- Home
- Sports
- Football
- মারাদোনার মৃত্যুতে কী রয়েছে কোনও রহস্য, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর, তল্লাশি পুলিসের
মারাদোনার মৃত্যুতে কী রয়েছে কোনও রহস্য, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর, তল্লাশি পুলিসের
২৫ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন ফুটবল সাম্রাজ্যের রাজপুত্র দিয়াগো মারাদোনা। চোখের জলে ৮৬-বিশ্বকাপ জয়ের নায়ককে বিদায় জানিয়েছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু এবার মারাদোনার মৃত্যু নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কিংবদন্তী ফুটবলারের মেয়েদের অভিযোগের কারণে নয়া মোর নিয়েছে মারাদোনার মৃত্যু। মারাদোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উঠছে একাধিক অভিযোগ।
- FB
- TW
- Linkdin
২৫ নভেম্বর রাতে এল ২০২০ সালের সবথেকে বড় দুঃসংবাদটা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন আর্জেন্টিনা তথা বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তী ফুটবলার দিয়াগো মারাদোনা।
চলতি মাসেই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন দিয়াগো। অস্তপ্রচার করা হয় মারাদোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিওপোল্ডো লুকের তত্ত্বাবধানে।
মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর বুয়েনস আয়ার্সের উত্তরে তিগরে শহরে নিজের বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল মারাদোনার৷ সেখানেই ২৫ নভেম্বর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক।
কিন্তু এবার মারাদোনার মৃত্যু নিয়ে দানা বাঁধল নতুন রহস্য। মারাদোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের গাফিলতির কারণেই কিংবদন্তী ফুটবলারের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
বুয়েনোস আইরেসের বাড়িতে তাঁদের বাবার চিকিৎসা ঠিক মতো হয়নি, এই অভিযোগ তুলেছেন মারাদোনার মেয়েরা। ফলে সন্দেহের আঙুল উঠেছে মারাদোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লুকের বিরুদ্ধে। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পরে মারাদোনাকে রিহ্যাবে রাখা হয়েছিল বুয়েনোস আইরেসের উত্তরে তিগ্রেতে। তাঁর পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘‘দিয়েগোর দেখাশোনার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁদের কাজে কোনও ঢিলেমি ছিল কি না, সেটা জানা জরুরি।’’
এর আগে মারাদোনার আইনজীবী মোতিয়াস মোরলা দাবি করেছিলেন, মারাদোনা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ফোন করা হলেও অ্যাম্বুল্যান্স আসতে আধ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়৷ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই প্রয়াত হয়েছেন মারাদোনা৷ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি আপাতত মারাদোনার দেহের টক্সিকোলজিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে৷ তাঁর সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট ও রেকর্ডও চেয়ে পাঠানো হয়েছে৷
ফুটবলের রাজপুত্রের মৃত্যুতে সত্যিই চিকিৎসার কোনও গাফিলতি ছিল কিনা তার তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে রবিবার লুকে-র বাড়ি এবং অস্ত্রোপচার কেন্দ্রে হানা দেয় পুলিশ। স্থানীয় বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে এই ছবি ধরা পড়ার পর জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই লুকেকে জেরা করতে পারে।
তাঁর বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় কান্নায় ভেঙে পড়েন লুকে। তাঁর দাবি, মারাদোনার চিকিৎসায় সব রকম ভাবে সাহায্য করেছেন। লুকে বলেন, “পুলিশ আমার বাড়িতে আসায় খুব হতবাক হয়েছি। তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করতে রাজি। আমি জানি, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কী ভাবে দিয়েগোর জন্য লড়ে গিয়েছি।”
লুক আরও বলেছেন, “আমার বন্ধু মারা গিয়েছে। কিন্তু যা হচ্ছে সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। দিয়োগোর মেয়েদের যথেষ্ট স্নেহ করি। তাঁর পরিবারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক দিনের। কেউ আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।”
মারাদোনার মেয়ে ও আইনজীবীর অভিযোগের পর নতুন মাত্রা পেয়েছে মারাদোনার মৃত্যু। প্রিয় মহা তারকার মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা তা জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছে বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি তার ভক্তরা।