ভুলেও এই কয়টি খাবার খাবেন না আর্থারাইটিসে রোগীরা, বাড়তে পারে শারীরিক জটিলতা
গায়ে-হাতে-পায়ে অসহ্য ব্যথা, বারে বারে ফুলে ওঠার মতো সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। হাত-পা নাড়াতে গেলেই কষ্ট অনুভূত হয়। বাত বা আর্থারাইটিসে আক্রান্ত হলে এমন সমস্যা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন বয়স হলেই একমাত্র বাতের ব্যথা হতে পারে। এই ধারণা একেবারে ভুল। যে কোনও বয়সে দেখা দিতে পারে বাতের সমস্যা। বাত বা আর্থারাইটিসে আক্রান্ত হলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর শরীর সুস্থ রাখতে সঠিক খাওয়ার প্রয়োজন। বাত বা আর্থারাইটিসের রোগীরা ভুলেও খাবেন না এই কয়টি খাবার। জেনে নিন কোন কোন খাবার শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি করতে পারেন। আর কোন খাবার বাত বা আর্থারাইটিসের রোগীদের জন্য উপকারী।
| Published : Jul 30 2022, 11:41 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
চিনি যতটা পারবেন কম খান। সকলকেই চিনি না খাওয়ার পরমার্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। চিনি একাধিক কঠিন রোগের কারণ। তেমনই চিনি খেলে বাড়তে পারে বাত বা আর্থারাইটিসের মতো জটিলতা। তাই এই ধরনের রোগীরা চিনি ও চিনি জাতীয় পানীয় যত তাড়াতাড়ি পারবেন ত্যাগ করুন। এতে শরীর থাকবে সুস্থ।
প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত মাংস না খাওয়াই ভাপো। এগুলো প্রদাহ বৃদ্ধি করে। যা বাতের উপসর্গ বাড়াতে পারে। এতে ইন্টাপলেউকিন -৬, সি রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন, হোমোসিস্টাইন এর মতো উপাদান প্রদাহ বৃদ্ধি করে। এতে আর্থ্রারাইটিস বা বাতের ব্যথা বৃদ্ধি পায়। এই কারণে খাদ্যতালিকায় থেকে বাদ দিন প্রক্রিয়াজাত খাবার।
গ্লুটেন যুক্ত খাবার খাবেন না বাত বা আর্থারাইটিসের রোগীরা। গম, বার্লিস, রাই এবং ট্রিটিকাল জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। এগুলো বাত বা আর্থারাইটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে ক্ষতি করতে পারে। এই ধরনের শস্যতে থাকে গ্লুটেন নামক এক বিশেষ প্রোটিন। যা বাতের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এগুলো থেকে দূরে থাকা ভালো।
মদ্যপান বন্ধ করুন। অ্যালকোহল বাত বা আর্থারাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। আর যারা ইতিমধ্যে বাত বা আর্থারাইটিসে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা অবশ্যই দূরে থাকুন অ্যালকোহল থেকে। তাছাড়াও মদ্যপান যে কোনও ব্যক্তির শরীরে কঠিন জটিলতা তৈরি করে। তাই সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই বিশেষ নিয়ম। এতে শরীর থাকবে সুস্থ।
বাত বা আর্থারাইটিসের সমস্যা বাড়তে পারে নুন খেলে। এই ধরনের রোগিয়া সোডিয়াম গ্রহণ কমান। যতটা পারবেন নুন কম খান। তাছাড়া, সকলেরই পরিমাণ মতো নুন খাওয়া দরকার। অতিরিক্ত নুন খাওয়ার কারণে একাধিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই বাতের রোগীরা ভুলেও খাবেন না নুন। সুস্থ থাকতে অবশ্যই মেনে চলুন এই টোটকা।
বাত বা আর্থারাইটিসের রোগীরা ভেজিটেবল তেল খাবেন না। ওমেগা ৬ ফ্যাট এবং ওমেগা ৩ ফ্যাট কম খাওয়া প্রয়োজন। এতে শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি পায়। মেনে চলুন এই বিশেষ নিয়ম। শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে ভেজিটেবল তেল না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া, মেনে চলুন চিকিৎসকের পরামর্শ। তবেই বজায় থাকবে শারীরিক সুস্থতা।
আল্ট্রা প্রেসসড আইটেম যেমন ফাস্ট ফুড, বেকড পণ্য না খাওয়াই ভালো। এগুলোতে অধিক নতুন ও চিনি থাকে। যা বাত বা আর্থারাইটিসের রোগীদের শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে। সুস্থ থাকতে চাইলে বন্ধ করুন প্রসেসজ ফুড খাওয়া। রোজ সবজি সেদ্ধ খান। এতে শরীরে পুষ্টির জোগান ঘটবে। মেনে চলুন এই বিশেষ নিয়ম।
বাত বা আর্থারাইটিসের রোগীরা খেতে পারেন আদা ও রসুন। এই দুই উপাদান নিয়মিত খেলে বাতের ব্যথা কম অনুভূত হয়। এই দুই উপাদানে আছে বিশেষ পুষ্টিগুণ। যা শরীর রাখে সুস্থ। তাই রোজ খাদ্য তালিকায় রাখুন আদা ও রসুন। চাইলে আদা কিংবা রসুন দিয়ে তৈরি ডিটক্স ওয়াটারও খেলে পারেন।
আখরোট খাওয়া বাত বা আর্থারাইটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। এতে ওমেগা ৩ ও ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা বাত বা আর্থারাইটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। শরীর সুস্থ রাখতে খেতে পারেন আখরোট। তাছাড়া, খেতে পারেন ব্রকোলি। এতে প্রদাহনাশক উপাদান আছে। যা শরীর সুস্থ রাখবে। মেনে চলুন এই বিশেষ নিয়ম।
বাত বা আর্থারাইটিসের রোগীরা খেতে পারেন পালং শাক। এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এতে কেম্পফেরল নামক উপাদান আছে। যা বাতের ব্যথা কম করতে সাহায্য করে। তেমনই খেতে পারেন স্যামন, ম্যাকেরেল ও সারডিনের মতো মাছ। এতেও মিলবে সমান উপকার। এই ধরনের মাছে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীর রাখবে সুস্থ।