কলকাতার বুকে প্রেম করার ১০টি আদর্শ জায়গা, স্মৃতি তাজা করতে পারেন বিবাহিতরাও
- FB
- TW
- Linkdin
মানি স্কোয়ার রুফ টপ : বাইপাসের ধারে নেহাত এক শপিং মল নয়। মানি স্কোয়ার রুফ টপে, অতো উঁচু থেকে কলকাতা দর্শন এক অতি মনোরম পরিবেশ। মনের মানুষটির সাথে নিশ্চিন্তে নিরালায় দীর্ঘক্ষণ সময় কাটিয়ে নিতে পারেন। প্রেমালাপে ভরিয়ে তুলতে পারেন ভালবাসার মানুষটিকে।
ইকোপার্ক : বিস্তৃত লেক, বাগান, নিরিবিলি বসার জায়গা, ওয়াটার স্পোর্টস, সবুজের ছোঁয়া আর মিষ্টি হাওয়া প্রেমিক-প্রেমিকাদের আকর্ষণ করে। কংক্রিটের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একটু নিরিবিলি স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে চলে যাওয়া যায় রাজারহাট-নিউটাউনের বিস্তীর্ণ এলাকার এই বিনোদন পার্কে ।
প্রিন্সেপ ঘাট : বাবুঘাট-আউট্রাম ঘাট পার করে চক্ররেলের রেল লাইনের পাশ দিয়ে পায়ে হেঁটে পৌঁছানো যায় প্রিন্সেপ ঘাটে। হুগলি নদীর তীরে অসাধারণ একটি জায়গা। গঙ্গা নদীর প্রাকৃতিক শোভা উপভোগের সাথে সাথেই নিজেদের মধ্যে সময় কাটানোর দারুণ জায়গা।
মিলেনিয়াম পার্ক : বাবুঘাটের কাছেই গঙ্গা নদীর পূর্ব তীরে সাজানো উদ্যান। গঙ্গার তীরে বসে জলের খেলা দেখতে দেখতে, শীতল হাওয়ায় মাতোয়ারা হয়ে, প্রিয় মানুষটির হাতে হাত রেখে প্রেমালাপ, উভয়ের সান্নিধ্যে উষ্ণ আকর্ষণ – প্রেমিক-প্রেমিকাদের আকৃষ্ট করে মিলেনিয়াম পার্ক।
ময়দান : গড়ের মাঠের হাওয়া না খেলে আর কী প্রেম করলেন। ময়দান কলকাতার একটি বৃহত্তম উদ্যান। প্রচুর গাছপালা ও সবুজ মাঠে সঙ্গীনির হাত ধরে ঘাসের উপর হাঁটা, মাঠে পাশাপাশি উভয়ের গা ঘেঁষে বসার মধ্যে উচ্ছ্বসিত প্রেম ভরিয়ে তোলে যুগলদের।
ভিক্টোরিয়া : মেট্রো রেলওয়ে ষ্টেশন ময়দান থেকে ট্যাক্সি বা বাসে পৌঁছে যাওয়া যায় এখানে। মার্বেলের তৈরী এই অসাধারণ স্থাপত্যটি যুগলদের পছন্দের কলকাতার প্রেমের জায়গাগুলোর অন্যতম। চারপাশে সুন্দর সাজানো বাগান, গাছপালা, ফোয়ারা ও ছোটদীঘি। মহারাণি ভিক্টোরিয়ার স্মৃতি সৌধ, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল।
নলবন পার্ক : গাছগাছালিতে ভরা সামনে বিশাল ঝিলের শোভা প্রেমাকর্ষনে লিপ্ত করে প্রেমিক-প্রেমিকাদের। ঝিলে নানা বিনোদনের ব্যবস্থা ও আছে। প্রেমিক-প্রেমিকাদের প্রেমালাপের অবাধ স্বাধীনতা ও রয়েছে নলবনে। নলবন পার্ক, নলবন বোটিং কমপ্লেক্স নামে পরিচিত। বিধাননগর বা উল্টোডাঙা থেকে ট্যাক্সি বা বাসে পৌঁছে যাওয়া যায় নলবন পার্কে।
নন্দন : প্রেম করবেন আর নন্দনে আসবেন না, এটা হতে পারে না। এমন হয়নি কখনও। মনের মানুষটির সাথে জমিয়ে প্রেম করতে, তার সাথে জমিয়ে আড্ডা দিতে নন্দনে একবার আসতেই হবে। এছাড়া, উচ্চমানের থিয়েটার সঙ্গে ঘেঁষা ঘেঁষা প্রেম ও গল্প-আড্ডা-গান-চায়ের ভাঁড়ে চুমুক – এমন প্রেমের বাতাবরণ নন্দনে টেনে নিয়ে আসে প্রেমিক-প্রেমিকাদের।
কফি হাউস : ইনফিউশনে ডোবেননি কখনও? চলকে ওঠা চায়ের কাপে চুমুক না দিলে কফি হাউসের আনন্দ পাবেন কী করে। ইনফিউশন, সাথে কবিরাজী। প্রেম জমে ক্ষীর হয়ে যাবে কলকাতার সিগনেচার কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসে।
সেন্ট্রাল পার্ক : প্রেমিক-প্রেমিকাদের ঘনিষ্ঠ ভাবে সময় কাটানোর জন্য অবাধ লাইসেন্স আছে।এখানে নির্জনে, নিভৃতে প্রেমিক-প্রেমিকারা উভয়ের ঘনিষ্ঠতায় শরীরের উষ্ণতার ছোঁয়া পেতে পারে কেউ বাঁধা দেবে না। সেন্ট্রাল পার্ক বা বনবিতান কলকাতার প্রেমের জায়গা গুলোর মধ্যে বিখ্যাত। সল্টলেক করুণাময়ীর কাছেই এই সেন্ট্রাল পার্ক।