শীতে শুধু উষ্ণতা পেতে নয় বরং ওজন কমাতেও কার্যকর কফি, জেনে নিন এই পানীয়ের টোটকা
ওজন কমাতে কড়া ডায়েট, জিম, যোগা কত কি না করতে হয়। মনের মত খাওয়ার বাদ দিয়ে বয়েডল বা স্যুপে পেট ভরাতে হয়। এই খাবারে পেট ভরলেও মন কিন্তু পড়ে থাকে সেই লোভনীয় স্ট্রিট ফুডের দিকেই। তা বলে কি মন ভরাতে ডায়েট ভুলে গিয়ে যা খুশি তাই খাওয়া যায়। এত কষ্ট করে ওজন কমানোর পথে না গিয়ে একটু আধটু নিয়ম মানলেই চেখে দেখতে পারবেন স্বাদের খাবারগুলি। আর এই বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করবে কফি। এমনিতেই ঠাণ্ডায় গরম গরম কফি মন-প্রাণ দুই ভরিয়ে দেয়। তবে কফি ওজনও রাখতে পারে নিয়ন্ত্রণে।
- FB
- TW
- Linkdin
বাড়িতে থেকেই খুব সহজ উপায়ে কমিয়ে ফেলুন বাড়তি ওজন। আর এই ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানটি হল কফি। বিশ্বব্যাপী খুবই জনপ্রিয় পানীয় হল কফি। চায়ের পরেই কফি বিশ্বের অত্যধিক জনপ্রিয় পানীয়।
সবুজ কফি বিশ্বের সব থেকে বেশি বিক্রীত কৃষিপণ্যের মধ্যে একটি। কফিতে ক্যাফেইন নামক এক প্রকার উত্তেজক পদার্থ রয়েছে। কফির উপাদান ক্যাফেইনের জন্যে কফি মানুষের উপর উত্তেজক প্রভাব ফেলে ও উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।
তবে অনেকেই মনে করেন কফি পান করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। গবেষকদের মতে, এই ধারণাটি ভ্রান্ত।
কফিতে রয়েছে ক্যাফেইন ছাড়া পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ভিটামিন বি। কফিতে থাকা ক্যাফেনাইন এনার্জি বর্ধক। এই উপাদান শারীরিক ও মানসিক এনার্জি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
কফি ডায়বেটিসের প্রবণতা কমাতেও সাহায্য করে। কারণ কফি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস মন ভালো রাখে। যাদের মুড স্যুইংয়ের সমস্যা আছে তাদের কফি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কফি অবসাদ কমাতেও বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কফি পান করলে খিদে কমে যায়। ফলে ক্যালোরি কমিয়ে ওজন ঝরাতে সাহায্য করে কফি।
এতে থাকা উপাদান স্ট্রোকের প্রবণতাও কমাতে সাহায্য করে। তাই বলা হয় হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে কফি। ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে কফি।
তাই বর্তমানে অনেকেই একে বডি স্ক্রাবার এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজেও ব্যবহার করে। এর পাশাপাশি চুল পড়া কমিয়ে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে কফি।
এতে থাকা ক্যাফেইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান দেহে ক্যান্সারের কোষ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই যারা মনে করেন কফি স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ দিনে অন্তত এক কাপ কফি খাওয়ার অভ্যাস করুন। আর সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখুন আপনার বাড়তি ওজন।