- Home
- World News
- International News
- 'কথা বলতে চাই তালিবানদের সঙ্গে' - বাঘের মতো দু'পা পিছিয়ে ঝাঁপাতে তৈরি জারিফা গাফারি, দেখুন
'কথা বলতে চাই তালিবানদের সঙ্গে' - বাঘের মতো দু'পা পিছিয়ে ঝাঁপাতে তৈরি জারিফা গাফারি, দেখুন
শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকে পালাতে পেরেছেন জারিফা গাফারি। আফগানিস্তানের সর্বকনিষ্ঠ তথা প্রথম মহিলা মেয়র। ২০১৮ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে কাবুলের পশ্চিমে অবস্থিত ময়দান শাহরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। তালিবানরা ক্ষমতা দখল করার পর তিনি পালিয়ে গিয়ে আপাতত জার্মানিতে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে পালিয়ে গিয়েও ফের তালিবানদের মুখোমুখি হতে চাইছেন তিনি। জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের সব মহিলার পক্ষ থেকে তাদের অধিকার রক্ষার বিষয়ে কথা বলতে চান। যদিও কট্টরপন্থীদের পুনরুত্থানের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দেশের মানুষদেরও দায়ী করেছেন।
| Published : Aug 25 2021, 12:40 PM IST / Updated: Aug 25 2021, 12:41 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
একইসঙ্গে তিনি তালিবান নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আফগানিস্তানের অসংখ্য মহিলা, যাঁরা মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছেন না, তাঁদের হয়ে কথা বলার দায়িত্ব তিনি নেবেন বলে জানিয়েছেন তরুণ প্রাক্তন মেয়র। সকল আফগান মহিলার পক্ষ থেকে তালিবানদের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। এর জন্য তালিবানরা যে তাঁর বাবাকে হত্যা করেছিল, তাও মনে রাখতে চান না তিনি।
জারিফা গাফারি আরও বলেছেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান তাঁদের দেশ ছিল, আর তালিবানদের দখলের পরও তাঁদেরই দেশ থাকবে। তিনি বলেছেন, 'সে যেই আসুক না কেন'।
সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে গাফারি বলেন, আফগানিস্তান আজ যে বিপদের সম্মুখীন হয়েছে তার জন্য সকলেই দায়ী। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তো বটেই, স্থানীয় জনগণ, রাজনীতিবিদ সকলে। কারণ, স্থানীয়রা কখনও কোনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তোলেনি। এমনকী, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও নয়।
আফগানিস্তানের সংকটের দিকে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য গাফারি এখন বিভিন্ন দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ এবং মহিলাদের সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা ভাবছেন। তাঁর লক্ষ্য, আন্তর্জাতিক মহলকে আফগানিস্তানের বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করা। একইসঙ্গে তাঁদের সাহায্য নিয়ে তিনি একটি আন্দোলনও শুরু করতে চান বলে জানিয়েছেন।
গাফারি বলেছেন, কারণ তাঁর মতো আফগান মহিলারা আসলে 'বাঘের মতো'। আরও শক্তি নিয়ে ফিরে আসবে বলে দুই ধাপ পিছিয়ে যায়। তিনি আরও বলেছেন, 'আমাদের বিশ্বকে আফগানিস্তানে তালিবানের আসল চেহারা দেখাতে হবে'।
জাফারি আরও জানিয়েছেন, ময়দান শহর দখলের পর তালিবান বাহিনি তাঁকে খুঁজতে হানা দিয়েছিল তাঁর বাড়িতে। কিন্তু, তার আগেই পালিয়েছিলেন জাফারি। কারণ তিনি জানতেন তালিবানরা তাঁর খোঁজে আসবেই। এর আগে তিন-তিনবার তাঁর উপর হামলার চেষ্টা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাড়ির নিরাপত্তা কর্মীদের মারধর করেছে তালিবানরা, এমনটাই জানিয়েছেন গাফারি।
তরুণ আফগান মহিলা রাজনীতিবিদ আরও জানিয়েছেন, তালিবানরা আফগানিস্তানের উদার মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিবর্গের একটি তালিকা বানিয়েছে। সেই তালিকা ধরে ধরে তাদের হত্যা করছে। সেই তালিকায় তাঁর নামও রয়েছে। তালিবানরা তাঁদের হত্যা করছে, কারণ তারা চায় না অন্যান্যরাও তাদের আসল চেহারাটা দেখে ফেলুক। তারা চায় না আফগানরা তাদের বিরোধী হয়ে যাক।
গত ১৫ অগাস্ট, আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখল করেছিল তালিবানরা। ওইদিন জারিফা গাফারি টুইটটি করেছিলেন, 'আমার প্রিয় জন্মভূমি, জানি তুমি কষ্ট পাচ্ছ এবং দুঃখে আছো। আমি জানি এটা তোমার জন্য কঠিন সময়, কারণ আগন্তুকরা তোমাকে পুড়িয়ে মেরে তোমাকে ধ্বংস করতে চায়। কিন্তু তোমার প্রকৃত সন্তান, যারা তোমাকে গড়ে তুলতে চাইছে, তারা কিন্তু পূর্ণ সাহসের সঙ্গে তোমাকে এই খারাপ দিনগুলো থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছে।'