ি ভাঙেন অমৃতা। জানিয়েদেন বলিউডের শুরুর দিনগুলিতে সইফ আলি খানের হাত ছিল শূন্য। টাকা পয়সা কিছুই ছিল না। আরও পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতই অবস্থা ছিল তাঁর।
অমৃতা সিং জানিয়েছেন, সেই সময় একটি ফোটেশ্যুটে গিয়েছিলেন সইফ। তাঁর বাড়ি থেকেই গিয়েছিলেন। কিন্তু নবাব পুত্রের কাছে টাকা ছিল না। আর সেই কারণে সইফ অমৃতার কাছ থেকে ১০০ টাকা ধারও নিয়েছিলেন। যা অবশ্যই পরে তিনি ফেরত দিয়েছিলেন।
সফই আলি খানের নিজস্ব কোনও গাড়ি ছিল না। প্রোডাকশনের গাড়িতে করেই যাতায়াত করতেন। অমৃতা জানিয়েছিলেন তাঁর বাড়ি থেকে ফোটোশ্যুটে যাওয়ার সময় অমৃতা তাঁর গাড়ি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তা নেননি সইফ। জানিয়েছিলেন প্রোডাকশনের গাড়ি তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে। অমৃতার গাড়ির কোনও প্রয়োজন নেই।
সইফইকে প্রথম দেখাতেই পছন্দ করেছিলেন অমৃতা। তিনি নিজে মুখেই জানিয়েছেন, সইফকে গাড়ি অফার করা সময় তিনি বলেছিলেন, তাঁর গাড়ি যেন নিয়ে যান। তাহলে গাড়ি ফেরত দেওয়ার সময় আবার তাদের দেখা হবে। কিন্তু সইফ জানিয়েছিলেন এমনিতেই তিনি অমৃতার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন। গাড়ির কোনও দরকার হবে না।