- Home
- Lifestyle
- Health
- আবারও বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, কিভাবে সুরক্ষিত থাকবেন গর্ভবতী মহিলারা জানালেন বিশেষজ্ঞরা
আবারও বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, কিভাবে সুরক্ষিত থাকবেন গর্ভবতী মহিলারা জানালেন বিশেষজ্ঞরা
আবারও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশ জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। করোনা থেকে বাঁচতে তাই সকলকে তাই মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এদিকে রাজ্য জুড়ে চলছে বিধানসভা নির্বাচনের কর্মসূচী। ফলে আরও বেশি পরিমানে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এমন এক পরিস্থিতিতে কীভাবে গর্ভবতী মহিলারা নিজেদের সুরক্ষিত রাখবেন। নবজাতকদেরই বা কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন জেনে নিন এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
- FB
- TW
- Linkdin
করোনা আতঙ্কের মধ্যে তাই গর্ভবতী মহিলাদের একটু বেশি নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন। এর আগেও রাজ্যে নয় মাসের শিশুর শরীরেও করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। তাই নিজেকে ও সদ্যজাত-কে এই সময় বিশেষ যত্নে রাখা প্রয়োজন।
এই বিষয়ে পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কিন চিকিত্সক ও বিশেষজ্ঞ ডাঃ ক্যারোলিন কোয়েন জানিয়েছেন, কোনও গর্ভবতী মহিলা যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন তবে গর্ভস্থ শিশুরও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বিশেষজ্ঞ ক্যারোলিনের মতে, করোনা গর্ভবতী মহিলার জরায়ুর প্লাসেন্টা অতিক্রম করে যায়, ফলে গর্ভস্থ শিশুরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তবে এই বিষয়ে ডাঃ খ্রিশ্চান চেম্বার্স জানিয়েছেন, গর্ভবতী মহিলার শরীরে যদি করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে থাকে, তবে সন্তান প্রসবের সময় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।
এই বিষয়ে কয়েকটি গবেষণায় বেশ কিছু নবজাতকের শরীরে উচ্চ মাত্রায় ‘ইমিউনোগ্লোবিন জি’ নামের একটি অ্যান্টিবডির উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। মায়ের শরীর থেকে ভ্রূণের মধ্যে সঞ্চারিত হয় এই ‘ইমিউনোগ্লোবিন জি’ নামের অ্যান্টিবডি।
অন্য আরেকটি গবেষণায় জন্মের দু'ঘণ্টা পরেই নবজাতকের শরীরে আইজিএম-এর স্তরের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে যার মাত্রা ওই নবজাতকের শরীরে মাত্র দুদিনের মধ্যেই বৃদ্ধি পায় যা যে কোনও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকে।
তাই গবেষকদের মতে, এই বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে প্রয়োজনীয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা উচিত। গর্ভবতী ও সদ্যজাত সন্তানের মায়েদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা উচিত। পরিবারের যেই সদস্য নিয়মিত বাইরে যাচ্ছেন তার সঙ্গেও দূরত্ব বজায় রাখুন।
যে কোনও কাজ করার আগে, বিশেষ করে খাওয়ার খাওয়া বা ওষুধ খাওয়ার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তবেই খাওয়া উচিত। সেই সঙ্গে পরিষ্কার জামা-কাপড় পরা উচিত।
নবজাতকদের প্রতি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। বাইরে থেকে এসেই পরিবারের সদস্যদের বাচ্চার ঘরে ঢুকতে দেবেন না এবং শিশুকে ধরতে দেবেন না।