পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়েও ক্লান্ত থাকেন সারাদিন, এই ৫ খাদ্য কাজ করবে ম্যাজিকের মত
সারাদিনের কাজ তারপরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম। তবুও যেন কোনওভাবেই চাঙ্গা হতে পারছেন না আপনি। সারাদিন ক্লান্ত লাগছে। এমন সমস্যা শুধু আপনার নয়, বেশিরভাগই ভুগছেন এই সমস্যায়। মুখ এবং ত্বক দেখলেই বোঝা যায়, কতটা ক্লান্ত আপনি। ক্লান্ত চোখ এবং চারপাশের ডার্ক সার্কেলও ক্লান্তির লক্ষণ। পর্যাপ্ত ঘুমিয়েও অনেক সময় এই সমস্যার সমাধান করা যায় না। তবে অনেক ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পরেও দূর হয় না এই সমস্যা। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, পাতে রাখুন এই ৫ ধরনের খাদ্য। যা সারাদিনের ক্লান্তিভাব দূর করবে সহজেই।
- FB
- TW
- Linkdin
গ্রিন টি
গ্রিন টি ব্যবহার করে আপনি তারুণ্যে ভরা সৌন্দর্য ফিরে পেতে পারেন। গ্রিন টিতে পলিফেনল থাকে। এগুলি ত্বকের কোষগুলিকে পুনরায় সক্রিয় করে। আপনার ত্বকে তরুণ ত্বকের আভা ফিরিয়ে ত্ব ঝকঝকে করে তোলে। পাশাপাশি এনার্জি বাড়াতেও কাজে দেয়।
tiredness man
সলমন মাছ
সলমন ফিশ খুব স্বাস্থ্যকর এবং ভরপুর পুষ্টি পাওয়া যায়। এটি ত্বকের ফোলাভাব হ্রাস করে এবং ক্লান্ত ত্বকের পরিচর্যা করে। এমনকী হাইড্রেটেড ত্বকের জন্যও এই মাছ খুব উপকারী। পাশাপাশি ক্লান্তভাব দূর করে এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড-
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম ত্বকের রক্ত সঞ্চালন পক্রিয়াকে উন্নত করে। যার কারণে স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ত্বক মেলে সহজেই। বেশি পরিমাণে জল খেলে ত্বক সর্বদা হাইড্রেটেড থাকে। এনার্জি বর্দ্ধক খাদ্য হিসেবে প্রথম রাশিতেই রাখা হয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাদ্যকে।
স্বাভাবিক ভাবে ত্বক সতেজ রাখতে প্রচুর পরিমানে জল পানের পারমর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। জল ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অন্যতম একটি উপাদান। আর ত্বক সতেজ থাকলেই, ত্বকে থাকা ক্লান্তির ছাপ মিলিয়ে যাবে। তাই ক্লান্তিভাব কাটাতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে জল পান করাও প্রয়োজন ।
আখরোট
আখরোট এবং বাদামে ভিটামিন ইতে থাকে। প্রায় ৩০ গ্রাম বাদাম মানুষের শরীরের প্রয়োজনের ৭০ শতাংশ পূরণ করতে পারে। আখরোট ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ প্রতিদিনের ডায়েটে আখরোট রাখলে তা এনার্জি বৃদ্ধির পাশাপশি জ্বেল্লাদার ত্বক পেতেও সাহায্য করবে।
পালং
শাকের মধ্যে পালং শাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ এবং সি থাকে। এই শাক ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সহায়তা করে। পালং শাক বায়ু দূষণের কারণে শরীরে যে ক্ষতি হয় তা নিরাময় করতেও সহায়ক। পালং শাকে আছে উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা বেশি মাত্রার ভিটামিন এ, লিম্ফোসাইট বা রক্তের শ্বেত কণিকা দেহকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করে।
কলা
শরীরে ইন্সট্য়ান্স এনার্জি বাড়াতে কলার বিকল্প নেই। পুষ্টিবিদদের মতে, একটি কলায় প্রায় ৫০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। আর মানবদেহে প্রতিদিন ১৬০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়ামের যোগান দেয়া গেলেই স্ট্রোকের হাত থেকে বছরে বেঁচে যেতে পারে ১০ লক্ষ মানুষ। কলায় থাকা শর্করা পরিপাকতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কলার মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উত্পাদনে সাহায্য করে।