- Home
- Lifestyle
- Health
- ক্যান্সার নির্মূলের পর কিংবা চিকিৎসা চলাকালীন খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ১০টি ফল, মিলবে উপকার
ক্যান্সার নির্মূলের পর কিংবা চিকিৎসা চলাকালীন খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ১০টি ফল, মিলবে উপকার
বর্তমানে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের প্রসার ঘটছে ক্রমে। আধুনিকতার দৌড়ে সামিল হতে গিয়ে বদলেছে সকলের জীবনযাত্রা। একদিকে কাজের চাপে শরীরচর্চার সময় নেই তো অন্য দিকে খাদ্যতালিকায় যোহ হয়েছে একাধিক অস্বাস্থ্যকর খাবার। এই সবের ক্ষতিকারণ প্রভাব পড়ছে শরীরে। তবে, ঠিক কেন ক্যান্সার হয়, তা বিষয় নিশ্চিত করা কঠিন। কিন্তু, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কারণে ক্যান্সার সঠিক সময় ধরা পড়লে তা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আজ টিপস রইল ক্যান্সার রোগীদের জন্য ক্যান্সারের চিকিৎসা হওয়ার পর বিশেষ নজর দিন খাদ্যাতালিকায়। যোগ করুন এই কয়টি খাবার। এতে সহজে সুস্থ হয়ে উঠবেন। জেনে নিন কী কী।
- FB
- TW
- Linkdin
খাওয়া যেতে পারে ব্লুবেরি। এটি ফাইবার, ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজে পরিপূর্ণ। এতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা শরীরে পুষ্টি জোগায়। ক্যান্সারের চিকিৎসা চলাকালীও খেতে পারেন এই ফল। এতে থাকা একাধিক উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। স্মৃতিশক্তি উন্নত করে। আর দূর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই নিয়ম করে ব্লুবেরি ফল খেতে পারেন।
কমলালেবু খাওয়া যায় এই সময়। এটি এক ধরনের সাইট্রিক ফল। যা ভিটামিন সি, থায়ামিন, ফোলেট ও পটাসিয়ামে পরিপূর্ণ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি ও বিস্তার কমায়। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে থেরাপিউটিক হিসেবে কাজ করে কমলালেবু। সঙ্গে আয়রন শোষণ বৃদ্ধি করে। তাই ক্যান্সার রোগীরা রোজ তালিকাতে রাখতে পারেন কমলালেবু।
এই ধরনের রোগীদের জন্য কলা উপযোগী। কলায় আছে ফাইবার, পটাসিয়াম, বি৬, ম্যাঙ্গানিজ ও ভিটামিন সি। যা শরীর সুস্থ রাখে। এই ধরনের রোগীরা সব সময় কলা খেতে পারেন। এমনকী, ক্যান্সারের চিকিৎসা হওয়ার পরও কলা খাওয়া চলে। এটি কোলন ক্যান্সার কোষেপ বৃদ্ধি ও বিকাশের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
খাওয়া যেতে পারে জাম্বুরা। এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ। এটি ভিটামিন সি, প্রোভিটামিন এ, পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। যা ক্যান্সার চিকিৎসার পার্শ প্রতিক্রিয়া থেকে রোগীকে রক্ষা করে। শরীর সুস্থ হতে সাহায্য করে। এই ধরনের রোগীরা চিকিৎসা চলাকালীন কিংবা চিকিৎসার পরও খেতে পারেন জাম্বুরা।
খাওয়া যেতে পারে আপেল। সারা বছরই বাজার পরিপূর্ণ থাকে আপেলে। এটি ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। যা ক্যান্সার রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তেমনই ক্যান্সার কোষের জন্ম নিতে বাধা দেয়। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টের গুণে শরীর সুস্থ রাখে। যে কোনও ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে উপকারী আপেল। রোজ একটি করে আপেল খেতে পারেন।
খেলে পারেন পাতিলেবু। এটি ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি অক্সিডেনট পরিপূর্ণ। পিতালেবুতে আছে পটাসিয়ামস, আয়রন, ভিটামিন বি ৬। এতে থাকা কিছু যৌগ ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে। ক্যান্সার রোগীদের জন্য উপযুক্ত ফল হল পাতিলেবু। এটি রোগের চিকিৎসা চলাকালীন কিংবা চিকিৎসার পরও খেলে পারেন। এটি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
ক্যান্সার রোগীরা খেতে পারেন বেদানা। এটি ভিটামিন সি, ফাইবার, ভিটামিন কে, ফোলেট ও পটাসিয়ামে পরিপূর্ণ। এটি স্মৃতির উন্নতি করেষ জয়েন্টের ব্যথা কমায়। সঙ্গে ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। ক্যান্সার রোগীরা বেদেনা খেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। এটি ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসার সময় রোগীকে চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
তেঁতুল খাওয়া যেতে পারেন। ভিটমানি সি, আয়রন সমৃদ্ধ তেঁতিল ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার সময় খাওয়া উপকারী। এই সময় অনেকের রক্তাল্পতায় ভোগেন। এর থেকে মুক্তি পেতে খেতে পারেন তেঁতুল খেতে পারেন। তেঁতুল ভিটামিন সি, আয়রন ও রক্তাল্পতা থেকে মুক্তি পেতে তেঁতুল খেতে পারেন।
নাশপাতি খেতে পারেন। এটি ভিটামিন সি, ভিটামিন কে সমৃদ্ধ। যা ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধি করে। ক্যান্সার রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা নিয়মিত নাশপাতি খান তারা ফুসফুসের মতো রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। নাশপাতি কপার সমৃদ্ধ। এতে আছে অ্যান্থোসায়ানিন। যা এই ধরনের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
খেতে পারেন স্ট্রেবেরি। ভিটামিন সি, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম সমৃদ্ধ এই ফল। যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। শরীর সুস্থ রাখে ও একাধিক পুষ্টি জোগায়। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্তন ক্যান্সারের কোষগুলো মেরে ফেলতে সাহায্য করে এই ফল। সঙ্গে টিউমার বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই এই ধরনের রোগীদের এই ফল খাওয়াতে পারেন।