জেলে বসেই কোটি কোটি টাকার তোলাবাজি, সুকেশ চন্দ্রশেখরের বাড়ি দেখে চোখ কপালে উঠল ED-র
বিচারাধীন হিসেবে দিল্লির রোহিনী জেলে বন্ধি সুকেশ চন্দ্রশেখর। গত এক বছরের মধ্যে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে তোলাবাজিসহ সংশোধনাগারের ভিতর থেকে একটি ব়্যাকেট চালানোর অভিযোগে আরও ২০টি মামলা রয়েছে। সেই সুকেশের বাড়ি থেকে ইনফোর্সমেন্টা ডাইরেক্টরের তল্লাশিতে যে পরিমাণে দামি দামি সামগ্রী পাওয়া গেছে তা দেখে মাথায় হাত পড়েছে কর্মকর্তাদের।
| Published : Aug 25 2021, 12:43 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
১০ কোটি মূল্যের বাংলো
ভার্সেস পার্টি ইতালিয় মার্বেল আর ঝাড়বাতি দামি দামি সামগ্রি দিয়ে সাজানো সুকেশ চন্দ্রশেখরের চেন্নাইয়ের সমুদ্রতীরবর্তী বাংলোটি। ইডি সেই বাংলোতেই তল্লাশি চালায়। যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও অনেক দামি সামগ্রী। যা দেখে মাথায় হাত পড়েছে কর্তকর্তাদের। বাংলোর ভিতর আর বাইরে থেকে চোখ কাপালে উঠেছে অফিসারদের। বাড়ির মধ্যেই রয়েছে একটি মিনি বার, হোম জিম, আর সুইমিং পুল। ইডির এক কর্তা জানিয়েছেন গোটা বাড়ি দাবি আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো।
কোটি টাকার অন্দর সজ্জা
সুকেশ চন্দ্রশেখরের বাড়ি দেখে রীতমত হতভম্ব তদন্তকারী অধিকারিকরা। ঘরে কোটি কোটি টাকার ভাষ্কর্য রয়েছে। পুরো বাড়িটি খুব সুন্দর করে সাজানো। জিমে রয়েছে ট্রেডমিল। বাড়ির আলোকসজ্জাও রীতিমত চোখধাঁধানো। পুরনো আর আধুনিক - দুইরকম জিনিসই অন্দর সজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে।
বিলাসবহুল গাড়ি
সুরেশের বাড়ির গ্যারাজে রয়েছে ল্যাম্বোরগিলি, পোর্শেস, রোলস রয়েস, ফেরারিস, বেন্টেলিস, মার্সিডিস, বিএমডাব্লু, ল্যান্ড রোভার। সব গাড়ি এদিন বাজেয়াপ্ত করে ইডি। সেগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয় রীতিমত সারি দিয়েছ জামা কাপড় আর জুতোর সম্ভারও যে কোনও ধনী মানুষকে লজ্জায় ফেলে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন ইডি কর্তারা।
সাম্রাজ্য পরিচালনা
জেলে বলেই এই বিশাল সাম্রাজ্য পরিচালনা করল সুরেশ। কিন্তু কী করে- তা জানতেই তার বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সূত্রের খবর জেলেই উন্নতমানের ফোন ব্যবহার করত সুরেশ। সহকর্মী হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন জেলেরই পুলিশ অধিকারিকদের। তাদের সহাজ্যে জেলে বসেই কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন চালাত সুরেশ।
ছন্দ পতন
একটি গোপনীয় টিপ-অফ পাওয়ার পরেই ইডি সুকেশ চন্দ্রশেখরের গতিবিধির ওপর নজর রাখে। সেই সময়ই তদন্তকারীরা জানতে পারে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা সমাধানের বিনিয়মে সে এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীক কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নিয়েছিল। সেই মহিলা টাকা নিয়ে দিল্লিতে আসতেন। সুরেশের লোকজন সেই টাকা সংগ্রহ করত। গত এক বছরে ৩০-৩৫ বার মহিলা টাকা দিয়েছেন।
সঙ্গে ব্যাঙ্ক কর্তাও
জেলবন্দি সুরেশকে ট্র্যাক করতে সময় লেগেছিল ইডির কারণ তার সহকর্মীরা ছদ্মবেশেই পুরো কাজকর্ম করত। তবে তাদের ট্র্যাক করেই এক ব্যাঙ্ক কর্তার সন্ধান পায় তদন্তকারীরা। তার বাড়ি থেকে ৮২ লক্ষ টাকা ও প্রচুর সোনার গয়না উদ্ধার করে। রোহিনীর জেলের দুই আধিকারকেও গ্রেফতার করাহয়েছে।
ইডির বিবৃতি
ইডি জানিয়েছেন সুকেশ চন্দ্রশেখরের চেন্নাইয়ের সমুদ্রতীরবর্তী বাংলা সহ একাধির বিলাশবহু গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে আভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ঘুস মামলার আসামী সুকেশ। ইডি জানিয়েছে ১৭ বছর বয়স থেকেই অন্ধকার জগতে যাতায়াত। জেলে বন্দি থেকেও অপরাধ জগতের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়নি।