নাকের লোম তুলছেন, এর জন্য মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে
- FB
- TW
- Linkdin
নাক দিয়ে নিশ্বাস নেওয়ার সময় আমরা যতটা বাতাস ভিতর পর্যন্ত টেনে নিই, তা নাক ফিল্টার করে। নাকের ভিতরে থাকা লোমগুলি সর্বপ্রথম ধুলাবালি থেকে রক্ষা করার জন্য ফিল্টার হিসেবে কাজ করে থাকে।
ধুলো-বালি আটকে যায় সেই লোমের মধ্যে। এর ফলে আমরা বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণ করতে পারি। কিন্তু, লোম না থাকলে বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে ধুলো-বালিও আমাদের নাকে ঢুকে যেতে পারে। তার থেকে হতে পারে অ্যালার্জি।
কিন্তু, অনেকেই নাকের লোম একেবারেই পছন্দ করেন না। আর সেই কারণে টুইজার বা চিমটার মাধ্যমে অনেকেই সেই লোম তুলে ফেলেন। এতে শরীরের প্রচুর ক্ষতি হয়।
নাকের ভিতরে থাকা লোমগুলি চিমটা দিয়ে তুলে ফেলার ফলে এটি গোড়া থেকে উঠে আসে। এর ফলে সেখানে গর্তের সৃষ্টি হয়। আর নিশ্বাস নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই গর্ত দিয়ে ব্যাকটেরিয়া আমাদের নাকের ভিতর লোমকূপে সহজেই প্রবেশ করে।
লোম তোলার সময় অনেকের নাক দিয়ে রক্ত বের হয়। আসলে লোমের ঠিক গোড়ার দিকে রক্তনালী থাকে। ফলে লোম তুলে ফেলার সময় ব্যাক্টেরিয়া নাকের মধ্যে প্রবেশ করে তা লোমকূপ দিয়ে খুব সহজেই রক্তে মিশে যেতে পারে। এর ফলে ইনফেকশন গোটা শরীরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
উপড়ে ফেলা লোমের মধ্যে দিয়ে ব্যাকটেরিয়াগুলো অনেক সময় মস্তিষ্কের মধ্যেও চলে যেতে পারে। তার থেকে ব্রেন টিউমার হতে পারে। যার ফলে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
আসলে নাকের বাইরে লোম বেরিয়ে আসা কারও পছন্দ নয়। তবে সেগুলিকে চিমটা দিয়ে তোলার কোনও প্রয়োজন নেই। এতে আখেরে ক্ষতিই হবে।
নাকের লোম বেশি বড় হয়ে গেলে তা কাঁচি বা ট্রিমার দিয়ে কেটে ফেলুন। তবে লোমগুলি গোঁড়া পর্যন্ত কেটে ফেললে তা রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই যতটুকু প্রয়োজন ততখানি কাটুন।
বাজারে নাকের লোম কাটার জন্য কাঁচি পাওয়া যায়। প্রয়োজনে তা কিনে নিন। তা দিয়ে লোম কাটুন। এতে ভয়ের কোনও কারণ থাকবে না। এমনকী, আপনি শ্বাস নেওয়ার সময় ফিল্টারের ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা হবে না।