লকডাউন ২-এর কী কী করতে পারবেন, কী কী পারবেন না, দেখে নিন একনজরে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও গতি বাড়িয়েছে। আগের তুলনায় বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, করোনাভাইরাসের এই স্টেজে যেভাবে অন্যদেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই তুলনায় ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। তবে লকডাউন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া যে এই মুহূর্তে সংক্রমণের পায়ে বেড়ি পরানো সম্ভব নয় তা জানিয়েই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই এই যাত্রায় লকডাউনকে ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই লকডাউন পিরিয়র্ডে কী করা যাবে আর কী করা যাবে না- তা দেখে নিন একজনরে--
- FB
- TW
- Linkdin
লকডাউন যে বাড়তে চলেছে তার ইঙ্গিত ক্রমাগত মিলছিল। কারণ, দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছিলেন পরিস্থিতি যা তাতে লকডাউন তোলা সম্ভব নয়। যদিও সে সময় তিনি ঘোষণা করেননি লকডাউন বাড়ানোর।
লকডাউনে বহু স্থানে দেখা গিয়েছে মানুষকে যত্রতত্র থুঁতু ফেলতে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে এই ধরনের প্রবণতা মারাত্মক আকার নিতে পারে।
লডাউনের জেরে সমস্ত কাজ থমকে গিয়েছে। এর ফলে আর্থিকভাবে নানা ক্ষতির সম্মুখিন সকলে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাই যে সব এলাকায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কম আছে সেখানে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে।
অনেকেই এই পরিস্থিতির মধ্যে আগে থেকে ঠিক করে তারিখে বিয়ে করছেন বা মৃত-র শেষকৃত্য সম্পন্নে অংশ নিচ্ছেন। এতে অংশগ্রহণ যাতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং-কে মাথায় রেখে করা হয় তার জন্য নজর রাখবেন একজন ডিস্ট্রিক্ট ম্য়াজিস্ট্রেট।
করোনাভাইরাসের জেরে বাজাার থেকে উধাও বহু অত্যাবশকীয় ওষুধ। লকডাউনের জেরে ওষুধ প্রস্তুতকার সংস্থাগুলি-তেও প্রোডাকশন কমে গিয়েছিল। লকডাউন ২-এ যে নিয়ম বলা হয়েছে তাতে ওষুধ প্রস্তুতে পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আপাতত স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অনলাইন ক্লাসেই নির্ভর করতে হবে।
সাধারণ পরিবহণকে চলাচলের অনুমতি দেওয়ার মতো সময় এখনও আসেনি বলেই মনে করছে সরকার।
যে কোনও ধরনের জমায়েত করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক। তাই আপাতত এই সমস্ত জায়গাগুলিতে তালা ঝুলিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং-কে কড়াভাবে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ট্রেন চালানোতে এখনই কোনও ভরসা পাচ্ছে না সরকার। তাই লকডাউন ২-এ পুরোপুরি যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লকডাউন ২-এ এই ধরনের কারখানা এবং শিল্প-তালুকে নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।
জমায়েত-কে যে এখনও কোনওভাবে ছাড় দেওয়া সম্ভব নয় তা আরও নির্দিষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছে সরকার।
হটস্পটে না থাকায় এলাকায় কিছুটা স্বস্তি মিলবে।
এর ফলে কিছু মানুষ স্বস্তি পাবেন ও কিছু মানুষ আয়ের রাস্তা ফের খুলতে পারবেন বলেই আশা করা হচ্ছে।
২০ এপ্রিল থেকে এই সুবিধাগুলি শুরু হয়ে যাচ্ছে।
২০ এপ্রিল থেকে এই সুবিধাগুলি শুরু হয়ে যাচ্ছে।
অনেকে অন্তর্দেশীয় উড়ান চালুর কথা বলছে। এরজন্য একটা বিকল্প পরিকল্পনাও তৈরি করছে ডিজিসিএ। তার আগে পর্যন্ত সমস্ত উড়ানেই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকছে।
পরিষেবামূলক বিষয়গুলি এক্কেবারে স্তব্ধ হয়ে গেলে অসুবিধা, সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত।
মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যাতে বিপাকে না পড়েন তার জন্য এই সুবিধাগুলি চালু রাখা হয়েছে।
এই বিষয়গুলিকে অত্যাবশকীয় পরিষেবা-র মধ্যে ফেলা হয়েছে, তাই এদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে।