- Home
- India News
- নতুন শক্তিতে বলীয়ান দেশের সেনা, জেনে নিন কী কী কারণে অদ্বিতীয় ভারতের নতুন যুদ্ধবিমান রাফাল
নতুন শক্তিতে বলীয়ান দেশের সেনা, জেনে নিন কী কী কারণে অদ্বিতীয় ভারতের নতুন যুদ্ধবিমান রাফাল
অবেশেষ অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান। বুধবার সকালেই ভারতের মাটিতে নামছে বিধ্বংসী যুদ্ধবিমান রাফাল। প্রথম দফায় ৫টি এলেও আগামী বছরের মধ্যে ফরাসিদের তৈরি ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান এসে পড়বে এদেশে। ভারত-চিন সীমান্ত দ্বন্দ্বে এই যুদ্ধবিমান বড় কোনও ব্যবধান তৈরি করতে পারবে কিনা তা নিয়েই এখন চলছে জোর আলোচনা।
| Published : Jul 28 2020, 11:04 PM IST / Updated: Jul 28 2020, 11:07 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
এদেশে প্রথম ধাপে আসছে পাঁচটি রাফাল। তারপর ধাপে ধাপে মোট ৩৬টি যুদ্ধবিমান আসবে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, রাফাল হাতে পাওয়ার পর ভারতীয় বিমান বাহিনীর ক্ষমতা ও শক্তি অনেকটাই বেড়ে যাবে।
দুই ইঞ্জিনের মিডিয়াম মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট গোত্রের এই যুদ্ধবিমানে রয়েছে এমন সব অত্যাধুনিক ক্ষমতা ও প্রযুক্তি যাতে শত্রুপক্ষকে সহজেই টেক্কা দেওয়া যায়। রাফাল নিশানায় যেমন নিখুঁত ও দ্রুত, তেমনই একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করতে পারে।
দুই ইঞ্জিনের মিডিয়াম মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট গোত্রের এই যুদ্ধবিমানে রয়েছে এমন সব অত্যাধুনিক ক্ষমতা ও প্রযুক্তি যাতে শত্রুপক্ষকে সহজেই টেক্কা দেওয়া যায়। রাফাল নিশানায় যেমন নিখুঁত ও দ্রুত, তেমনই একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করতে পারে।
রাফাল যুদ্ধবিমানগুলোর দৈর্ঘ্য ১৫.২৭ মিটার। প্রতিটি ডানার দৈর্ঘ্য ১০.৮ মিটার। সুখোইয়ের চেয়েও বেশি ওজন বহন করতে পারে রাফাল। সুখোইয়ের বহন ক্ষমতা ৮০০০ কিলোগ্রাম। রাফাল সেখানে ৯৫০০ কেজি ওজন নিয়ে উড়তে সক্ষম।
রাফালের রয়েছে ‘ডেল্টা উইং’। গ্রিক বর্ণ ‘ডেল্টা’ থেকে এই নামের উৎপত্তি, যার আকৃতি অনেকটা ত্রিভূজের মতো। বর্তামনের অত্যাধুনিক অধিকাংশ যুদ্ধবিমানেই এই ডেল্টা উইং থাকে, যা দ্রুতগতিতে উড়তে সাহায্য করে।
ফরাসি সমরাস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থা দাঁসো এভিয়েশনের তৈরি এই যুদ্ধবিমানে ইঞ্জিনের এমন ক্ষমতা যে, ‘কমব্যাট মোড’ থেকে স্থির অবস্থায় ফিরে আসতে সময় লাগে মাত্র ৩ সেকেন্ড।
রাফাল যুদ্ধবিমান পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। শুধু তাই নয়, প্রায় সব ধরনের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করে উড়তে পারে এবং নিখুঁত নিশানায় হামলা চালাতে পারে।
নেক্সট জেন প্রযুক্তির আকাশ থেকে আকাশ মাইকা, দূরপাল্লার আকাশ থেকে আকাশ মেটিওর, দূরপাল্লার স্কাল্প, যুদ্ধজাহাজ বিধ্বংসী এএম ৩৯ এক্সোসেট-এর মতো ক্ষেপণাস্ত্র বহন করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে রাফাল যুদ্ধবিমান। স্কাল্প ক্ষেপণাস্ত্র স্থির লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারে। আর মাইকা ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের অদৄশ্য বস্তুতেও হামলা চালানো যায়।
ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও বিভিন্ন প্রকৃতির লেজার নির্দেশিত বোমা, অনির্দেশিত ক্লাসিক বোমাও ফেলা যায় এই যুদ্ধবিমান থেকে। রাফাল থেকে ছোড়া যায় নেক্সটর ৩০এম৭৯১৩০ ইন্টারনাল কামান। এই কামান প্রতি মিনিটে ২৫০০ রাউন্ড গোলাবর্ষণ করতে পারে।
শুধু আক্রমণ শানানো নয়, যেকোনও যুদ্ধে শত্রুপক্ষের থেকে কৌশলগত দিক থেকে এগিয়ে থাকতেও রাফালের জুড়ি মেলা ভার। আকাশ সুরক্ষা, ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট, ইনডেপথ স্ট্রাইক, নজরদারি, জাহাজ বিধ্বংসী আঘাত হানার ক্ষমতা এবং সর্বোপরি পারমাণবিক অস্ত্র বহন করার ক্ষমতাই রাফালকে অন্য প্রায় সব যুদ্ধবিমানের থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে রেখেছে।
আকাশযুদ্ধে ‘এয়ার সুপ্রিমেসি’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিপক্ষের যুদ্ধবিমানকে সব দিক দিয়ে টেক্কা দিয়ে গোটা আকাশসীমায় আধিপত্য কায়েম করাকে কৌশলগত পরিভাষায় এয়ার সুপ্রিম্যাসি বলা হয়। আর এক্ষেত্রেও রাফালের বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন।
ইন্টারডিকশন বা ডিপ এয়ার সাপোর্ট দিতে এই ফরাসি যুদ্ধবিমান অত্যন্ত দক্ষ। যে ভূখণ্ডে আকাশপথে হামলা চালানো হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই সেই ভূখণ্ড শত্রুপক্ষের দখলে থাকে। ফলে মাটির খুব কাছাকাছি পৌঁছে হামলা চালানো যায় না। অনেক উঁচু থেকে শত্রুর ঘাঁটি ধ্বংস করতে হয়। রাফাল অনায়াসেই সেই কাজ করতে পারে।
দুই পদাতিক বাহিনীর যুদ্ধের সময় মাটির কাছাকাছি এসে শত্রুপক্ষের উপর হামলা চালাতে যে রাফাল পারদর্শী, তার প্রমাণও মিলেছে ইতিমধ্যেই।
দুই পদাতিক বাহিনীর যুদ্ধের সময় মাটির কাছাকাছি এসে শত্রুপক্ষের উপর হামলা চালাতে যে রাফাল পারদর্শী, তার প্রমাণও মিলেছে ইতিমধ্যেই।
শত্রুপক্ষের রেডার জ্যাম করতে পারে রাফাল। জল, স্থল হোক বা আকাশ— তিন ক্ষেত্রেই শত্রুপক্ষকে চিহ্নিত করতে পারে এবং নিখুঁত নিশানায় আঘাত করতে পারে।