ভারতের এই ১০টি জায়গা থেকে কেউ ফিরে আসেনি, রইল তার তালিকা
- FB
- TW
- Linkdin
ডাউহিল : পশ্চিমবঙ্গের কার্শিয়াংয়ের ডাউহিলকে কেন্দ্র করে নানা বিতর্ক রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা তো বটেই, প্রচুর অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় সাহসী মানুষকেও কাঁপিয়ে দিয়েছে ডাউহিল। ডাউহিলের দুটি স্কুল এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে প্রচুর ভৌতিক ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন এলাকার বাসিন্দারা।
ভানগড় কেল্লা : ভারতের তথা বিশ্বের সর্বাধিক ভয়ঙ্কর এই স্থান বহু বছর ধরেই অভিশপ্ত। রাজস্থানের ভানগড় কেল্লায় রাতে প্রবেশের অনুমতি ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগও দেয় না। শোনা যায় এই কেল্লার রাজকন্যাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল এক তান্ত্রিক। তবে তাকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়। তান্ত্রিকের অভিশাপেই নাকি আজও অভিশপ্ত এই কেল্লা। রাতে এখানে কেউ গেলে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না!
দুমা সৈকত : গুজরাট রাজ্যের দুমা সৈকত একসময়ের শ্মশান হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে সেই শ্মশান অবশ্য পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ওই শ্মশানে যাদের দাহ করা হয়েছে, তাদের প্রেতাত্মা নাকি আজও শ্মশানে ঘুরে বেড়ায়।
জাতিঙ্গা : অসমের জাতিঙ্গা এলাকার উপর দিয়ে যখনই কোনও পাখি উড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তখনই কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেই পাখিদের মৃত্যু হয়। দলে দলে পাখি মৃত অবস্থায় আকাশ থেকে ঝরে পড়ে মাটির বুকে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, ভূতের উপদ্রবের কারণেই এমনটা হয়। এর আজও কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি।
বম্বে হাই কোর্ট : তেনাদের উপদ্রব নাকি বম্বে হাইকোর্টেও রয়েছে! বহু আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে এই আদালত চত্বরে। তাই মানুষের বিশ্বাস, মৃতদের অভিশপ্ত প্রেতাত্মারা আজও আদালত চত্বরে ঘুরে বেড়ায়।
লম্বি দেহার খনি : উত্তরাখণ্ডের এই খনিতে একসময় খনি বিস্ফোরণের কারণে বহু শ্রমিকের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, আজও সেই মৃত শ্রমিকদের প্রেতাত্মার আর্তনাদ শোনেন তারা। শোনা যায় হাড় হিম করা নানা শব্দ।
অগ্রসেন কি বাওলি : খোদ দিল্লিতেই রয়েছে এরকম ভৌতিক স্থান। দিল্লি শহরের বুকে অগ্রসেন কি বাওলিতে ছুটি কাটাতে আসেন বহু পর্যটক। পর্যটকদের মধ্যে অনেকেই দাবি করেছেন যে যখন তারা ওই পর্যটনস্থলে আসেন, তখন তাদের মনে হয় কে যেন তাদের অনুসরণ করছে।
ডি’সুজা চল : মুম্বই শহরের বুকে রয়েছে এই আবাসন। এলাকার বাসিন্দাদের বিশ্বাস, কোন এক সময় ওই এলাকায় এক মহিলা পাত কুয়োতে পড়ে মারা যান। তারপর থেকেই নাকি রাতে তার আত্মা ঘুরে বেড়ায় ওই এলাকায়।
কুলধারা গ্রাম : ১৮২৫ সালে গ্রামের বাসিন্দারা হঠাৎই রাতের অন্ধকারে দলবেঁধে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। রাতারাতি সম্পূর্ণ গ্রাম ফাঁকা হয়ে যায়। এরপর থেকেই গ্রামটিকে অভিশপ্ত গ্রামের তকমা দেওয়া হয়।
রামোজি ফিল্ম সিটি : অবাক লাগলেও সত্যি। এই শুটিং চত্বরেও নাকি ভূতের উপদ্রব রয়েছে। লোকমুখে শোনা যায় সুলতানি আমলে বহু সেনাকে কবর দেওয়া হয়েছিল ওই অঞ্চলে। সেই সমাধিক্ষেত্রের ওপরেই গড়ে উঠেছে রামোজি ফিল্ম সিটি। বিনা কারণেই নাকি এখানে হঠাৎ হঠাৎ আলো নিভে যায়, আয়নার কাঁচ ভেঙ্গে পড়ে!