- Home
- West Bengal
- Kolkata
- অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া ২ লক্ষের বেশি, জেনে নিন কী এই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স যাতে চেপে ভুবনেশ্বর গেলেন পার্থ
অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া ২ লক্ষের বেশি, জেনে নিন কী এই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স যাতে চেপে ভুবনেশ্বর গেলেন পার্থ
- FB
- TW
- Linkdin
২১ কোটির রহস্য সমাধান করতে গিয়ে মেলে গল্পের আসল নায়কের খোঁজ। তিনি হলেন তৃণমূলের মন্ত্রী সভার বিশিষ্ট সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরিশ্রম করে উপার্জন নয়, বরং বন্ধু পার্থর কাছ থেকে উপহার হিসেবে এই কোটি কোটি টাকা পেয়েছেন নায়িকা। সর্বত্র সৎ ও সজ্জন ব্যক্তির পোশাক ধারী পার্থর আসল চেহারা। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় মন্ত্রীর। ব্যাস শুরু হয় তদন্ত।
শুধু ২১ কোটি টাকাই নয়। একে একে অর্পির বাড়ি থেকে উদ্বার হয় ১৮টি মোবাইল ফোন ও প্রচুর সোনার গয়না। তদন্তে উঠে এসেছে এই সবই পার্থ চটোপধ্যায়ের থেকে পেয়েছিলেন অর্পিতা। এখানেই শেষ নয়, এই জল গড়িয়েছে অনেক দূর যায়। অর্পিতা ছাড়া আরও এক বিশেষ বন্ধু ও তাকে দেওয়া সম্পত্তির কথা সামনে আসে।
এর পর গ্রেফতার হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে নিয়ে গেলে নিম্ন আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানোর। কিন্তু, আদালতের এই আদেশ উপেক্ষা করা ইডি। ভুবনেশ্বর নিয়ে যাবে ঠিক করে পার্থকে। এরপরই শুরু হয় তোড়জোড়। স্থলপথে ভুবনেশ্বর গেলে দীর্ঘ সময় লাগব। সে কারণে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়ার সদ্ধান্ত নেন।
কলকাতা বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে আজ ভুবনেশ্বর উড়ে গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আজ সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ এসএসকেএমন হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সকাল ১০টা নাগাদ পৌঁছান ভুবনেশ্বর। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় মন্ত্রীর।
সেই মতো আজ সকাল সাড়ে সাতটান রওনা দেয় পুরো টিম। আর ভুবনেশ্বরে পৌঁছায় ১০টা নাগাদ। সেখানে এইমসের প্রাইভেচ ওয়ার্ড ওয়ানের ১০ নম্বর বেডে রাখা হয়েছিল মন্ত্রীকে। হাসপাতাল পৌঁছানোর পর প্রথমে তাঁকে জরুরি বিভাগে এনে কিছু পরীক্ষা করা হয়। তারপর কার্ডিওলজি সংক্রান্ত পরীক্ষা করা হয়।
যাবতীয় পরীক্ষা করে দেখা হয় তিনি কোনও অসুখে ভুগছেন কি না। তাঁকে তাঁর অসুস্থতা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় সঙ্গে কী কী ওষুধ খান এই সব বিষয় তথ্য নেওয়া হয়। সেই অনুসারে রিপোর্ট দেয়। রিপোর্ট অনুসারে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভর্তির প্রয়োজন নেই। তার বুকে ব্যথাও নেই। শুধু ওষুধ খেতে হবে বলে জানানো হয়।
তবে, জানেন কি প্রায় ২ লক্ষ টাকার বেশি খরচ করে আজ ভুবনেশ্বরে গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্থলপথে অ্যাম্বুল্যান্সে করে ভুবনেশ্বর গেলে সময় লাগত দশ ঘন্টা। সেই ১০ ঘন্টার রাস্তা দেড় থেকে দু ঘন্টায় পৌঁছালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর এই কারণে ব্যয় করলেন প্রায় ২ লক্ষ টাকার অধিক।
এখন প্রশ্ন হল এই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে এমন কী আছে যার এত মূল্য। জানা গিয়েছে, শুধু মাত্রা অসুস্থ ব্যক্তিদের এই ধরনের প্লেনে নিয়ে যাওয়া হয়। রোগীরা যাতে সময়ের মধ্যে চিকিৎসাস্থলে পৌঁছাতে পারেন তাই এই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। এই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে চিকিৎসার যাবতীয় সরঞ্জাম আছে।
এতে করে ১ ঘন্টার মধ্যে গম্তব্যস্থলে পৌঁছাতে ১ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এই খরচ সম্পূর্ণ নির্ভর করে দূরত্বের ওপর। তবে, দুধরনের এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স আছে ভারতে। টার্বো পপ রেসকিউ প্লেন ও জেট এয়ারক্রাফ্ট। টার্বো পপ রেসকিউ প্লেন ব্যবহৃত হয় কম দূরত্বের জন্য। তেমনই জেট এয়ারক্রাফ্ট বেশি দূরত্বে যায়।
জেট এয়ারক্রাফ্ট আকারে তুলনামূলক বড়। আর এটি বেশি দূরত্বের পথে যায়। ২০২২ সালের এক গণনা অনুসারে মোট ৪০টি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স আছে ভারতের। ১৯টি সংস্থ্যা মাধ্যমে তা ব্যবহার করা হয়। আর সেই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স করেই ভুবনেশ্বর গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।