- Home
- World News
- International News
- ঘন্টায় ২৭ হাজার-দিনে চার খদ্দের, যৌনকর্মী হিসেবেই বেশি স্বচ্ছন্দ এই শিক্ষিকা
ঘন্টায় ২৭ হাজার-দিনে চার খদ্দের, যৌনকর্মী হিসেবেই বেশি স্বচ্ছন্দ এই শিক্ষিকা
একটা সময় স্কুলে বাচ্চাদের পড়াতেন তিনি। কিন্তু নিজের সন্তান হওয়ার পর সেই সময়টা আর স্কুলে দিতে পারেননি। তার বদলে যৌনকর্মী হিসেবে নিজের জীবন শুরু করেন তিনি। তিনি ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামের ভিক্টোরিয়া। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। জানুন কেন এমন মানসিকতা নিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন এই মহিলা।
- FB
- TW
- Linkdin
শিক্ষিকা হিসেবে নন, যৌনকর্মী হিসেবেই বেশি স্বচ্ছন্দ তিনি। ইংল্যান্ডের এই মহিলা বর্তমানে চার সন্তানের মা। তার কাছে, যৌন পেশাটাই সবচেয়ে পারফেক্ট।
এখনো চাইলে স্কুলে শিক্ষকতা করতে পারেন তিনি। তবে শিক্ষকতার চেয়ে যৌনকর্মী হয়ে থাকাই বেশি পছন্দ করেন তিনি। কারণ এতে নিজের সন্তানদের প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারেন তিনি।
কিন্তু শিক্ষকতার মতো পেশা ছেড়ে এরকম পেশা কেন, যেখানে তাঁর কাছে সম্মানীয় জীবন কাটানোর সুযোগ রয়েছে। কেন যৌন পেশা পছন্দ, সেটা ব্যাখ্যা করেন ভিক্টোরিয়া।
৩৪ বছর বয়সীর এই যৌনকর্মী জানান, এমন কাজ আমার পছন্দের, যে কাজটা করা যায় ছেলেমেয়ের পড়াশোনার সময়। তারা যখন স্কুলে থাকে, সেই সময়ের মধ্যে আমার রোজগার হয়, বাকি সময়টা সন্তানদের দিতে পারেন তিনি।
ভিক্টোরিয়া জানিয়েছে বেশি নয়, দিনে চারজন করে খদ্দের রাখেন তিনি। ঘন্টায় তার ভাড়া ২৭ হাজার টাকা। সেক্স অ্যাপ থেকে, নানা সোশ্যাল সাইট থেকে খদ্দের বুক করে তাঁকে।
এছাড়াও নানারকম অ্যাডাল্ট ভিডিও করে ঘণ্টাপ্রতি হাজার হাজার টাকা রোজগার করেন এই মহিলা। এতে তাঁর জীবন স্বচ্ছন্দে চলে যায়।
তবে তিনি দাবি করেছেন, যৌনকর্মী হলেও নিজেকে আদর্শ মা মনে করেন ভিক্টোরিয়া। ছেলেমেয়েদের কাছেও তিনি প্রিয় বলে জানিয়েছেন। কারণ তিনি তাঁর গুরুত্বপূর্ণ সময় সন্তানদের দিতে পারেন।
ভিক্টোরিয়ার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির জন্য দুটি ডকুমেন্টরিতে কাজ করেছেন তিনি। ওই সময় তিনি জানান নিজের পেশাকে প্রত্যেকের সম্মান করা উচিত। তবেই জীবনে শান্তি পাওয়া যায়।
তিনি এখনো বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে চান এবং তারপর তিনি খদ্দেরদের সময় দেন। বেশিরভাগ খদ্দেরকেই বাচ্চাদের স্কুলে পড়ার সময় ম্যানেজ করেন তিনি। সময়ও সেট করা হয় সেভাবেই।
তবে তিনি এও জানিয়েছেন, মেয়ে তার পদাঙ্ক যেন অনুসরণ না করে। তারা যেন সুস্থ জীবন পায়। তা সবসময় তিনি চান।