১৮ দিন পরেও ধার কমেনি কৃষক আন্দোলনের, অমিত শাহের বাড়িতে আরও একদফা বৈঠক
১৮ দিন পরেও নিজেদের দাবিতে অনড় দিল্লির বিক্ষোভরত কৃষকরা। রবিবারও তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি তুলে নিজের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করেন আন্দোলনকারী। রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে বৈঠকের পর রাতেই দিল্লি নয়ডা থেকে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেন। এদিন সকাল থেকে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। তবে সিংহু বর্ডারে আরও ক্রমশই বাড়ছে বিক্ষোভকারী কৃষকদের সংখ্যা।
- FB
- TW
- Linkdin
শনিবারই কৃষকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন তারা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চায়। কিন্তু তারা শুধুমাত্র নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয় নিয়েই আলোচনা করবেন। তারা জানিয়েছেন, সংস্কারের কোনও প্রস্তাব সংশোধনী নিয়ে তারা আলোচনা করবে না।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি দিল্লি- জয়পুর সড়ক অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারী কৃষকরা। প্রায় বন্ধ জয়পুর-দিল্লির যান চলাচল।
দিল্লি থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে রাজস্থানের শাহজাহানপুরেও জড়ো হয়েছেন কৃষকরা। দিল্লি চলো স্লোগান তুলে তারা জাতীয় রাজধানীর দিকে এগিয়ে আসছে।
অন্যদিকে রাজস্থানের সীমান্ত জয়সিংহপুর ও খেরে এলাকায় বিক্ষোভকারী কৃষকদের আটকাতে ব্যারিকেড করে দিয়েছে স্থানীয় নিরাপত্তা রক্ষী রা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে বৈঠকের পর রবিবার থেকে দিল্লি নয়ডা সীমান্ত থেকে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিয়েছে কৃষকরা। এই এলাকায় দিয়ে উত্তর প্রদেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হচ্ছে।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বাড়িতে আরও একদফা বৈঠক হয় কৃষক বিক্ষোভ ইস্যুতে। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। রয়েছেন সোম প্রকাশ। এর আগেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে কৃষি মন্ত্রী ও বাণিজ্য মন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক বার আলোচনা করেছিলেন। বৈঠক করেছিলেন আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গেও।
দিল্লি পঞ্জাব সীমান্ত দুই শিখ ভাই আন্দোলনরত কৃষকদের মধ্যে শীত বস্ত্র বিলি করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওপর তাঁদেক সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয় একটি রাস্তা বার করবেন।
অমৃতসরের এক পাত্র আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়েয়েছেন। তিনি বলেছেন তিনি বিয়ে করতে দিল্লি যাচ্ছেন। আর সেখানে গিয়ে তিনি আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে দেখা করবেন। একই সঙ্গে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহের বিষয়ে সমর্থন জানাবেন।