শীতকালে নিজেকে সুস্থ রাখতে খাদ্য তালিকায় রাখুন এই ৫ টি খাবার
শীতকাল মানেই গরম খাবার, গরম পানীয় এবং গরম পোশাক। যার ফলে দেহের মেটাবলিজম এবং এনার্জি দুইয়েরই পরিবর্তন হয়। সেই সঙ্গেই এই সময় আমাদের পছন্দের খাদ্য তালিকাতেও পরিবর্তন হয়। শীতকালে নিজেকে গরম রাখতে অনেকেই মনে করেন প্রচুর পরিমাণ খাবার খেলে শরীর গরম থাকবে। তবে এমন ভাবা একেবারেই ভুল। শীতকালে শরীরে প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন তা না হলে এই সময় নানানরকম সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও সঠিক খাদ্য না খেলে হতে পারে নানান সমস্যা। শীতকালে এমন অনেক খাবার আছে যা শুধু খেতেই ভালো নয় এমনকি তা শরীরের জন্যও খুবই ভালো। শীতের খাদ্য তালিকায় যদি এই ৫টি খাবার রাখতে পারেন তাহলে শীতের অনেক সমস্যার হাত থেকেই রক্ষা পাওয়া যাবে, সেই খাদ্য তালিকায় রয়েছে-
- FB
- TW
- Linkdin
খেজুর- খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনের থাকে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে যেহেতু নানান রকমের সমস্যা হয়ে থাকে তাই এই সময় যদি নিয়ম মেনে খেজুর খাওয়া যায় তবে তা শরীরের জন্য খুবই ভালো।
বাদাম- বাদাম এবং আখরোটকে শীতের সেরা খাবার বলাই যায়। এই দুটি খাবার শীতের সময় স্নায়ুতন্ত্রকে স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন- E এবং ওমেগা ফ্যাট থাকে যা হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ওটস- ওটস খাওয়া যে স্বস্থ্যের পক্ষে কতটা ভালো সেটা এখন কম বেশি সকলেই জানে। আর এই ওটসই যদি শীতের খাদ্য তালিকায় রাখা যায় তাহলে তা আপনাকে শীতকালে সুস্থ রাখেত সাহায্য করবে। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার যা শীতকালের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওটস এমন একটি উপাদান আছে যা ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে যা হার্টের জন্য খুব ভালো ও হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া গরম ওটস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ব্রোকলি এবং ফুলকপি- ব্রোকলি এবং ফুলকপি শীতেরই সবজি। এই দুই সবজি দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। একে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন- C থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই দুই খাবার শীতের সঙ্গে লড়াই করে কার্য ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
মিষ্টি আলু বা রাঙালু- সাধারণ আলুর থেকে রাঙালুর খাদ্য গুণ অনেকটাই বেশি। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ভিটামিন- A এবং পটাশিয়াম থাকে। এই খাদ্য দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।