যোগ ব্যায়ামেই বজায় থাকবে সুস্বাস্থ্য, ঘন ঘন ছুটতে হবে না ডাক্তারের কাছে
- FB
- TW
- Linkdin
ঘাড়ের যন্ত্রণা - আইসোমেট্রিক প্রেসার, এই যোগাসন অভ্যাস করলে ঘাড়ের যন্ত্রণা থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে। দু’হাত মাথার পিছনে নিয়ে মাথাকে হাত দিয়ে ঘাড় সোজা করে চাপ দিতে হবে। এ ভাবে মাথাকে চার দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চাপ দিতে হবে। এতে খুব সহজেই ঘাড়ের যন্ত্রণা থেকে আরাম পাওয়া যাবে।
হজমের সমস্যায় - হজমের সমস্যা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী যোগাসন হলো পবনমুক্তাসন বা সুপ্ত বজ্রাসন। চিৎ হয়ে শুয়ে প্রথমে ডান পা ভাঁজ করে পেটের সঙ্গে লাগাতে হবে। বাঁ পা তখন সোজা থাকবে।
এরপরে একইভাবে বাঁ পা ভাজ করে পেটে লাগতে হবে। ডান পা তখন সোজা থাকবে। গ্যাস, অম্বল, হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে এই যোগাসন খুবই কার্যকরী।
হাঁটুর ব্যথা - হাঁটুর ব্যথা কমানোর জন্য উত্থানপদাসন করলে মিলবে উপকার। এই আসনটি খুবই সহজ। চেয়ারে বসে পা তোলা ও নামানো। এছাড়াও পেলভিস ব্রিজও করা যেতে পারে। চিৎ হয়ে শুয়ে হাঁটু ভাঁজ করে উপরের দিকে তোলাকে পেলভিস ব্রিজ বলা হয়। এতে থাইয়ের পেশি সঙ্কুচিত বা প্রসারিত হয়। যার ফলে হাঁটুর ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়।
কোমরের যন্ত্রণা - দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করলে কোমরে যন্ত্রণা হতে পারে। এমন সময় ভুজঙ্গাসন করতে পারেন। এতে মিলবে সস্তি। উপুড় হয়ে শুয়ে একটা পা উপরে তুলে একপদ সলভাসন। এছাড়াও পবনমুক্তাসন করলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা - অনেকেই এখন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভগেন। তাদের জন্য সিদ্ধাসন খুবই কার্যকরী। মেরুদণ্ড সোজা রেখে পা গুটিয়ে বসে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে হয় ও ছাড়তে হয়। এটি অনেকটা পদ্মাসনের মতোই দেখতে। সিদ্ধাসনে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাড়ে।
দেহের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে - মাটিতে বজ্রাসনে বসুন। এইবার হাত দুটি সোজা করে মাথার ওপরে তুলে নমস্কারের ভঙ্গিতে জড়ো করুন। এই সময় পেট ও বুক যেন ঊরুর সঙ্গে লেগে থাকে। এই অবস্থায় মনেমনে তিরিশ পর্যন্ত গুনুন। এর পর ধীরে ধীরে সোজা হয়ে বসে শবাসনে বিশ্রাম নিন। এই আসনটিকে অর্ধকূর্মাসন বলে। নিয়মিত এই আসন করলে খুব সহজেই দেহের অতিরিক্ত চর্বি কমানো যাবে।