কালীঘাটে মায়ের গলায় পদ্মের মালা, মন্দিরে নিজ হাতেই পুজো সারেন অমিত শাহ
| Published : Mar 02 2020, 09:00 AM IST
কালীঘাটে মায়ের গলায় পদ্মের মালা, মন্দিরে নিজ হাতেই পুজো সারেন অমিত শাহ
Share this Photo Gallery
- FB
- TW
- Linkdin
110
রাজারহাটে এনএসজির ভবন উদ্বোধনের পরেই তিনি পৌঁছন শহিদ মিনারে বিজেপির জনসভায়। সেই দলীয় অনুষ্ঠানের মূল বক্তাও ছিলেন তিনি। ২০২১ সালে বিজেপি বাংলার বিধানসভা দখল করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন সিএএ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য়বাসীকে ভুল বোঝাচ্ছে। তারপরই অমিত শাহ চলে যান কালীঘাটে।
210
দিনভর ঠাসা কর্মসূচির মধ্যেই সময় বার করে তিনি পৌঁছে যান কালীঘাটের মন্দিরে। মন্দিরের মূল গেট দিয়েই তিনি প্রবেশ করে চলে যান গর্ভগৃহে। সেখানে মা কালীর আরাধনা করেন। পুজো সারেন নিজের হাতে। শহিদ মিনারের জনসভায় তাঁকে একটি কালীর ছবি উপহার দেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। রাজ্য নেতাদের হতে তাঁর হাতে এই উপহার তুলে দেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
310
কালীঘাট মন্দির চত্ত্বর বাকি পাঁচটা সাধারণ দিনের মতোই ছিল। কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্রমন্ত্রী আসার কারণে রাস্তা বন্ধ করে দোকানপাট বন্ধ করে কোনও বিশেষ বিধিনিষেধ ছিল না। নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে রবিবার বেল দেড়টায় তিনি মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করেন। সেই সময়ে মন্দিরের মাত্র তিনজন সেবায়েতকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়।
410
কালীঘাট মন্দিরে প্রতিদিন বেলা দেড়টার সময় শুরু হয় মায়ের ভোগ-পর্ব। এরপর কিছু সময়ের জন্য সাড়ে তিনটে বা বিকেল চারটে অবধি বন্ধ রাখা হয় মন্দিরের দরজা। তবে কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্রমন্ত্রীর আসারা কারণে ভোগ-পর্ব কিছুটা তাড়াতাড়ি সেরে অমিত শাহ-র জন্য অপেক্ষা করছিলেন সেবায়েতরা।
510
বিজেপি দলের শীর্ষনেতা কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আসার কারণে ভোগঘরের সেবায়েতরাও এ দিন মন্দিরের ভিতরে থাকার অনুমতি পাননি। মাকে ভোগ নিবেদনের পরে কালীঘাটের ভোগঘরও প্রতিদিনের মত নিয়ম মেনেই বন্ধ রাখা ছিল।
610
নির্ধারিত সময়ের আ়গেই বিকেল তিনটে পনেরো মিনিটেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কনভয় মন্দিরের তিন নম্বর গেটে উপস্থিত হয়। এদিন সরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কালীঘাট মন্দিরে উপস্থিত হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
710
মন্দিরের তিন নম্বর গেট দিয়ে তিনি পৌঁছান মায়ের গর্ভগৃহে। মায়ের মূর্তির সামনে করজোড়ে প্রণাম সারেন। মন্দিরে দায়িত্বে থাকা পুরোহিতের হাতে তুলে দেন একটি লাল বেনারসি শাড়ি। মন্ত্রীর সামনেই মন্দিরের পুরোহিত সেই শাড়ি তুলে দেন মায়ের গায়ে।
810
কালীঘাটে মাকে শাড়ি ছাড়াও নিবেদন করেন একটি পদ্মফুলের মালা। সেই মালা মায়ের গলায় পড়িয়ে দেন মন্দিরে থাকা সেবায়েতরা। মায়ের পদতলে থাকা রুপোর শিবের মাথায় নিবেদন করেন দই ও ডাবের জল।
910
টানা সাত মিনিট মন্দিরে থেকে মায়ের পুজো সারেন তিনি। মন্ত্র উচ্চারণে সারেন মায়ের অঞ্জলিও। কালীঘাটের মায়ের পায়ে হাত ঠেকিয়ে প্রণামও সারেন তিনি। এরপর নিজের হাতে প্রদীপ তুলে নিয়ে করেন মায়ের অঞ্জলি। অঞ্জলি শেষে হাত পেতে মায়ের চরণামৃতও পান করেন কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্রমন্ত্রী।
1010
পুজো শেষে মন্দিরের প্রদক্ষিণের পর পুরোহিতকে হাজার এক টাকা দক্ষিণা দেন তিনি। মন্দিরে থাকার সময় প্রসাদী পেঁড়ারও মুখে দেন। এরপর বেলা ঠিক ৩টে ৩৯ মিনিটে মায়ের গর্ভগৃহ থেকে বেরিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ।