কলকাতার কোথায় কোথায় নতুন কনটেনমেন্ট জোন, দেখে নিন সেই ছবি
রাজ্যে ক্রমশই বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্য়াও। সংক্রমণের গড়ও ১০০০ ছুঁতে চলেছে। তাই করোনা রুখতে এবার রাজ্য়ের কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে ফের কড়া লকডাউন ঘোষণা করেছে নবান্ন। ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে এই নির্দেশিকা জারি হবে রাজ্য়ে। যে কোনও ধরনের জমায়েতেও কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কন্টেনমেন্ট জোনের লোকজন যাতে বাইরে বেরোতে না পারেন সেটাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, কন্টেনমেন্ট এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেতে যাতে অসুবিধা না হয়, দেখার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। একবার দেখে নেওয়া যাক ৮ জুলাই-এর পর কোথায় কোথায় কলকাতার নতুন কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
রাজ্যে ক্রমশই বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্য়াও। সংক্রমণের গড়ও ১০০০ ছুঁতে চলেছে।
করোনা রুখতে এবার রাজ্য়ের কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে ফের কড়া লকডাউন ঘোষণা করেছে নবান্ন। ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে এই নির্দেশিকা জারি হবে রাজ্য়ে।
কন্টেইনমেন্ট জোনে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জানা গিয়েছে, জরুরি নয় এমন পরিষেবা বন্ধ থাকবে কনটেইনমেন্ট জোনে।
কন্টেনমেন্ট জোনের লোকজন যাতে বাইরে বেরোতে না পারেন সেটাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এইসব এলাকায় ঢোকা বেরোনোয় কড়া নিয়ন্ত্রণ থাকবে। প্রতিটি জোনের বাইরে পুলিশি পাহারা বাড়ানো হয়েছে।
লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, কন্টেনমেন্ট এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেতে যাতে অসুবিধা না হয়, দেখার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার।
এই সব কন্টেনমেন্ট জোনে যাতে লকডাউন কঠোর ভাবে মানা হয়, তার জন্যে বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। কোনও সমস্যায় পড়লে ১০০ ডায়ালে করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
যাতে দ্রুত লকডাউন করা যায়, তাই পুর প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পুলিশকে কাজ করতে বলা হয়েছে। পাশপাশি, থানাগুলিকে বলা হয়েছে তাদের এলাকায় করোনা আক্রান্তদের খোঁজখবর নিয়ে পুরসভাকে জানাতে।
রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, এবার মাস্ক না পড়লে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জরুরী পণ্য বাড়িতে পাঠানো হবে। এইসব এলাকার মানুষের অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক নয়। কন্টেইনমেন্ট জোনে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা জানিয়েছেন, কন্টেনমেন্ট এলাকার বয়স্ক বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে আধিকারিকদের। কারও চিকিৎসার প্রয়োজন হলে দ্রুত স্বাস্থ্য দফতরকে জানাতে বলা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, বিভিন্ন ডিভিশনের ডিসি-সহ শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে লালবাজারে বৈঠক করেছেন সিপি। বৈঠকে পুলিশ কমিশনার শহরের প্রতিটি কন্টেনমেন্ট জোনের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন ডিসিদের কাছে।
প্রশাসনের যুক্তি অনুযায়ী, করোনা সংক্রমিত এলাকা 'এ' জোন এবং বাফার জোন অর্থাৎ 'বি' জোনকে নিয়ে এই লকডাউন।
প্রতিদিনের আক্রান্তের পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী কন্টেনমেন্ট জোনের বদল হবে। আপাতত লকডাউন চলবে সাতদিন, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।