ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে অভিষেক, দেখুন সেই মুহূর্তের কিছু ছবি
সোমবার সকালে ত্রিপুরায় পা রাখেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল সেখানকার পরিস্থিতি। কিন্তু, অভিষেক যাওয়ার পর উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। তাঁর কনভয়ে হামলা থেকে শুরু করে তাঁকে 'গো ব্যাক' স্লোগান দেওয়া, সবই চলেছিল। কিন্তু, সব বাধা পেরিয়ে ত্রিপুরেরশ্বরীর মন্দিরে যান তিনি। সেখানে পুজোও দেন। ছবিতে দেখে নিন তাঁর পুজো দেওয়ার কিছু মুহূর্ত।
- FB
- TW
- Linkdin
সকালে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে আগরতলার বিমানে চড়েছিলেন অভিষেক। ত্রিপুরা পৌঁছানোর পর তাঁকে বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান তৃণমূল নেতারা। খেলা হবে গানের স্লোগানে দলের তরফে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। (ফটো সৌজন্যে : টুইটার)
বিমানবন্দর থেকে সোজা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন অভিষেক। বেলা ১২টা নাগাদ ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা ছিল ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদের। কিন্তু, বিমানবন্দরের বাইরে পা রাখার পরই একাধিক বাধার সম্মুখীন হন তিনি। তাঁকে ঘিরে উঠতে শুরু করে স্লোগান। (ফটো সৌজন্যে : টুইটার)
ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার পথে চড়িলাং এলাকায় আটকানো হয় অভিষেকের কনভয়। পোস্টার হাতে রাস্তা অবরোধ করে স্কুলপড়ুয়ারা। ওঠে গোব্যাক স্লোগান এবং দেখানো হয় কালো পতাকা। এদিন তাঁর সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং ঋতব্রত বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। (ফটো সৌজন্যে : টুইটার)
পড়ুয়াদের বিক্ষোভ করতে দেখে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন অভিষেক। কথা বলেন বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে। বেশ কিছুক্ষণ পর রাস্তা ছেড়ে দেয় তারা। এরপর ফের সেখান থেকে কনভয় নিয়ে মন্দিরের দিকে তিনি রওনা দেন। কিন্তু, তারপরেই রাস্তায় বাধা পান তিনি। (ফটো সৌজন্যে : টুইটার)
তাঁর গাড়িতে হামলা চালান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সেই ভিডিও তিনি নিজেই টুইট করেছিলেন। সেখানে দেখা গিয়েছে হাতে বিজেপির পতাকা নিয়ে রাস্তার পাশে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কর্মী সমর্থকরা। এরপর গাড়ি একটু এগোতেই তার উপর বাঁশ ও লাঠি নিয়ে তাঁরা হামলা চালান। এর হামলায় তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে গিয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিনজন জখম হয়েছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। (ফটো সৌজন্যে : টুইটার)
তারপর ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পৌঁছান অভিষেক। মন্দিরের বাইরেও তাঁকে গোব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। কোনওরকম অপ্রীতিকর অবস্থা যাতে তৈরি না হয় তার জন্য মন্দিরে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ। মন্দির চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, 'ত্রিপুরার মানুষ এর বিচার করবেন।'(ফটো সৌজন্যে : টুইটার)
মন্দিরে নিষ্ঠাভরে পুজো দিতে দেখা গিয়েছে অভিষেককে। পুষ্পাঞ্জলিও দেন তিনি। এরপর শিবের পুজোও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। শিবলিঙ্গে জল ঢালেন তিনি। তারপর পুজো দেন। মন্দিরের পুরোহিতদের থেকে টিকাও পরেন মাথায়। এর মাধ্যমেই ত্রিপুরায় যাত্রা শুরু করলেন অভিষেক। (ফটো সৌজন্যে : টুইটার)
বিকেলের দিকে সাংবাদিক বৈঠক করে কার্যত সে রাজ্যের বিজেপি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। বলেন, "আমরা ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করছি। আগামী দেড় বছরে রাজ্যকে বিজেপি সরকারের অপশাসন থেকে মুক্ত করা এবং আমাদের সরকার গড়ার লক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে।"
ত্রিপুরায় সরকার গঠনই যে লক্ষ্য তাও বারেবারে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর হুঁশিয়ারি, "সারা দেশে বিজেপিকে কেউ ল্যাজেগোবরে করে হারাতে পারে সেই দলের নাম তৃণমূল কংগ্রেস। নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ থেকে বিজেপির বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। সমাজবিরোধীদের খেলা শেষ। মা-মাটি মানুষের খেলা শুরু।" (ফটো সৌজন্যে : টুইটার)