সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস গরম জল, মুক্তি দেবে ৬ প্রকার জটিল সমস্যা থেকে
জলের আরেক নাম জীবন, ছোটবেলা থেকেই এই বিষয় আমরা জেনে আসছি ও পড়ে আসছি। আমাদের অস্তিত্বের জন্য জল যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, এটি কারও কাছ থেকে গোপন নয়। এটি কেবল আমাদের তৃষ্ণা নিবারণ করার জন্যই নয়, এটি শরীরের সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্যও প্রয়োজনীয়। জানলে অবাক হবেন, আমাদের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ জল দিয়ে তৈরি এবং শরীর সুস্থ রেখে কাজ করার জন্য প্রতিটি ব্যক্তির প্রতিদিন ২-৩ লিটার জল পান করা উচিত। এই জল শরীরের নানা জটিল সমস্যা দূর করতেও ব্যবহার করা হয়। জেনে নিন জলের সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি কি কি-

ওজন কমাতে-
ঠান্ডা এবং গরম জল উভয়েরই নিজস্ব আলাদা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। এক গ্লাস ঠান্ডা জল তৃষ্ণার্ত অবস্থায় আপনাকে শীতল হতে সহায়তা করে। অন্যদিকে গরম জল শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে। এছাড়াও, গরম জল খাবার হজমে উন্নতি করে। এটি সাধারণত বিশ্বাস করা হয় যে, জল পান করা বিশেষত গরম জল, কয়েক কেজি ওজন কমাতে সহায়তা করে।
জল শরীরকে পুষ্টি শোষণে এবং বিষাক্ত বর্জ্য অপসারণ সহায়তা করে । ২০০৩ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুসারে, গরম জল পান করার মাধ্যমে ওজন কমাতে পারে একথা জানা যায়। খাবারের আগে ৫০০ মিলি জল পান করা বিপাক ক্রিয়া ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে তুলতে পারে। প্রতিদিন সকালে বা সারা দিন উষ্ণ বা কুসুম গরম জল পান ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে।
বিপাক ক্রিয়া বুস্ট করতে-
গরম জল পান শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন করে। গরম জল আমাদের দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে বিপাক ক্রিয়াকে সক্রিয় করে। ফলে সহজেই খাদ্য হজম হয়। গ্যাস অম্বলের মত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
ফ্যাট বার্ন-
ফ্যাট কমাতে হলে প্রথমেই চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণের বিষয়ে সতর্ক হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গরম জল শরীরের ফ্যাটগুলি ভেঙে দেয় এবং এগুলিকে অণুতে পরিণত করে, যা আপনার পাচনতন্ত্রের ক্রিয়া সহজ করে তোলে।
ক্ষুধামান্দ্য-
উষ্ণ জল ক্ষুধা রোধে সহায়তা করে। খাবারের ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস উষ্ণ জল ক্যালোরি গ্রহণের সম্ভাবনা কমাতে করতে সহায়তা করে।
হজমের উন্নতি-
জল শরীরে তরল উপাদান হিসাবে কাজ করে যা হজম প্রক্রিয়াটির মসৃণ প্রবাহ বজায় রাখতে সহায়তা করে। এটি খাদ্য কণাগুলিকেও দ্রবীভূত করে যা আমাদের হজম করতে অসুবিধে হয়। হজমের সমস্যা না থাকা মানেই সঠিক পরিপাক ক্রিয়া।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে-
গরম জল অন্ত্রের সঙ্কোচন প্রসারণ নিয়ন্ত্রণ করে, পাশাপাশি অন্ত্রে জমে থাকা মল দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়াও, এটি শরীরের টক্সিন দূর করে। কারণ পরিমান মত জল পান করা ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরের ঘামের সঙ্গে দেহের বিষাক্ত পদার্থগুলি বেড়িয়ে শরীর সুস্থ রাখে।