'ভারত রাষ্ট্র' গঠনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠান
- FB
- TW
- Linkdin
যদি ভোট গণতন্ত্রের চাবিকাঠি হয়, পার্লামেন্ট এটিকে নিশ্চিত করে। প্রথম লোকসভা তৈরি হয়েছিল ১৭, এপ্রিল ১৯৫২ সালে। যেখানে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সদস্যরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। প্রথম লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল ১৩ মে, ১৯৫২ সালে। মে ১৬ তে এটি সাক্ষী ছিল স্বাধীন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের, নিনি ছিলেন রাজেন্দ্র প্রসাদ। সে মুহূর্তে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা, বৈদেশিক রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক, রাজ্যগুলির উন্নতি ইত্যাদি সবক্ষেত্রেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রসাদ।
বিচার বিভাগের এমন একটি সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান হলো সুপ্রিম কোর্ট, যা ভারতের প্রতিটি নাগরিকের আইনগত অধিকার ও বৈধতাকে রক্ষা করা ও নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দেয়া। সংবিধানের ১২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের জন্ম, এটিকে সবচেয়ে শক্তিশালী ধারা হিসেবে গণ্য করা হয়। এই অর্ষঙ্গে ১৯৭৯ সালে একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। সেই সময় অর্থাৎ আইনজীবী কপিলা হিঙ্গরানী, বিহার বন্দি বিচারাধীন বন্দীদের দুঃখ দুর্দশার কথা প্রকাশ্যে আনেন, এই সম্পর্কে সুমপ্রীম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এই বন্দিদের মুক্তির জন্য আবেদন করেন। এই আবেদনে মূল যিনি ছিলেন তাঁর নাম ছিল হুসেনারা খাতুন যিনি বিহার জেলে বন্দি ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে সহ ৪০,০০০ বন্দিকে মুক্তি দেয়। এর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট বুঝিয়ে দেয় দেশের প্রতিটি মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকারকে সে সুনিশ্চিত করতে চায়।
স্বাধীন ভারতের বুকে, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায়, অন্যতম প্রতিষ্ঠানের নাম হলো ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া। এই প্রসঙ্গে ২০০৭-এর একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা যায়, গুজরাটের গির ফরেস্টের মধ্যে বানেজ পোলিং স্টেশনে ২০০০ সাল থেকে ভোটদানের রেকর্ড ১০০%। কারণ ২০০৯ পর্যন্ত পোলিং স্টেশনে একমাত্র ভোটারের নাম ছিল মহন্ত ভরতদাস দর্শনদাস। যিনি প্রাণত্যাগ করার আগে পর্যন্ত ভোটদান করে গিয়েছেন। এই ঘটনার জন্য নির্বাচন কমিশন একটা জিনিস বুঝিয়ে দিয়েছে যে একটা ভোট ও মূল্যবান। যে সাংবিধানিক ক্ষমতায় এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম তার মর্যাদাকে রক্ষা করা, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে নিশ্চিত করা তার আশু কর্তব্য।
প্রধান মন্ত্রীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠে মন্ত্রী-পরিষদ। রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমেদের সময় ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন, ইন্দিরা গান্ধীর পরামর্শে তৈরি হয় প্রথম মন্ত্রী-পরিষদ আর্টিকেল ৩৫২-এর অধীনে। মন্ত্রী-পরিষদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এই মন্ত্রী-পরিষদের লিখিত প্রস্তাবে এমার্জেন্সি ঘোষণা পর্যন্ত হতে পারে।
ভারতের সাংবিধানিক প্রধান, ও তিন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান ভারতের রাষ্ট্রপতি। ভারতের রাষ্ট্রপতির বিল পাস ও বিল বাতিলের অধিকার রয়েছে। ১৯৮৭ তে রাষ্ট্রপতি জইল সিং তাঁর ভেটো ক্ষমতার ব্যবহার করে ১৯৮৬- তে পাস হওয়া পোস্ট অফিস বিল বাতিল করে দিয়েছিলেন, যেই বিলের দ্বারা তৎকালীন ভারতীয় সরকার ভারতীয় নাগরিকের সমস্ত চিঠিপত্র দেখতে পারতেন। 'পকেট ভেটো' দেওয়ার ফলে বিলটি পার্লামেন্টে ফেরত না গেলেও আর কখনো আইনে পরিণত হয়নি।