বিপদ নন-দলে মুকুল সম্পদ,দেরিতে হলেও বুঝছেন দিলীপ
বরফ গলছে বিজেপিতে। অবশেষে দলে 'মিলে গেল' দুই মেরু। গেরুয়া ব্রিগেডে দিলীপ-মুকুলকে মেলাতে কাছে আনলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। পরিস্থিতি এমনই আমিত্ব ছেড়ে এখন সবাইকে নিয়ে চলার কথা বলছেন দিলীপ। খোদ রাজ্য বিজেপির সভাপতি বললেন, মুকুল দার সঙ্গে বনিবানার কোনও অভাব নেই। দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আসলে মিথ্যে প্রচার।
- FB
- TW
- Linkdin
করোনা, আমফান, রেশন দুর্নীতি নিয়ে এই মুহূর্তে 'ব্যাকফুটে তৃণমূল'। রাজ্য়ে গদি দখলের দৌড়ে বিরোধীধের মধ্য়ে সবার আগে নাম রয়েছে বিজেপির। কিন্তু ২০২১-এর নির্বাচনের আগে দলে দিলীপ-মুকুল দ্বন্দ্বে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে গেরুয়া ব্রিগেডের। ঘাসফুল থেকে পদ্মফুলে আসা মুকুলপন্থী অনেক নেতাই এখন দোটানায়। যার সুযোগ নিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপিতে কোণঠাসা একের পর এক প্রাক্তন তৃণমূল নেতারা ঘরে ফিরছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে মুকুল ঘাসফুলে ফিরলেও অবাক হবে না বিজেপি।
রাজ্য় রাজনীতির সাম্প্রতিক অতীত বলছে,অন্য কথা। দিল্লির মিটিং ছেড়ে মুকুল রায়ের কলকাতা আসার পর অন্য ইঙ্গিত করেছিলেন দিলীপবাবু। সাংবাদিকরা দলে মুকুলের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, দলে যোগ্য়তার প্রমাণ দিতে হয়। নাম না করে মুকুল রায় দলে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারেননি বলেই উল্লেখ করেছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ।
সম্প্রতি 'আমার পরিবার, বিজেপি পরিবার' ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কিছুদিন ধরেই এ সব নিয়ে মিথ্যা প্রচার চলছে। দলে কোনও বনিবনার অভাব নেই। মুকুল দার সঙ্গেও না। সব ঠিক আছে।'
খোদ আরএসএস-এর আস্থাভাজন হলেও গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য়ে এসে মুকুল রায়ের প্রশংসা করেছেন খোদ অমিত শাহ। এমনকী নরেন্দ্র মোদীরও সুনজরে রয়েছেন মুকুল। যা রাজ্য় সভাপতি হয়েও বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন দিলীপ ঘোষ।
কদিন আগেই 'ঘর ওয়াপসি'র ব্রিগেডে নাম লিখিয়েছেন উত্তরবঙ্গের দাপুটে নেতা বিপ্লব মিত্র। উত্তরবঙ্গের প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতার পরই একই পথে হেঁটেছেন হুমায়ূন কবীর। যা দেখে টনক নড়েছে দিলীপ ব্রিগেডের। মুখে এরা গেলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না বললেও এ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন রাজ্য় বিজেপির কান্ডারি। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জবাব দিতে হবে রাজ্য় সভাপতিকে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এদের দল ছাড়া চিন্তায় রাখছে রাজ্য় বিজেপিকে।