- Home
- India News
- ২০১৯ থেকে একের পর এক সাইক্লোন - বুলবুল থেকে যশ - কতগুলি ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করেছে ভারত
২০১৯ থেকে একের পর এক সাইক্লোন - বুলবুল থেকে যশ - কতগুলি ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করেছে ভারত
- FB
- TW
- Linkdin
ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas)
প্রথমে আশঙ্কা করা হয়েছিল, এটি সরাসরি আছড়ে পড়বে বাংলায়। পরে দিক বদলে ২৬ মে তারিখে ওড়িশার বালাসোর দিয়ে স্থলপথে প্রবেশ করেছিল। ওড়িশা ও বাংলা - দুই রাজ্য়েই বড় মাপের সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রাণহানির সংখ্যা ওড়িশায় ৪, পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ২। সঙ্গে পূর্ণিমা থাকায়, বহু এলাকাই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় তাউতে (Cyclone Tauktae)
২০২১ সালের ভারত প্রথম যে ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করে, সেটি হল আরব সাগর থেকে উত্থিত ঘূর্ণিঝড় তাউতে। ১৭ মে দক্ষিণ গুজরাতে আছড়ে পড়েছিল এই অত্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। গুজরাতের পোরবন্দর, আমরেলি, জুনাগড়, গির সোমনাথ এবং আহমেদাবাদ, এবং মুম্বইসহ মহারাষ্ট্র ও গোয়াতেও এই ঝড় তাণ্ডব চালিয়েছে। সব মিলিয়ে ১৭৪ জনবের মৃত্যু হয়েছে। ৮১ জন এখনও নিখোঁজ।
ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ (Cyclone Nisarga)
২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রাক-বর্ষা ঘূর্ণিঝড় ছিল ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ। এটিও আরব সাগর থেকেই উত্থিত হয়েছিল। মুম্বইয়ের আলিবাগে এটির ল্যান্ডফল হয়েছিল পরের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। ২০০৯ সালের পর এই প্রথম এতবড় ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়েছিল মুম্বই। মহারাষ্ট্রে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ১৬ জন আহত হয়েছিলেন।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান (Cyclone Amphan)
প্রায় এক শতাব্দী পর প্রথমবার বর্ষা আসার আগেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছিল। আর সেই ঘূর্ণিঝড় ছিল একেবারে সুপার সাইক্লোন। অতিদ্রুত শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছিল আমফানের। এই শক্তিশালী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক জীবন ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছিল। সেই ক্ষত এক বছর পরও মেটেনি।
ঘূর্ণিঝড় কায়ার (Cyclone Kyarr)
২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় গোনুর পর, আরব সাগরে তৈরি হওয়া দ্বিতীয় শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ছিল ঘূর্ণিঝড় কায়ার। ভারতীয় উপকূল হয়ে এই ঘূর্ণিঝড় এডেন উপসাগরের দিকে চলে গিয়েছিল। ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সোকোত্রা, সোমালিয়ার পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছিল পশ্চিম ভারতের কয়েকটি রাজ্যেরও।
ঘূর্ণিঝড় মহা (Cyclone Maha)
চরম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে আরব সাগরে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় মহা। তছনছ হয়ে যেতে পারত পশ্চিম ভারতের বিরাট অংশ। তবে সৌভাগ্যবশত, ভারতীয় পশ্চিম উপকূলের সমান্তরালে এগোতে এগোতে ক্রমে শক্তি হারাতে থাকে ঘূর্ণিঝড়টি। শেষে গুজরাতে স্থলভাগে প্রবেশের সময় একেবারেই দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল।
ঘূর্ণিঝড় বায়ু (Cyclone Vayu)
ঘূর্ণিঝড় বায়ু-ও তৈরি হয়েছিল আরব সাগরেই। ১৯৯৮ সালের গুজরাট সইক্লোনের পর ঘূর্ণিঝড় বায়ুই রাজ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল। তবে গুজরাতে তুলনায় প্রাণ ও সম্পদহানী, দুইই কম হয়েছিল। ভারতের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় বায়ুর প্রভাব পড়েছিল, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও ওমানেও।
ঘূর্ণিঝড় হিক্কা (Cyclone Hikka)
২০১৯ সালে আরব সাগর থেকে মোট ৪ টি বড় আকারের ঘূর্ণিঝড়ের উত্থান ঘটেছিল। তার প্রথমটি ছিল, ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। ভারতের পশ্ছিম উপকূলের সামান্য পশ্চিমে এর উত্থান ঘটলেও ঝড়টি ভারতে না এসে ওমানে আছড়ে পড়েছিল।
ঘূর্ণিঝড় ফনি (Cyclone Fani)
১৯৯৯ সালের ওড়িশা সুপার সাইক্লোনের পর পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে সবথেকে শক্তিশালী যে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় আঘাত করেছিল, সেটি ছিল ঘূর্ণিঝড় ফনি। ভারত মহাসাগর থেকে উত্থিত হয়ে এবং ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ পূর্ব ভারতে বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ব্যাপক প্রাণহানি ও সম্পত্তির ক্ষতি করেছিল। ভারদতের বাইরে এর ঝাপটা সহ্য করতে হয়েছিল বাংলাদেশ, ভুটান এবং শ্রীলঙ্কাকে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল (Cyclone Bulbul)
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলও ছিল একটি অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, আছড়ে পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। এর প্রভাবে যে ব্যাপক বৃষ্টিপাত এবং বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন এবং সম্পদেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ভারত ছাড়া বাংলাদেশেও এই ঝড়ে ব্য়াপক ক্ষতি হয়েছিল।