রোজ রাতে চিলড বিয়ারে আলতো চুমুক, এদিকে বেড়ে চলেছে মস্তিকের বয়স!
- FB
- TW
- Linkdin
প্রচণ্ড গরমে চিলড বিয়ারে চুমুক দিলে যেন জুড়িয়ে যায় গোটা শরীর। আপনি কী এই গরমে রাত হলেই বিয়ারে একটা আলতো চুমুক দিচ্ছেন...কিন্তু জানেন কী এই ক্ষণিকের স্বস্তি ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে আপনার মস্তিষ্কের বয়স। ফলে সময়ের আগেই মগজাস্ত্রের ধার কমে যাচ্ছে। সে কথাটা কিন্তু এবার মাথায় রাখবেন।
স্কচ, হুইস্কি, ওয়াইনের পাশাপাশি রঙিন পানীয়র জগতে বেশ কদর রয়েছে বিয়ারেরও। আসলে এক এক জনের এক এক রকম পানীয় পছন্দ। তবে যারা বিয়ার ভালোবাসেন তাঁরা কিন্তু সাবধান। অসময় যদি মস্তিকের বয়স যদি বেড়ে যায় তাহলে কিন্তু আপনিই সমস্যায় পরবেন।
প্রসঙ্গত, পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক তাঁদের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় নাকি এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রায় ৩৬ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের উপর এই সমীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকেরই বয়স ৪০ থেকে ৬৯ বছরের মধ্যে।
যাঁদের বয়স পঞ্চাশ বা তাঁর কাছাকাছি, তাঁরা দিনে যদি এক ইউনিট করে বিয়ার পান করেন তাঁদের মস্তিষ্কের বয়স সাধারণ মানুষের তুলনায় অন্তত ছয় মাস পর্যন্ত বেশি হয়। উল্লেখ্য বিয়ারের পরিমাণ যত বাড়বে মস্তিষ্কের বয়স কিন্তু ততই বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
সময় থাকতেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন। আর নিজের খাওয়ার ক্ষমত বুঝে তবেই বিয়ার বা অ্যালকোহল পান করা উচিত। হার্ড ড্রিঙ্কসের প্রকৃত স্বাদ তাাড়িয়ে তাড়িয়ে যদি উপভোগ করতে চান তাহলে ধীর গতিতে তা পান করতে হবে।
অতিরিক্ত অ্যালকোহলের প্রভাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের যেমন ক্ষমতা কমতে থাকে তেমনই মস্তিষ্কও বুড়িয়ে যেতে পারে। তাই কোনও অনুষ্ঠান বা পার্টি ছাড়া অ্যালকোহল শরীরে প্রবেশ না করানোই শ্রেয়।
গবেষকদের মতে, পরিমিত ড্রিঙ্ক করলে শরীর ও মগজ চাঙা থাকে। সেই সঙ্গে সারা দিনের ক্লান্তিও দূর হয়। তাঁদের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, যাঁরা প্রতিদিন বা প্রতি রাতে অন্তত এক পিন্ট করে বিয়ার পান করেন তাঁদের মস্তিষ্কের বয়স অন্তত ২ বছর বেশি হয়।
বাইরে চাঁদি ফাটা রোদ। গলা একেবারে শুকিয়ে যাচ্ছে। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে হালকা চুমুক চিলড বিয়ারের গ্লাাসে। ব্যাপারটা ভাবলেই যেন একটা আলাদা স্বস্তি লাগে, তাই না...কিন্তু এতদিন কী জানতেন এই বিয়ারের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আপনার মস্তিকের বয়স বাড়ার কারন।