ঝটপট ওজন কমতে করতে পারেন কিটো ডায়েটে, জেনে নিন এই ডায়েটে কী কী খাবেন
ওজন কমাতে একের পর এক পদ্ধতি অনুসরণ করে চলেছেন সকলে। বাড়তি ওজন কমাতে সবার আগে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ পড়ে পছন্দের খাবার। আবার কেউ কেউ মেনে চলেন বিশেষ কোনও ডায়েট। আজ তথ্য রইল কিটো ডায়েট নিয়ে। ডায়েটের দুনিয়ায় কিটো ডায়েট বা কিটোজেনিক ডায়েটের চল বিস্তার। মাত্রা ৭ দিন এই প্ল্যান মেনে চললে কমতে পারেন কয়েক কেজি। এই ডায়েটে পরিমিত ফ্যাট, হাই প্রোটিন ও খুব কম কর্বোহাইড্রেট খাওয়া প্রয়োজন। তবে, না জেনে এই ডায়েট করলে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি। আজ জেনে নিন কিটো ডায়েট করলে কী কী খাবার খাবেন। রইল ৮টি খাবারের হদিশ। এই ডায়েট মেনে চলতে হলে খেতে পারেন এই কয়টি খাবার।
- FB
- TW
- Linkdin
কিটো ডায়েটে খেতে পারেন দই। রোজ দুপুরে খাবার পর ১ বাটি করে দই খান। এতে থাকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। সঙ্গে শরীর রাখে সুস্থ। কিটো ডায়েট ছাড়া যে কোনও ডায়েটে খেতে পারেন এই দই। শরীর সুস্থ থাকার সঙ্গে সকল ঘাটতি পূরণ হবে দইয়ের গুণে। রোজ ১ বাটি করে দই খান।
কিটো ডায়েটে খেতে পারেন ব্ল্যাক টি। এতে রয়েছে থানাইন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা আপনার স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে থাকে। এতে থাফ্লাভিন রয়েছে। যা হার্ট ও রক্তনালী ভালো রাখে। সঙ্গে রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলে মাত্রা ঠিক রাখে। তাই শরীর যেমন সুস্থ থাকবে, তেমনই কমবে ওজন। তাই নিয়ম করে খেতে পারেন ব্ল্যাক টি।
পনির খেতে পারেন কিটো ডায়েটে। পনিরে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে ওপর উপাদান। এটি শরীর সুস্থ রাখে। সঙ্গে ওজন কমাতে সাহায্য করে। পনির খেলে পেট ভর্তি থাকে। রোজ দুপুরে খেতে পারেন পনির। কিটো ডায়েটে পনির খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এবার থেকে মেনে চলুন এই টোটকা।
রোজ ১ মুঠো করে বাদাম খান। বাদামে থাকে ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান। এতে থাকে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন। রোজ খেতে পারেন বাদান। এতে শরীর থাকবে সুস্থ, সঙ্গে বাদামের গুণে ওজন কমতে পারে। এতে রয়েছে পুষ্টিকর উপাদান। যা সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে আপনাকে।
সবুজ সবজি খেতে পারেন কিটো ডায়েটে। রোজ ১ বাটি করে খেতে পারেন সবজি সেদ্ধ। দুপুরে খেতে পারেন সবজি সেদ্ধ। এতে পেট ভরা থাকবে। কিটো ডায়েটে লো কার্ব খাবার খেতে হয়। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ওজন কমে এই সাহায্যে। এই ডায়েটে পরিমিত ফ্যাট, হাই প্রোটিন ও খুব কম কর্বোহাইড্রেট খাওয়া প্রয়োজন।
রোজ একটি করে ডিম খান। রোজ ব্রেকফার্স্টে একটি করে ডিম খেলে উপকার পাবেন। এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, ডি, ই, বি ১২, আয়রন থাকে। এই সকল উপকারী উপাদান শরীর রাখে সুস্থ। তেমনই ওজন কমাতে খেতে পারেন ডিম। ডিম দিয়ে নিত্য নতুন রেসিপি বানাতে পারেন। তবে, তেল কম ব্যবহার করবেন।
খাদ্য তালিকায় রাখুন মাছ। পটাশিয়াম, ভিটামিন এ থাকে। খেতে পারেন ওমেগা ৩ যুক্ত খাবার। এর গুণে সুস্থ থাকবেন। পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে কিটো ডায়েটের জন্য। এই সময় ডায়েট থেকে ফল, সবজি ও শস্য বাদ দেওয়া হয়। এর ফলে ওজন কমে ঠিকই কিন্তু ক্ষতি হতে পারে শরীরের।
অ্যাভোকাডো খেতে পারেন। ফাইবার, পটাসিয়াম, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে এই ফলে। ২০ রকম ভিটামিন আছে অ্যাভোকাডো-তে। রোজ খেতে পারে অ্যাভোকাডো স্মুদি। কিংবা অ্যাভোকাডো ফল খেতে পারে। এই ডায়েটে পরিমিত ফ্যাট, হাই প্রোটিন ও খুব কম কর্বোহাইড্রেট খাওয়া প্রয়োজন। তবে, কিটো ডায়েট করতে গেলে বিস্তারিত জেনে নিন। তা না হলে সমস্যায় পুরবেন।
অনেকের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে কিটো ডায়েট করলে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট কম গ্রহণ করা হয়। এর ফলে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে হতে পারে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে। তাই কিটো ডায়েট করলে প্রচুর জল খান। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। তা না হলে সমস্যায় পড়বেন।
হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে কিটো ডায়েট করলে। এই ডায়েট করার সময় শস্য বাদ দেবেন। ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে কিটো ডায়েট চার্টে। সে কারণে অনেকেরই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় পর্যাপ্ত জলপান করুন। এতে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে। আর চার্ট মেনে খাবার খান। তা না হলে বাড়তে পারে জটিলতা।