অল্পবয়েসেই বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা, কীভাবে ঠেকাবেন-কীভাবে লক্ষ্মণ চিনবেন
- FB
- TW
- Linkdin
সিদ্ধার্থ শুক্লার মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে সকলকে। শরীরচর্চা করতে ভালবাসা এই প্রাণবন্ত তরুণের হার্ট অ্যাটাকে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউই। মাত্র ৪০ বছরেই থেমে গেল এই অভিনেতার স্বপ্ন দৌড়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন বয়স ৫০ বছর পেরোলেই হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ে। কিন্তু ভারতীয়দের সেই ঝুঁকি ৪০ বছর বয়স থেকেই শুরু হয়ে যায়। ভারতীয়দের জিনে হার্টের অসুখের প্রবণতা অন্যদের তুলনায় বেশি।
চিকিৎসকদের মতে, কিছু উপসর্গ আন্দাজ করে যদি আগে থেকেই সচেতন হওয়া যায়, সেক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক রুখে দেওয়া সম্ভব। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক হলেও তা ঠিকভাবে বোঝা যায় না। তার আগেই শারীরিক ক্ষতি হয়ে যায়। কোনও কোনও সময় বুকে কোনও রকমের যন্ত্রণা ছাড়াও হানা দিতে পারে হার্ট অ্যাটাক।
হৃদরোগের উপসর্গ চিনে নিন- বুকে চাপ চাপ ব্যথা, বুকের এক পাশে কিংবা পুরো বুক জুড়ে ভারী ব্যথা শুরু হলে সতর্ক হোন। বাম হাত, ঘাড় এমনকি, ডান হাতেও একটানা ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মাথা ঘোরা বা ঝিমঝিম করলে সতর্ক হওয়া উচিত। চাপের সঙ্গে ঘাম হচ্ছে কি না, সে বিষয়েও সচেতন হোন। এই সময় রক্ত সঞ্চালনে হৃদপিণ্ডকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। নাভি থেকে গলা পর্যন্ত যে কোনও জায়গাতেই ব্যথা হতে পারে, যা বেশিরভাগ রোগী গ্যাসের ব্যথা ভেবে ভুল করেন।
বমি ভাব হওয়া, বিনা কারণে অস্থির লাগা, বুক ধড়ফড় করা, সর্দি বা কাশিও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। আবার বেশিরভাগ সময় বুকে ব্যথা খুবই তীব্র হয়, ফলে শরীরের অন্য অংশে ব্যথা অনেকে টের পান না।
কাদের হতে পারে- উচ্চ রক্তচাপ, হাই ব্লাড সুগার, ধূমপানের অভ্যাস, কোলেস্টেরল বেশি থাকলে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেশি। এসব রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত চিকিৎসা না করালে ফল মারাত্মক হতে পারে। তবে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের কারণ হিসাবে পারিবারিক ইতিহাস আর বয়সকে ধরেন চিকিৎসকেরা।
কীভাবে ঠেকাবেন হার্ট অ্যাটাক- একটা বয়সের পর জীবনে রুটিন আনা জরুরি। নিয়মিত হাঁটা-চলা ও ব্যায়াম করতে হবে। সুষম খাবার খেতে হবে। সর্বদা সক্রিয় থাকতে হবে।
খাবার ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। ধূমপানের অভ্যেস থাকলে আজই বন্ধ করুন। চিকিৎসকের কাছে রুটিন মাফিক পরামর্শ নিন।
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদির মতো সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেষ্ট হোন। চিন্তামুক্ত থাকতে হবে, টেনশনে পড়ে একের পর এক সিগারেট খাওয়ার মতো বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন।