ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে এই ১০ টোটকায়, জেনে নিন কী কী করবেন
কিডনি (Kidney), হার্টের (Heart) অসুখ, প্রেসার (Pressure), কোলেস্টেরলের সমস্যা আজ ঘরে ঘরে। সঙ্গে অনেকে ভুগছেন ডায়াবেটিসে। এই রোগ একবার শরীরে বাসা বাঁধা মানে, তা ধীরে ধীরে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। তাই সাইলেন্ট কিলার বলা হয় ডায়াবেটিসকে (Diabetes)। রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেনে চলুন ১০ টোটকা। ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে এই টোটকা মেনে চললে উপকার পাবেন।
- FB
- TW
- Linkdin
ডায়াবেটিস রোগীরা রোজ খেতে পারেন খেঁজুর। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ৩ থেকে ৪টি করে খেঁজুর খেতে পারেন। আঙুর, কমলালেবুর তুলনায় এতে বেশি করে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রোজ ১ গ্লাস করে দুধ খান সুগারের রোগীরা। খেতে পারেন ছানা। দুধ ক্যানসিয়াম, ভিটামিন ডিতে পরিপূর্ণ। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। দুধ ছাড়া রোজ ১ বাটি করে দই খান। এতে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে। দইয়ে থাকা উপকারী উপাদান ওজন রাখবে নিয়্ন্ত্রণে। রোজ ভাতের পর ১ বাটি দই থান।
খালি পেটে খেতে পারেন মেথি ভেজানো জল। রোগ রাতে ১ গ্লাস জলে ১ চা চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই জল ছেঁকে খেয়ে নিন। খালি পেটে মেথির জল খাওয়া উপকারী। এতে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক থাকে। তাই নিয়মিত এই জল খান।
কালো জাম খেতে পারেন ডায়াবেটিসের রোগীরা। এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখে। ফলে, সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে। এই ফল সুমিষ্ট হওয়ায় অনেকে খেতে ভয় পান। কিন্তু, সুগারের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী কালোজাম।
ভিটামিন ও মিনারেলে পরিপূর্ণ পেঁপে। ডায়াবেটিসের রোগীরা সুস্থ থাকতে চাইলে রোজ ১ বাটি করে পেঁপে সেদ্ধ খান। সুস্বাদু না হওয়ায় পেঁপে তেমন কেউ পছন্দ করেন না। কিন্তু, এটি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুব উপকারী। তবে, পেঁপে দিয়ে নানা পদও বানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে কম তেলে রান্না করবেন। তা না হলে, এর পুষ্টিগুণ ব্যহত হবে।
খেতে পারেন কাঁঠাল। এই ফল ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, থাইমিন, রিবোফ্লেভিন, নিয়াসিন, ক্যালসিয়ামে, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়ামে পরিপূর্ণ। এই ফলে একাধিক গুণ থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা কাঁঠান খান, তাদের ডায়বেটিস থাকে নিয়ন্ত্রণে। ফলে, গরমের মরশুমে এই ফল খেতেই পারেন। এতে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী তুলসি। এতে থাকে একাধিক ওষধী গুণ। টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীরা রোজ তুলসি পাতার রস খান। তুলসি চাও খেতে পারেন। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক থাকে। এই তুলসি পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সঙ্গে সঙ্গে কিডনির জন্য উপকারী। কিডনির রোগ থেকে মুক্তি মিলবে এর গুণে।
সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে থাকুন স্ট্রেস মুক্ত। মানসিক চাপ, চিন্তা এই রোগ বৃদ্ধি করে। তাই যতটা পারবেন মানসিত চাপ মুক্ত থাকা চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে রোজ মেডিটেশন করুন। খেতে পারেন স্বাস্থ্যকর খাবার। এতে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বলে ডায়াবেটিস কম হবে। রোজ সকাল অন্তত ৩০ মিনিট নিজের জন্য বের করুন। এর মধ্যে ৫ থেকে ১০ মিনিটে মেটিডেশন করুন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে হাঁটা মাস্ট। রোজ ৩০ মিনিট হাঁটুন। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। রোজ সকাল অথবা বিকেলে ৩০ মিনিট করে হাঁটুন। ডায়াবেটিসের রোগীদের সুস্থ থাকতে চাইলে রোজ শরীর চর্চা করা দরকার। চাইলে সাইকেলিংও করতে পারেন। সাঁতার কাটাও শরীরের জন্য ভালো। রোজ শারীরিক পরিশ্রম করুন। এতেই সুস্থ থাকবেন।
ডায়াবেসিট ধরা পড়লে তৎক্ষণাত ডাক্তারি পরামর্শ নিন। অনেকে মনে করেন যে ডায়াবেটিস ধরা পড়লে হাঁটলে তা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমন ধারণা একেবারে ভুল। ঘরোয় টোটকা না মেনে সবার আগে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে পরিবর্তন করুন জীবনযাত্রার। তবেই উপকার পাবেন।