মুকেশ অম্বানিকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিলেন এই ব্যবসায়ী, জানেন কি করেছিলেন তিনি
দেশের সবচেয়ে ধনী শিল্পপতি তিনি। বিশ্বের তাবড় ধনকুবেরদের টেক্কা দেন সম্পত্তির নিরিখে। তাঁর প্রাসাদপম বাড়ি থেকে বিলাসবহুল গাড়ি-সব কিছুতেই থাকে চমক। সেই মুকেশ অম্বানি নিজে কিন্তু একসময় বেশ পিছনে পড়ে গিয়েছিলেন। অম্বানিদেরও যে কেউ টেক্কা দিতে পারে, তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
| Published : Oct 02 2021, 12:09 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ অম্বানি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ তম স্থানে রয়েছেন ভারতের এই বিত্তবান পুরুষ।
মুকেশ অম্বানি গ্রুপের মোট সম্পত্তির অর্থমূল্য এই মুহূর্তে ৭৯.২ বিলিয়ান অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫.৭৮ লক্ষ কোটি টাকা। যা টেক্কা দেয় তাবড় বিত্তবানকে।
কিন্তু সেই মুকেশ অম্বানির মাথাতেই হাত পড়েছিল এক ব্যবসায়ীর কেরামতিতে। সেই ব্যবসায়ী দেখিয়ে দিয়েছিলেন অম্বানিদেরও হারানো যায়।
এই ব্যবসায়ী ব্যবসা করে মুকেশ অম্বানির থেকেও বেশি আয় করতেন। বিত্তবানদের তালিকায় একেবারে উপরে উঠে এসেছিলেন তিনি। তিনি ঝং শানশান।
কে এই ঝং শানশান। পরিসংখ্যান বলছে ২০২০ সালে বোতলজাত পানীয়জল বিক্রি করেই টেক্কা দিয়ে ছিলেন রিলায়েন্স ইনড্রাস্ট্রিসের প্রধান মুকেশ আম্বানিকে।
ব্লুমবর্গের বিলিয়নার সূচক অনুযায়ী ঝাং শানশানের মোট সম্পদ হয়ে গিয়েছিল ৭০.৯ বিলিয়ন থেকে ৭৭.৯ বিলিয়ন। একই সঙ্গে দ্রুততম ধনী ব্যক্তি হওয়ার খেতাবও অর্জন করেন তিনি
স্থানীয়রা অবশ্য ‘লোন উলফ’ নামেই চেনেন তাকে। একসময় ঠিকা শ্রমিকের কাজ করেছেন তিনি, চাকরি করেছেন সেলসম্যান হয়েও।নিজের জীবনের একটা পর্যায় সাংবাদিক হিসেবেও কাটিয়েছেন তিনি।
কিন্তু কোটিপতি পরিচিতি তাকে এনে দিয়েছে শুধুমাত্র মিনারেল ওয়াটার। কিন্তু এই স্থানে পৌঁছানোর জন্য নানান সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে।
১৯৯৬ সাল থেকে ‘নংফু স্প্রিং’ নামের একটি কোম্পানি খোলেন।২০০১ সাল থেকে বাজারে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নেয় এই কোম্পানি। বর্তমানে পুরো চিনে এই কোম্পানি একচেটিয়া ব্যবসা করছে।