- Home
- World News
- International News
- ইন্টারনেট ছাড়া থাকতে পারবেন তো, তীব্র সৌরঝড়ের মুখে পৃথিবী - দেখুন কী বলছেন গবেষকরা
ইন্টারনেট ছাড়া থাকতে পারবেন তো, তীব্র সৌরঝড়ের মুখে পৃথিবী - দেখুন কী বলছেন গবেষকরা
সৌর ঝড় বা করোনাল মাস ইজেকশন বৈদ্যুতিক গ্রিডের মারাত্মক ক্ষতি করে এবং ের ফলে যে ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি বকে পারে, তা সকলেই জানে। কিন্তু, সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইন্টারনেট পরিকাঠামোর উপরও সৌরঝড় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্বব্যাপী বন্ধ হয়ে যেতে পারে ইন্টারনেট পরিষেবা। আর েমন েকটা বিরাট সৌরঝড় খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে।
| Published : Aug 31 2021, 03:55 PM IST / Updated: Sep 03 2021, 09:31 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
গত সপ্তাহে সিগকম ২০২১ (SIGCOMM 2021) ডেটা কমিউনিকেশন কনফারেন্সে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয়ের গবেষক, সঙ্গীতা আবদু জ্যোতি ই বিষয়ে তার গবেষণার ফল প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, স্থানীয় ও আঞ্চলিক ইন্টারনেট পরিকাঠামোয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফাইবার অপটিক কেবল বা তার ব্যবহার করা হয়। ফলে, সৌর ঝড়ের সময় যে ভূচৌম্বক তরঙ্গের কোনও প্রভাব সেগুলির উপর পড়বে না।
তবে, সমুদ্রের তলা দিয়ে মহাদেশগুলিকে একে অপরের সঙ্গে সংযোগকারী যে তারগুলি গিয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে মন আশার কথা শোনাননি সঙ্গীতা। তিনি জানিয়েছেন, মহাদেশগুলিরও অধিকাংশই ফাইবার অপটিক কেবলের মাধ্যমে সংযুক্ত। কিন্তু, সমস্যা হল, নিয়মিত বিরতিতে প্রাপ্ত সিগনালকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য যে রিপিটারগুলি ব্যবহার করা হয়, সেগুলি সৌরঝড়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সংবেদনশীল। ফলে, এই নেটওয়ার্কের অধিকাংশই অফলাইনে চলে যেতে পারে। সেইক্ষেত্রে, ইন্টারনেট জগতে ব্ল্যাকআউট তৈরি হবে। কারণ, কোনও দেশের ইন্টারনেটের পরিষেবা, সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে আসা তারগুলোর উপর নির্ভর করে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, কোভিড মহামারিই তাকে ই বিষয়ে গবেষণার দিকে ঠেলে দিয়েছিল। তিনি দেখেছিলেন, মহামারির জন্য বিশ্ব একেবারে অপ্রস্তুত ছিল। কার্যকরভাবে মহামারি মোকাবিলা করার কোনও প্রোটোকলই ছিল না।
ইন্টারনেট পরিষেবার ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই রকম। বর্তমান পরিকাঠামো বড় আকারের সৌরঝড়ের জন্য প্রস্তুত নয়। ক্ষতির পরিমাণ কত হবে তা বোঝার ক্ষমতাও আমাদের সীমিত। কারণ, আমাদের হাতে ই বিষয়ে তথ্যও খুব কম রয়েছে। ের আগে মাত্র তিনটি গুরুতর সৌর ঝড়ের কথা নথিবদ্ধ করা হয়েছে - ১৮৫৯, ১৯২১ এবং ১৯৮৯ সালের সৌড় ঝড়।
১৮৫৯ সালে আজকের দিনের মতো বৈদ্যুতিক গ্রিডের অস্তিত্ব ছিল না। ইতিহাস বলছে, সৌরঝড়ের সময় কম্পাসের সূচকগুলি অনিয়ন্ত্রিতভাবে দুলেছিল। সেইসঙ্গে নিরক্ষরেখা অঞ্চলে অবস্থিত কলম্বিয়া থেকেও অরোরা বোরিয়ালিস দেখা গিয়েছিল। যা, অন্য সময় শুধুমাত্র মেরু অঞ্চল থেকেই দশ্যমান হয়।
সবচেয়ে সাম্প্রতিক সৌর ঝড়টি ঘটেছিল ১৯৮৯ সালে। কানাডার কেবেক শহরে েকটি পাওয়ার গ্রিড পুরো ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ফলে, উত্তর-পূর্ব কানাডায় নয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গত কয়েক দশক ধরে কমমাত্রার সৌরঝড় দেখা যাচ্ছে। তাই, তাদের আশঙ্কা, শীঘ্রই আরেকটি বড় মাপের সৌর ঝড় আসতে চলেছে।
সঙ্গীতা আবদু জ্যোতি বলেছেন, এই ঝড়গুলি বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে কীভাবে প্রভাবিত করে, সেই সম্পর্কে আমাদের মোটামুটি ধারণা আছে। কিন্তু, পাওয়ার গ্রিডগুলি সবই রয়এছে স্থলভাগে। সাগরের নিচে ইন্টারনেট পরিষেবার তারগুলির কী অবস্থা হবে, সেই সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা আরও কঠিন, বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে ইন্টারনেট পরিষেবা এমনভাবে নকশা করা হয়েছে, যাতে করে েকটি একটি পথ ব্যর্থ হলে, নেটওয়ার্কটি সচল রাখতে অন্য পথ খুণজে নিতে পারবে। তবে, বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা সৌরঝড়ে ব্যাপক পরিমাণ বিভ্রাট ঘটতে পারে ইন্টারনেট সংযোগে। তাতে করে, বেশিরভাগ গ্রিডই অফলাইনে চলে যেতে পারে। ফলে, মানব সভ্যতাকে বেশ কয়েকটা দিন ইন্টারনেট ছাড়া কাটাতে হতে পারে।