জলমগ্ন দক্ষিণ কলকাতা, নজরদারিতে শুকনো রাস্তায় উড়ল ড্রোন, দেখুন ছবি
- FB
- TW
- Linkdin
নিম্নচাপের জেরে অবিরাম বৃষ্টিতে বেহাল অবস্থা বেহালায়। জলের তলায় ঠাকুরপুকুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এদিকে কার্যত জল নিকাশি ব্য়বস্থারও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে, অভিযোগ এলাকাবাসীর।
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন ঠাকুরপুকুর কালিতলা ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ড। এলাকায় বহু বাড়িতে জল ঢুকে গেছে। জলের মধ্যেই চলছে বিছানার উপর রান্নাবান্না খাওয়া-দাওয়া। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ স্থানীয় কাউন্সিলর কোনদিনও তাঁদের দিকে ফিরেও তাকায়নি বলে অভিযোগ।
১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটা রাস্তার হাল ঘূর্ণীঝড় আম্ফান হওয়ার পর আর ফেরেনি। উল্টে এখন সেই রাস্তা জলের তলায়। কলকাতা পুরসভা থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অভিযোগ জানালেন মৃণাল কান্তি কর্মকার। এদিকে হাটু জল পেরিয়ে যাতায়ত করতে গিয়ে করোনা আবহে জ্বর আসার আশঙ্কার কথাও জানালেন তিনি।
রান্নাঘরে ঢুকছে বাইরের নোঙরা জল। তারই মাঝে বাধ্য রান্না করছে অসহায় বৃদ্ধা মা। কেউই এগিয়ে আসেনি।
ঠাকুরপুকুরের এই পরিবারও বড় অসহায়। ঘরে ছোট ছোট বাচ্চা। এদিকে মেঝেতে জল। করোনা আবহে এদিকে জলে ভিজে যদি ঠান্ডা লেগে যায় সেই চিন্তাও মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
এদেরও খাটের নীচে জল। বাধ্য হয়ে রান্না করছেন তাই খাটের উপরেই। এই এলাকাও ঠাকুরপুকুরেই অবস্থিত। কবে এই জল নাববে সেটাও তারা জানেনা। তাদের আশঙ্কা এরপর যদি বৃষ্টি বাড়ে এলাকা পুরো ভেসে যাবে। যদিও হাওয়া অফিস জানিয়েছে নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি এখনও জারি থাকবে।
গত সপ্তাহে ঠাকুরপুকুর ১২৪ নারকেল বাগান, বিদ্যাসাগর পল্লী, নেতাজি পল্লী, বকুল বীথি, পূর্বাচলের পুরো এলাকাও জলের তলায় চলে যায়। বাধ্য হয়ে ২১ অগাস্ট শুক্রবার যাতায়াতের জন্য এলাকায় নামাতে হয়েছিল নৌকা।
এই ব্যক্তি কোনও ঘরের কলের জন গামলায় করে ফেলছেন না। ঘরে মেঝে জলের তলায়। সেই জলই গামলা দিয়ে টেনে তুলে বাইরে ফেলছেন। এদিকে আবার বৃষ্টি শুরু হলে ফের জলে ভরে যাচ্ছে।
এদিকে পর্ণশ্রী থানা এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে ক্য়ামেরার ডিসপ্লে বোর্ডে চোখ রেখে এলাকা পরিস্থিতির দিকে নজরদারি চালানো হচ্ছে।