- Home
- World News
- International News
- কখনও 'নমনীয় নারী', কখনও ধনকুবের যুবতী - পুতিনের অবৈধ সন্তানের সংখ্যাই পাঁচ
কখনও 'নমনীয় নারী', কখনও ধনকুবের যুবতী - পুতিনের অবৈধ সন্তানের সংখ্যাই পাঁচ
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধকে (Ukraine Russia Crisis), এমনকী একাংশের রাশিয়ানরাও বলছেন একান্তই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) যুদ্ধ। তাঁর ইগো সন্তুষ্ট করার জন্যই এই যুদ্ধ। তাঁর এই ইউক্রেন আক্রমণ গোটা বিশ্বকেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের (Third World War) ভয়াবহ আশঙ্কার মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই অবস্থায় অনেকেই বলছেন, স্বৈরশাসক-সম রুশ প্রেসিডেন্টের জীবনে প্রেম দরকার। বস্তুত, তাঁর জীবনে কিন্তু প্রেমের অভাব ছিল না। তবে, সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রাক্তন উচ্চ-পদস্থ কেজিবি (KGB) এজেন্ট খুব ভাল করেই জানেন, কীভাবে কারোর মুখ বন্ধ রাখতে হয়। তাই, তাঁর উদ্দাম জীবনের বহু অংশই বাইরে আসে না। তাও, যা রটনা রয়েছে, তাও কম রসালো নয় -
- FB
- TW
- Linkdin
পুতিনের প্রেম জীবন বেশ রহস্যময়, শোনা যায় তাঁর প্রাক্তন বান্ধবীর তালিকাটা দীর্ঘ। বস্তুত, নীল চোখের পুতিনকে, সেক্স আইকন বললে ভুল হবে না। এমনকী, উর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত করে ছবি দিতেও পিছপা হন না তিনি। একজন 'সাইবেরিয়ান গুলাগ'এর সমস্ত যৌন আবেদন তাঁর মধ্যে রয়েছে, এই কথা রুশ প্রেসিডেন্টের চরম বিরোধীরাও মানবেন।
বর্তমানে পুতিন আর বিবাহিত নন, ২০১৩ সালে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে ৩০ বছরের ঘরণী লিউডমিলা পুতিনার (Lyudmila Putina) সঙ্গে। ১৯৮০-র দশকে তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। ওয়াশিংটন পোস্টকে একবার পুতিন বলেছিলেন, লিউডমিলাকে দেখেই তিনি বুঝেছিলেন, আরও দুই-তিন বছর যদি তিনি বিয়ে না করেন, তবে আর কখনই বিয়ে করবেন না। তাঁর, ব্যাচেলর জীবনের অভ্যাস উপড়ে নিয়েছিলেন লিউডমিলা।
তাঁদের দুই কন্যা রয়েছে। দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক - একজন গণিতবিদ, অপরজন জিনতত্ত্ববিদ বলে শোনা যায়। তবে, রুশ রাষ্ট্রপতির মুখে কন্যাদের কথা কখনই শোনা যায় না। রাশিয়ান রাজনীতির শীর্ষে থাকার জীবনের চাপ এবং পুতিনের মতো ঠান্ডা স্বভাবের একজনের সঙ্গে ৩০ বছর লিউডমিলা থাকলেন কী করে, তাই নিয়েই অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
এবার আসা যাক অলিম্পিক জিমন্যাস্ট আলিনা কাবায়েভার (Alina Kabaeva) কথায়। তাঁকে বলা হত, 'রাশিয়ার সবচেয়ে নমনীয় নারী'। আর, ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে, তাঁর এই নমনীয়তাতেই ডুবেছিলেন পুতিন, এমনটাই শোনা যায়। মস্কোর (Moscow) এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে এমনটাও দাবি করা হয়েছিল যে, ২০০৮ সালে পুতিন আলিনাকে প্রায় বিয়ে করে ফেলেছিলেন। ওই সংবাদপত্রের মালিক ছিলেন, পুতিনের কেজিবির একজন প্রাক্তন সহকর্মী।
পুতিন এবং আলিনা দুজনেই স্বাভাবিকভাবেই এই প্রতিবেদন অস্বীকার করেছিলেন। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, এই প্রতিবেদন যারা লিখেছে, 'তারা নোংরা নাক এবং কামুক কল্পনা নিয়ে অন্যের জীবনে ঘোরাফেরা করে'। সংবাদপত্রটির কী হয়েছিল? অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত পুতিন এবং আলিনা কাবায়েভা বিয়ে না করলেও, ২০০৪ সালের অলিম্পিক স্বর্ণপদক বিজয়ীর গর্ভে পুতিনের চার-চারটি সন্তান রয়েছে বলে গুঞ্জন শোনা যায়। প্রথম সন্তানের জন্ম হয়েছিল ২০১২ সালে, দ্বিতীয় সন্তান আসে ২০১৫ সালে। আর ২০১৯ সালে আলিনা যমজ সন্তানের মা হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে, একটি রুশ টিভিতে এই নিয়ে আলিনাকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি সবকটি দাবিই অস্বীকার করেছেন।
পুতিনের প্রেম-জীবন খবর পাওয়া মুশকিলই নেহি, না মুমকিন হ্যায়। কারণ, রাশিয়ায় সরকার বিরোধী কোনও মত বা তথ্যের বিশদ বিবরণে গেলেই সংবাদমাধ্যম কিংবা সংবাদ প্রতিবেদনগুলি অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যায়। তবে তারমধ্যেও রুশ প্রেসিডেন্টের আরও একটি অবৈধ প্রেমের কথা ফাঁস করেছিলেন আলেক্সেই নাভালনি (Alexei Navalny)। তিনি জানিয়েছিলেন এক রুশ ধনকুবের মহিলার কথা।
বর্তমানে, এক রুশ কারাগারে বন্দী রয়েছেন বিরোধী নেতা এবং পুতিনের কট্টর সমালোচক নাভালনি। তাঁর উপরেও নোভিচক নার্ভ এজেন্ট (Novichok nerve agent) প্রয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার আগে, তিনি জানিয়েছিলেন রুশ ধনকুবের, স্বেতলানা ক্রিভোনোগিখের (Svetlana Krivonogikh) সঙ্গেও পুতিনের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে বলে জানা যায়। একটি স্বাধীন রুশ সংবাদমাধ্যমও তাঁদের এই সম্পর্ক নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেছিল।