- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- পরিণতি পেতে চলেছে নয়নতারা ও বিঘ্নেশ শিবনের প্রেম, রইল তাদের প্রেম জীবনের অজানা কাহিনি
পরিণতি পেতে চলেছে নয়নতারা ও বিঘ্নেশ শিবনের প্রেম, রইল তাদের প্রেম জীবনের অজানা কাহিনি
আর মাত্র কটা ঘন্টার অপেক্ষা। তারপরই পরিণতি পাবে সাত বছরের প্রেম। আগামী কাল অর্থাৎ ৯ জুন সাত পাকা বাঁধা পড়তে চলেছেন নয়নতারা ও বিঘ্নেশ শিবন। মহাবলিপুরমের একটি রিসর্টে বিয়ে করবেন তারা। বেশ কিছুদিন আগে চেন্নাইয়ের একটি সম্মেলনে নয়নতারা ও বিঘ্নেশ শিবন তাদের বিয়ের কথা ঘোষণা করেন। সেদিন বিঘ্নেশ শিবন বলেছিলেন, পেশার ক্ষেত্রে যেমন আমি আদর্শ মেনে চলি, তেমনই ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও তাই। আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে পা রাখতে চলেছি। ৯ জুন আমি ও আমার প্রেম বিয়ে করছি। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের উপস্থিতিতে বিয়ে হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা তিরুপথি মন্দিরে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছি। কিন্তু, কিছু সমস্যার কারণে তা হয়নি।
| Published : Jun 08 2022, 03:02 PM IST / Updated: Jun 08 2022, 03:08 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
এর পর তিনি জানিয়েছিলেন বিয়ের দিন বিকেলে তাঁরা ছবি শেয়ার করবে। আর এও জানান ১১ জুন বিকেলে নয়নতারা ও বিঘ্নেশ শিবন মিডিয়ার সামনে আসতে চলেছে। কদিন আগে এমনভাবেই নিজেদের বিয়ের কথা ঘোষণা করেন নয়নথারা ও বিঘ্নেশ শিবন। জানা গিয়েছে, রজনীকান্ত, কমল হাসান, চিরঞ্জীবী, সুরিয়া, অজিথ, কার্তি, বিজয় সেতুপতি, সামান্থা প্রভু থাকতে পারেন তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানে।
নয়নতারা ও বিঘ্নেশ শিবনের প্রেম সব সময়ই থেকেছে খবরে। দুজনের সম্পর্কের কথা কারওই অজানা ছিল না। তবে, জানেন কি কীভাবে শুরু হয়েছিল এদের প্রেম। তামিল সিনেমার অন্যতম সেরা পরিচালকের তালিকায় স্থান পান বিঘ্নেশ শিবন। অন্যদিকে নয়নথারাও একজন সফল অভিনেত্রী। জানা যায়, দুজনের সম্পর্ক শুরু ২০১৫ সালে।
২০১৫ সালে নানুম রাইডি ধানের সেটে প্রেম শুরু হয় দুজনের। সেই ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন বিঘ্নেশ শিবন। আর প্রধান নায়িকা চরিত্রে দেখা যায় নয়নতারাকে। ছবির সেটেই দুজনের আলাপ। তারপর বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হতে বেশি সময় লাগেনি। এবার সেই প্রেম পরিণতি পাওয়ার পালা। আগামীকাল সাত পাকে বাঁধা পড়বেন তারা।
বিঘ্নেশ শিবনে একজন পুলিশ কর্মীর ছেলে। বাবা ও মা দুজনেই পুলিশকর্মী ছিলেন। বিঘ্নেশ শিবনা ময়লাপুরের সন্থোম এইচআর সেকেন্ড স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তিনি স্কুলে সিম্বলারসন টিআপ-এর জুনিয়র ছিলেন। বিঘ্নেশ শিবন একজন পরিচালক হিসেবে সুপরিচিত। কিন্তু, একজন লেখক, গীতিকার, প্রযোজন ও অভিনেতা হিসেবেও তিনি খ্যাত। জানা যায়, কেরিয়ারের শুরুতে তিনি সিভি ও পোদা পোদির মতো ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেন।
তার প্রথম পরিচালিত ছবি পোদা পদ্দি (Podaan Podi)। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সিলামবরাসন টিআর। এই ছবি দিয়েই ডিরেক্টর হিসেবে ডেবিউ করেন বিঘ্নেশ শিবন। এরপর নানুম রাইডি ধানে (Naabun Rowdydhaan) , টন্ডনা সেরেন্দ কোত্তম (Thaanaa Serndha Koottam), পাভা কদাইঘাল (Paava Kadhaigal), কট্টুভাকুলা রেন্ডু খাদাই-এর (Kaathuvaakula Rendu Kaadhai) মতো ছবি পরিচালনা করেছেন।
বিঘ্নেশ শিবন একজন প্রযোজকও। তিনি রাউডি পিকচার্স নামে একটি প্রোডাকশন হাউস প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর সঙ্গে যুক্ত আছেননয়নতারা। এই সংস্থা একাধিক ছবি প্রযোজনা করেছে। এই তালিকায় রয়েছে রকি, নেত্রিকান, কাঠুভাকুলা রেন্দু কাধল, পেবলস-র মতো ছবি। চলচ্চিত্র জগতে বিঘ্নেশ শিবনের অবদানের কথা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
তিনি পরিচালনার পাশাপাশি গীতিকার হিসেবেও বেশ খ্যাত। তিনি থাঙ্গামে, নাঙ্গা ভেরা মারি, ডিপ্পাম দাপ্পাম, বে পান্নুদা ছেড়ে দিন এবং অন্যান্যোর মতো অনেক গান লিখেছেন। জানা যায়, নানুম রাইডি ধানে (Naabun Rowdydhaan) ছবির সেটে নয়নথারার প্রেমে পড়েছিলেন বিঘ্নেশ শিবন। সেই ছবির সেট থেকেই শুরু হয় প্রেম। এবার সেই প্রেম পরিণতি পাওয়ার পালা।
এদিকে নয়নতারার কেরিয়ারের কথা সকলেরই জানা। ২০১০ সালে কর্ণাটক ছবিতে কর্ণাটক-তেলেগু দোভাষী ছবি সুপার দিয়ে তিনি কর্ণাটক চলচ্চিত্রে পা রাখেন। এর পর থেকে একে একে হিট ছবি উপহার দিয়েছে দর্শকদের। ফিল্ম ফেয়ারে পেয়েছেন সেরা তামিল অভিনেত্রীর পুরস্কার। সেরা তেলেগু অভিনেত্রীর পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি।
এদিকে সদ্য দুজনে এক সঙ্গে কাজ করেছেন। রোম্যান্টিক ছবি কাঠু ভাকুলা রেন্দু কাধলে -তে এক সঙ্গে কাজ করেছেন। বিঘ্নেশ শিবন পরিচালনা করেছেন। আর অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে নয়নতারা, সামান্থা রুথ প্রভু ও বিজন সেতুপতিকে। ২৮ এপ্রিল থিয়েটারে প্রিমিয়ার হয়েছিল এই সিনেমাটির। লোকমুখে প্রশংসিত হয়েছিল তাদের কাজ।
সে যাই হোক, ৯ জুন নয়নতারা ও বিঘ্নেশ বিয়ে করছি। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের উপস্থিতিতে বিয়ে হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা তিরুপথি মন্দিরে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু, নানান কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। আগামীকাল তারা একটি রিসর্টে সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। বলা চলে বিয়ের সাজসজ্জা প্রায় শেষের পথে।