MalayalamNewsableKannadaKannadaPrabhaTeluguTamilBanglaHindiMarathiMyNation
  • Facebook
  • Twitter
  • whatsapp
  • YT video
  • insta
  • এই মুহূর্তের খবর
  • ভারত
  • পশ্চিমবঙ্গ
  • বিনোদন
  • ব্যবসা
  • লাইফ স্টাইল
  • ফোটো
  • ভিডিও
  • জ্যোতিষ
  • বিশ্বের খবর
  • Home
  • India News
  • রাফাল না চিনের জে ২০, নাকি পাকিস্তানের এফ ১৬, দেখে নিন যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে কোনটি

রাফাল না চিনের জে ২০, নাকি পাকিস্তানের এফ ১৬, দেখে নিন যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে কোনটি

অবশেষে বহু প্রতিক্ষার অবসান। ভারত পেয়ে গেল রাফাল। আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটির 'গোল্ডেন অ্যারো' ১৭ নম্বর স্কোয়াড্রনের অর্ন্তভুক্ত করা হল ৫টি রাফালকে। সফর বিশেষজ্ঞরা বলছেন রাফাল হাতে পেয়ে যাওয়ায়  একধাক্কায় ভারতীয় বায়ুসেনার অনেকটাই শক্তিবৃদ্ধি হল৷ কারণ এতদিন চিন তো বটেই, পাকিস্তানের এফ-১৬ ও জেএফ ১৭-র  মোকাবিলা করার মতো আধুনিক যুদ্ধবিমানও ভারতের হাতে ছিল না৷ সেই ঘাটতি মিটিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনাকে অনেকটাই এগিয়ে দেবে রাফাল৷ 

5 Min read
Asianet News Bangla
Published : Jul 29 2020, 09:46 AM IST
Share this Photo Gallery
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Whatsapp
  • GNFollow Us
118

রাফাল আসার পরে আকাশযুদ্ধের প্রযুক্তিতে চিনকে পিছনে ফেলে দিতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। আর উৎকর্ষের এই লড়াইয়ে পাকিস্তান বিমানবাহিনী কার্যত তুলনাতেই আসবে না। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের চেংদু এয়ারক্র্যাফটস ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপ নির্মিত চতুর্থ প্রজন্মের ‘মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট’ জেএফ-১৭ থান্ডার এমনকি, পঞ্চম প্রজন্মের (বেজিংয়ের দাবি অনুযায়ী) ‘স্টেলথ এয়ার সুপিরিওরিটি ফাইটার’ জে-২০-র চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রাফাল।

218

চিনের পাশাপাশি পাকিস্তান, মায়ানমার এবং নাইজিরিয়ার বিমানবাহিনী জেএফ-১৭ থান্ডার ব্যবহার করে। তবে চিন এখনও তার আধুনিকতম যুদ্ধবিমান জে-২০ অন্য কোনও দেশকে বিক্রি করেনি। তবে পাকিস্তানকে জেএফ-১৭-র আধুনিকতম সংস্করণ ‘ব্লক-৩’ দিয়েছে চিন।

318

লাদাখ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারতকে একসঙ্গে দু’টি  ক্ষেত্রে (চিন ও পাকিস্তান) লড়ার জন্য প্রস্তুত হতে হচ্ছে। ৩৬টি রাফাল হাতে আসার পরে অন্তত আকাশে  একসঙ্গে চিন ও পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে পারবে ভারত। আর সেখানেই উঠে আসছে, জেএফ-১৭ এবং জে-২০-র বিরুদ্ধে আকাশযুদ্ধে রাফালের সাফল্যের সম্ভাবনার প্রসঙ্গ। 

418

পাকিস্তানের বায়ুসেনায় আমেরিকায় তৈরি এফ ১৬ যুদ্ধবিমান ছাড়াও চিনে তৈরি চেংগডু জেএফ ১৭ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে৷ অন্যদিকে পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স বা চিনের বায়ুসেনার মূল অস্ত্র চেংগডু জে ২০এস যুদ্ধবিমান৷ 

518

পাকিস্তান এবং চিনের বায়ুসেনা যে জেএফ ১৭ এবং জে ২০ যুদ্ধবিমানগুলি ব্যবহার করছে, সেগুলি দিনে এবং রাতে উড়তে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই চালাতে সক্ষম৷ চিনের দাবি অনুযায়ী, জেএফ ১৭ ফোর্থ জেনারেশন এবং জে ২০ ফিফথ জেনারেশন এয়ারক্রাফট৷

618

অন্যদিকে রাফালকে বলা হচ্ছে ৪.৫ জেনারেশন এয়ারক্রাফট৷ রাফালের নির্মাণকারী সংস্থা দাসল্ট-এর দাবি, এগুলি ওমিনিরোল এয়ারক্রাফট৷ অর্থাৎ প্রত্যেকটি মিশনে এই যুদ্ধবিমানকে যে লক্ষ্যে কাজে লাগানো হয়, প্রয়োজনে রাফাল তার থেকেও অতিরিক্ত করার ক্ষমতা রাখে৷

718

দাসল্টের দাবি অনুযায়ী, যখন রাফাল যুদ্ধবিমান তৈরির পরিকল্পনা হচ্ছিল, তখন ফরাসি বায়ুসেনা এবং নৌসেনা এমন একটি যুদ্ধবিমান চেয়েছিল যা ওই দুই বাহিনীর হাতে থাকা সাত ধরনের যুদ্ধবিমানের কাজ একা করতে পারবে।

818

রাফাল এবং পাকিস্তানের ব্যবহৃত জেএফ ১৭ যুদ্ধবিমান সিঙ্গল এবং ডবল সিটে পাওয়া যায়৷ অন্যদিকে চিনের জে ২০ যুদ্ধবিমানে একটি আসনই থাকে৷ চুক্তি অনুযায়ী ভারত ২৮টি একক সিটের এবং প্রশিক্ষণের জন্য ৮টি ডবল সিটের রাফাল কিনেছে৷

918

চিন তার জে-২০-কে ‘সম্পূর্ণ স্টেলথ’ (রাডার নজরদারি ফাঁকি দিতে সক্ষম) বলে দাবি করলেও মার্কিন ও ইউরোপীয় বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশেরই এ বিষয়ে সংশয় রয়েছে। তাঁদের মতে, চিনা বিমানটি বড় জোর ‘আংশিক স্টেলথ’। বস্তুত, ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০এমকেআই ফাইটার জেটের রাডার সীমান্তে জে-২০-র গতিবিধি চিহ্নিত করেছে বেশ কয়েক বারই। প্রযুক্তিগত অন্য দিকগুলিতেও ৪.৫ প্রজন্মের রাফালের তুলনায় জে-২০ পিছিয়ে রয়েছে বলেই তাঁদের মত। তা ছাড়া, আফগানিস্তান, লিবিয়া এবং সিরিয়ার যুদ্ধে ইতিমধ্যেই রাফাল তার দক্ষতা প্রমাণ করেছে। জে-২০ এবং জেএফ-১৭ কিন্তু এখনও ‘পরীক্ষিত’ নয়। কারণ, যুদ্ধের অনুশীলন আর প্রকৃত যুদ্ধে অংশগ্রহণের মধ্যে ফারাক থেকেই যায়।

1018

জোড়া ইঞ্জিনবিশিষ্ট রাফাল-এ ব্যবহৃত স্নেকমা এম-৮৮ টার্বোফ্যান জে-২০-র চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। আর এক ইঞ্জিনের হালকা জেএফ-১৭ এ ক্ষেত্রে রাফালের তুলনাতেই আসে না। ভারতীয় বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল আর নাম্বিয়ারের কথায়, ‘‘জেএফ-১৭-র ইঞ্জিন রুশ সুখোই-৩০ (যা প্রায় দু’দশক ধরে ভারতীয় বায়ুসেনায় রয়েছে)-এর চেয়ে বেশি উন্নত নয়।’’

1118

সূত্র অনুযায়ী, এই তিন ধরনের যুদ্ধবিমানের মধ্যে চিনের জে ২০ সবথেকে ভারী৷ খালি অবস্থায় এর ওজন ১৯০০০ কেজি আর টেক অফ করার সময় সর্বোচ্চ ৩৭,০১৩ কেজি ওজন থাকতে পারে এই যুদ্ধবিমানের৷ অন্যদিকে খালি অবস্থায় রাফালের ওজন ৯৯০০ থেকে ১০৬০০ কেজি৷ আর সর্বোচ্চ টেক অফ ওয়েট ২৪৫০০ কেজি৷ এই তিন ধরনের যুদ্ধবিমানের মধ্যে জেএফ ১৭- এর ওজন সবথেকে হাল্কা৷ খালি অবস্থায় ৬৪১১ কেজি এবং সর্বোচ্চ টেক অফ ওয়েট ১২৪৭৪ কেজি৷ অর্থাৎ জেএফ ১৭-এর তুলনায় রাফাল ও জে ২০ অনেক বেশি জ্বালানি এবং অস্ত্র বহনে সক্ষম।

1218

১৫.৩ মিটারের রাফালের তুলনায় জে-২০-র দৈর্ঘ অনেকটাই বেশি— প্রায় ২০.৫ মিটার। রাফালের ডানার দৈর্ঘ ১০.৯ মিটার। জে-২০-র কমবেশি ১৩। কিন্তু ফরাসি নির্মাতা দাঁসো অ্যাভিয়েশন তাদের বিমানে যে অভিনব ক্লোজ-কাপল্‌ড ক্যানার্ডের ডেল্টা উইংড কনফিগারেশন তৈরি করেছেন, তা আকাশযুদ্ধের ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকরী। হাই-অ্যাঙ্গেলড অ্যাটাকে রাফালের দক্ষতা অনেক বেশি।

1318

রাফালের নির্মাণকারী সংস্থা দাসল্টের দাবি অনুযায়ী, পাখার নকশার জন্য উঁচু কোণ থেকেও শত্রুপক্ষের উপরে তীব্র হামলা চালাতে সক্ষম রাফাল, যা আকাশে লড়াইয়ের সময় এই যুদ্ধবিমানকে প্রতিপক্ষের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রাখে৷

1418

গতির লড়াইয়ে অবশ্য কিছুটা এগিয়ে জে-২০। ঘণ্টায় ২.০ ম্যাক (২,৪০০ কিলোমিটার) পর্যন্ত গতিতে ছুটতে পারে চিনের আধুনিকতম যুদ্ধবিমান। রাফালের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২২২২.৬ কিলোমিটার। আর এ ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে থাকা জেএফ-১৭-র সর্বোচ্চ গতি ১৯৭৫.৬৮ কিলোমিটার। গ্লোবালসিকিওরিটি.ওআরজি-র তথ্য বলছে, ‘ডগফাইটের’ (আকাশে মুখোমুখি যুদ্ধ) রাফাল ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় উঠতে পারে। জেএফ-১৭ প্রায় ৫৪ হাজার ফুট এবং জে-২০ পারে ৬৫ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় উঠতে। তবে রাফাল উঠতে পারে মিনিটে ৬০ হাজার ফুট গতিবেগে। জে-২০ মিনিটে ৪৯,৮৪২ ফুট এবং জেএফ-১৭ মিনিটে ৫৯ হাজার ফুট গতিবেগে। আপাতদৃষ্টিতে পার্থক্য সামান্য হলেও আকাশযুদ্ধের সময় তা ‘নির্ণায়ক’ হয়ে উঠতে পারে নিমেষে।

1518

ফরাসি যুদ্ধবিমানটির উড়ান ক্ষমতা প্রায় ৩,৭০০ কিলোমিটার। জে-২০ এবং জেএফ-১৭-এর যথাক্রমে ২,০৩৭ এবং ২,০০০ কিলোমিটার। ফলে চিনা এবং পাক প্রতিদ্বন্দ্বী বিমানের তুলনায় অনেকক্ষণ বেশি সময় ধরে আকাশে দাপিয়ে বেড়াতে পারবে রাফাল। আকাশে উড়তে উড়তেই জ্বালানি ভরে নিতেও (রিফুয়েলিং) দক্ষ রাফাল।

1618

প্রতিপক্ষের তুলনায় রাফাল এগিয়ে রয়েছে অস্ত্রসম্ভারেও।  দৃষ্টিশক্তির বাইরে (বেয়ন্ড ভিস্যুয়াল রেঞ্জ) আঘাত হানতে সক্ষম ‘মাইকা’ এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ প্রতিরক্ষা এবং হামলার ক্ষেত্রে অনন্য। শব্দের চেয়ে চার গুণ দ্রুতগামী, ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি পাল্লার গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ম্যাটিওর আকাশযুদ্ধে ‘গেম চেঞ্জার’-এর ভূমিকা নিতে পারে। কয়েকটি জে-২০-তে চিন প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পাল্লার নতুন এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পিএল-১৫ বসিয়েছে বলে সে দেশের সরকারি মিডিয়ার দাবি। পাকিস্তানও ইতিমধ্যেই জেএফ-১৭-তে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে চিনের কাছে দরবার করেছে।

1718

রাফাল-এ ব্যবহৃত দূরপাল্লার আকাশ থেকে ভূমি স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্র এবং এএম-৩৯ এক্সোসেট জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনীয় অস্ত্র চিনের তৈরি দু’টি কমব্যাট জেটের ভাঁড়ারে নেই। জে-২০ এবং জেএফ-১৭-র মতোই ‘অটোক্যানন’-এ সজ্জিত রাফাল। রয়েছে শত্রুর বাঙ্কার ওড়ানোর জন্য ৯০০ কিলোগ্রামের গাইডেড বোমাও। রাফালে অত্যাধুনিক আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র ‘হ্যামার’ বসানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বায়ুসেনা। লাদাখের মতো প্রতিকূল আবহাওয়াতেও এই ক্ষেপণাস্ত্র বিন্দুমাত্র কার্যকারিতা হারায় না। ৬০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পাল্লার মধ্যে একসঙ্গে একাধিক লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে ৩৩০ কিলোগ্রাম ওজনের এই ‘হ্যামার’!

1818

রাফাল এবং জে-২০-র আধুনিক ইনফ্রারেড অনুসন্ধান ও ট্র্যাকিং সিস্টেম এবং ক্রস-সেকশন রাডার শত্রুবিমান চিহ্নিত করতে বিশেষ দক্ষ। জেএফ-১৭-র প্রযুক্তি কিছুটা পুরনো। পাক বিমানবাহিনীর সবগুলি জেএফ-১৭-য় হেলমেট মাউন্টেড ডিসপ্লেও নেই। 
 

About the Author

AN
Asianet News Bangla
Latest Videos
Recommended Stories
Related Stories
Asianet
Follow us on
  • Facebook
  • Twitter
  • whatsapp
  • YT video
  • insta
  • Download on Android
  • Download on IOS
  • About Website
  • Terms of Use
  • Privacy Policy
  • CSAM Policy
  • Complaint Redressal - Website
  • Compliance Report Digital
  • Investors
© Copyright 2025 Asianxt Digital Technologies Private Limited (Formerly known as Asianet News Media & Entertainment Private Limited) | All Rights Reserved