- Home
- Sports
- Cricket
- কোন দিকে কটা বাউন্ডারি পাড়িকল-এবি-ফিঞ্চ-বিরাটের, গ্রাফ ও স্পাইডার-এ দেখুন বিশ্লেষণ
কোন দিকে কটা বাউন্ডারি পাড়িকল-এবি-ফিঞ্চ-বিরাটের, গ্রাফ ও স্পাইডার-এ দেখুন বিশ্লেষণ
কোন ওভারে কী ভাবে উঠছে রান? গ্রাফের নক্সায় কেমন দেখাচ্ছে আরসিবি-র রান তোলার গতি? এতেও শেষ নয় রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্পাইডার। যেখানে দলগত রান উইকেটের কোন দিয়ে কীভাবে এসেছে? এমনকী, প্লেয়ারদের ব্যক্তিগত রানও উইকেটের কোন জায়গা দিয়ে কীভাবে এসেছে? এছাড়াও রয়েছে ওয়াগন হুইল। যা বলে দিচ্ছে অফসাইড থেকে অনসাইড, লেগ সাইড কোন দিক দিয়ে কত রান হয়েছে দলের এবং প্লেয়ারদের। এতদিন এই ধরনের বিশ্লেষণ শুধুমাত্র টিভি-র পর্দাতেই দেখা যেত। এখন সেই বিশ্লেষণ আপনার হাতের মুঠোয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লেখার আকারে। এক ঝলকে দেখে নিন আরসিবি-র ইনিংসের এই গ্রাফ ভিত্তিক পুঙ্খনাপুঙ্খ বিশ্লেষণ, যা এশিয়ানেট নিউজ বাংলা নিয়ে এসেছে আপনাদের জন্য।
- FB
- TW
- Linkdin
বার গ্রাফ দেখিয়ে দিচ্ছে কীভাবে রান ওঠার গতি বাড়িয়েছিল আরসিবি। আবার ১০ ওভার পরে যখন প্রথম উইকেটের পতন হয় তখন কীভাবে রান তোলার গতি মন্থর হয়েছিল। তবে ১৭ থেকে ১৯ ওভারের মধ্যে ডিভিলিয়ার্সের ব্যাটের মারকুটে মেজাজ যে আরসিবি-র রানের গতিকে বাড়িয়ে দেয় তাও ফুটে উঠেছে এই বার গ্রাফে।
স্পাইডারে দেখা যাচ্ছে দল হিসাবে আরসিবি অফ সাইড, স্টেট ড্রাইভ এবং কভার অঞ্চল দিয়ে ৭০ রান সংগ্রহ করেছে। ৮০ রান তারা সংগ্রহ করেছে অন, একস্ট্রা ডিপ মিড উইকেট এবং লেগসাইড দিয়ে।
দেবদূত পাড়িকল এবার প্রথম আইপিএল-এ অভিষেক ঘটিয়েছেন। এতে দেখা যাচ্ছে তিনি অভিষেকে অর্ধশতরানে লেগসাইডে সবচেয়ে বেশি স্ট্রোক খেলেছেন। তিনি ৩৬ রান সংগ্রহ করেছেন হয় স্কোয়ারলেগ বা মিড উইকেট দিয়ে। আর ২০রান এসেছে কভার এবং একস্ট্রা কভার দিয়ে।
ডিভিলিয়ার্স তাঁর অসামান্য অর্ধশতরানের ইনিংসে-র বেশিরভাগ রানটাই করেছেন স্ট্রেট ড্রাইভ এবং কভার অঞ্চল দিয়ে। এখানে তিনি ৩৪ব রান সংগ্রহ করেছেন। ১৭ রান সংগ্রহ করেছেন একস্ট্রা ডিপ মিড এবং স্কোয়ারলেগ অঞ্চল দিয়ে।
আরসিবি-র ওপেনে ভরসা জাগানো ইনিংস উপহার দিয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ। দেখা যাচ্ছে ফিঞ্চ তাঁর ইনিংসের বেশিরভাগ রানটাই অন সাইড, একস্ট্রা ডিপ মিড এবং স্কোয়ার লেগ দিয়ে তুলেছেল। ফিঞ্চ বরাবর-ই ব্যাটকে আড়াআড়িভাবে চালাতে পছন্দ করেন। এতে তিনি দুই কাঁধের মাংসপেশির পুরো সাহায্য নিয়ে পাওয়ার স্ট্রোক করে থাকেন। স্পাইডারের নির্দেশিকা বুঝিয়ে দিচ্ছে এই ব্যাখ্যা কতটা সত্যি। ফিঞ্চের আরএকটি বৈশিষ্ট্য হল বলের সামনে সামনে কোমর ঝুঁকিয়ে পা-এর কাছে ব্যাটকে আড়াআড়িভাবে নামিয়ে লেগ সাইডে বলের দিশা দেখানো। স্পাইডারের লাইন বলে দিচ্ছে ফিঞ্চ এই শটের ভালোই প্রয়োগ করেছেন এই ম্যাচে। ফিঞ্চের মতো ছোটখাটো চেহারা বলশালী ব্যাটসম্যানরা হাফ-ককে বলকে ড্রাইভ করতে পছন্দ করেন। অফ এবং কভার অঞ্চলে স্পাইডারের লাইন বলে দিচ্ছে ফিঞ্চ এই শটেরও প্রয়োগ করেছেন। তবে তিনি অফ সাইড দিয়ে মাত্র ৮ রান করেছেন। ২১ রানই এসেছে লেগসাইড দিয়ে।
বিরাট কোহলি বেশিক্ষণ উইকেটে স্থায়ী হননি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিরাট অফ এবং কভার এলাকা দিয়ে ৫ রান সংগ্রহ করেছেন। বিরাটের মোস্ট স্কোরিং এরিয়া এই ম্যাচে লেগ সাইড। কারণ ডিপ মিড উইকেট এবং ফাইন লেগ দিয়ে তিনি ৯ রান সংগ্রহ করেছেন।
ওয়াগন হুইলে প্রযুক্তি বলে দিচ্ছে আরসিবি-র ব্যাটসম্যানরা কোন দিক দিয়ে কত রান সংগ্রহ করেছেন। কভার এলাকা দিয়ে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে আরসিবি-র। এই এলাকা দিয়ে ৪০ রান সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। ৪১ রান এসেছে মিড উইকেট এলাকা দিয়ে।
ওয়াগন হুইলে দেখা যাচ্ছে দেবদূত পাড়িকল মিড উইকেট এলাকা দিয়ে ১৪ রান করেছেন। এরপর ১২ রান করেছেন স্কোয়ারলেগ অঞ্চলে। ১১ রান এসেছে কবার এলাকা দিয়ে।
অ্যারন ফিঞ্চের ওয়াগন হুইল দেখাচ্ছে তিনি মিড উইকেট দিয়ে ১০ রান সংগ্রহ করেছেন।
বিরাট কোহলি মিড উইকেট দিয়ে ৫ এবং মিড অন, মিড অফ, কভার এলাকা দিয়ে যথাক্রমে ২ রান করে সংগ্রহ করেছেন।
ডিভিলিয়ার্স কভার ড্রাইভ এবং একস্ট্রা কভারের উপর শট মারতে ওস্তাদ। ওয়াগন হুইল বলে দিচ্ছে কভার অঞ্চল দিয়ে তিনি ২২ রান এবং মিড অফ দিয়ে ১২ রান করেছেন। ১১ রান এসেছে মিড উইকেট দিয়ে।
শিবম দুবে- প্রথম ম্যাচেই ব্যাটিং-এর সুযোগ পেয়েছেন। অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিমান এই ক্রিকেটার ৪ রান করেছেন স্কোয়ার লেগ দিয়ে।
ফিলিপ এদিন ম্যাচে অপরাজিত থাকেন। তিনি ১টি মাত্র করেছেন। সেটা আবার মিড অফে বল ঠেলে।