গর্ভধারণে আগে জীবনে আনুন এই কয়টি পরিবর্তন, জেনে নিন কী কী করা উচিত নয়
বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে গর্ভধারণ নিয়ে নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আধুনিক জীবনযাত্রার দৌলতে আমরা এমন কিছু জিনিস রপ্ত করেছি, যাতে পরোক্ষ ভাবে আমাদেরই ক্ষতি হচ্ছে। এর সঙ্গে আছে স্ট্রেস। এই কারণে নানা রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সকলে। ছেলে মেয়ে উভয়ের মধ্যেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ছেলেদের শুক্রাণুর সমস্যা কমছে। তেমনই, মেয়েদের যেমন গর্ভধারণে সমস্যা হচ্ছে, তেমন গর্ভপাতের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে, গর্ভপাত মানে আর কোনওদিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না এমন নয়। আজ রইল দশটি টিপস। গর্ভধারণ করার আগে অবশ্যই মাথায় রাখুন এই কয়টি জিনিস। তবেই সুস্থ বাচ্চার জন্ম দেওয়া সম্ভব।
- FB
- TW
- Linkdin
সবার আগে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। ডাক্তারি পরমার্শ মেনে আগে কিছু টেস্ট করিয়ে নিন। আপনার ও আপনার শারীরিক কোনও জটিলতা আছে কি না, তা আগে দেখে নিন। তারপর পরিকল্পনা করুন। এতে পরে সমস্যা হবে না। আর আপনাদের শরীরে কোনও রকম জটিলতা থাকবে তা আগেই চিকিৎসার মাধ্যমে ঠিক হয়ে যাবে।
আপনি সন্তান নিতে মানসিক ভাবে প্রস্তুত তো? নাকি পরিবারের চাপে সন্তান নিচ্ছেন? নিজের মনকে এই প্রশ্ন করুন। অনেকে শুধু পরিবারের চাপে সন্তান নিতে চান। অনেক সময় এর খারাপ প্রভাব পরে দাম্পত্য জীবনে। সে কারণে নিজের মনের কাছে পরিষ্কার হন। পরিবারের চাপে নয়, বরং নিজেদের জন্য সন্তান ধারণের পরিকল্পনা করুন।
আজকাল বহু মেয়ে ধূমপান করেন। আপনারও এমন অভ্যেস থাকলে সবার আগে তা ত্যাগ করুন। ধূমপান করলে বাচ্চার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হয়। সিগারেটে এমন কিছু ক্ষতিকারক উপাদান থাকে যা মায়ের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে, তেমনই গর্ভস্থ বাচ্চার শরীরে ক্ষতি করে। তাই ত্যাগ করুন এমন অভ্যেস। মেনে চলুন বিশেষ টোটকা।
মদ্যপানও ত্যাগ করবেন গর্ভধারণের পরিকল্পনা করলে। আজকাল বহু মেয়ে মদ্যপানে অভ্যস্ত। আর পার্টি মানে মদ্যপান মাস্ট। আপনারও এমন অভ্যেস থাকলে সবার আগে তা ত্যাগ করুন। মদ্যপান করলে বাচ্চার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাই এই কাজ না করাই ভালো। এর থেকে গর্ভপাতের সম্ভাবনাও থাকে। তাই মেনে চলুন বিশেষ টোটকা।
ক্লান্তি দূর করতে বারে বারে চা বা কফি খান? এমন অভ্যেস আজই ত্যাগ করুন। অধিক পরিমাণে ক্যাফেইন সেবন বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর। তাই সুস্থ বাচ্চার জন্ম দিতে চাইলে মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা। বারে বারে কফি খাবেন না। এতে বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চা বা কফি পান করুন।
জাঙ্ক ফুডে আমরা সকলেই অভ্যস্ত। রোজও কোনও না কোনও দোকানের খাবার খেয়ে থাকি। গর্ভধারণের পরিকল্পনা করতে এই অভ্যেস ত্যাগ করাই ভালো। এমন খাবারে অধিক নুন ও চিনি থাকে। আর এমন কিছু উপাদান থাকে যা শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি করে। তাই যতটা পারবেন কম খান জাঙ্ক ফুড।
স্ট্রেস মুক্ত জীবন যাপন করুন। গর্ভাবস্থায় স্ট্রেস মা ও বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি করে। জানেন কি, এর থেকে গর্ভপাত পর্যন্ত হতে পারে। এমনকী, স্ট্রেসের কারণে গর্ভধারণের সমস্যা হয়। স্ট্রেস নানা রকম শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি করে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে সবার আগে স্ট্রেস মুক্ত জীবন যাপন করুন। এতে সব রকম জটিলতা থেকে মুক্তি পাবেন।
সুস্থ থাকতে অনেকেই এক্সারসাইজ করেন। তবে, গর্ভধারণের পরিকল্পনা করতে অধিক এক্সারসাইজ করা মোটেও উচিত নয়। সবার আগে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। এমন সময় কোন ধরনের এক্সারসাইজ করা উচিত জেনে নিন। অধিক এক্সারসাইজ বাচ্চার ক্ষতি করে। তাই না জেনে ভুল পদক্ষেপ নেবেন না।
না জেনে ওষুধ খাওয়া ভুলেও উচিত নয় এমন সময়। সারা বছরই হজমের সমস্যা, গ্যাসের সমস্যা ও জ্বর-সর্দির মতো সমস্যা লেগে থাকে। আর আমরা এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিজের মতো ওষুধ খাই। গর্ভধারণের পরিকল্পনা করলে এই স্বভাবের বদল করুন। ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া কোনও রকম ওষুধ খাবেন না এই সময়।
বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে গর্ভধারণ নিয়ে নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আধুনিক জীবনযাত্রার দৌলতে আমরা এমন কিছু জিনিস রপ্ত করেছি, যাতে পরোক্ষ ভাবে আমাদেরই ক্ষতি হচ্ছে। এর সঙ্গে আছে স্ট্রেস। এবার গর্ভধারণের আগে মেনে চলুন এই সকল জিনিস। জীবনের সহজ কয়টি পরিবর্তন সুস্থ সন্তানের জন্ম দেওয়া সম্ভব।