- Home
- West Bengal
- Kolkata
- এক প্রিয়ঙ্কা এখন পারিবারিক ব্যাবসায়, আর এক প্রিয়াঙ্কা শ্রীঘরে, রিজওয়ানুরের মতো হাল হবে না তো জুনিয়ার হত্যার
এক প্রিয়ঙ্কা এখন পারিবারিক ব্যাবসায়, আর এক প্রিয়াঙ্কা শ্রীঘরে, রিজওয়ানুরের মতো হাল হবে না তো জুনিয়ার হত্যার
- FB
- TW
- Linkdin
এমসিএ পাশ। সেইসঙ্গে এক আইটি সংস্থার ভালো মাইনের চাকরি। তরুণ জুনিয়ার মনের কোঠায় বেঁধে ফেলেছিল হাজারো স্বপ্ন। যেমন স্বপ্ন সকলেই দেখে থাকে। এক উজ্জ্বল এবং আনন্দের ভবিষ্যত। সুন্দর একটা পরিবার এবং অবশ্যই মনের মতো এক সঙ্গী। হাই-সোসাইটির গ্ল্যামারের বিচ্ছুরণ ছড়ানো প্রিয়াঙ্কা-র আবেদনও স্বাভাবিকভাবে প্রলুব্ধ করেছিল জুনিয়ারকে। তাই বন্ধুত্বের গভীরতায় প্রিয়াঙ্কা-র সঙ্গেই এই উজ্জ্বল স্বপ্নের সওয়ারি হয়েছিলেন জুনিয়ার। তারমধ্যে প্রিয়াঙ্কা তাঁর জীবনের আসল সত্য এবং বিবাহিত হওয়ার খবরটা চেপে যাওয়ায় জুনিয়ার আরও বেশি করে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন।
জুনিয়ার-প্রিয়ঙ্কাকাণ্ডে-র কয়েক বছর আগেই ঘটেছিল রিজওয়ানু রহমান ও প্রিয়ঙ্কার টোডির কাহিনি। যেখানে এক উচ্চবর্ণ এবং বিশাল উচ্চবিত্ত ব্যবসায়ী ঘরের তরুণী প্রিয়ঙ্কা টোডি বিয়ে করেছিলেন তাঁরই মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের শিক্ষক তরুণ রিজওয়ানুর রহমান-কে। রিজওয়ানুরের পরিবার এই বিয়ে স্বীকৃতি দিলেও পরিস্কার না বলে দিয়েছিল প্রিয়ঙ্কার পরিবার। ক্ষমতাবলে লালবাজারের একগুচ্ছ পুলিশ অফিসার-কে দিয়ে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিল প্রিয়ঙ্কার পরিবার। এমনকী লালবাজারের ডিসি ডিডি-র ঘরে ডেকে মুচলেকায় সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অর্থে বলীয়ানদের নিরন্তর চাপ এবং পুলিশের অমানুষিক চাপে ভেঙে পড়েছিলেন রিজওয়ানুর। শিয়ালদহ মেন শাখায় পাতিপুকুরে রেললাইনে মিলেছিল রিজওয়ানুরের ক্ষতবিক্ষত দেহ।
রিজওয়ানুরকাণ্ড শুধু একটা ঘটনার বা সাধারণ মানুষের আবেগের বিস্ফোরণ ছিল না, বলতে গেলে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের পটপরিবর্তনে একটা অনুঘটকও হয়ে গিয়েছিল। রিজওয়ানুকাণ্ডকে ঘিরে রাজনৈতিক মাইলেজ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছেলে হারানো হাহাকারভরা মা-এর আর্তনাদের পাশে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর তীব্র বিরোধিতায় মুখ পুড়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন বাম সরকারের। খোদ পুলিশমন্ত্রী হিসাবে ভর্ৎসনার শিকার হয়েছিলেন বুদ্ধদেব। পদ থেকে সরিয়ে দিতে হয়েছিল কলকাতা পুলিশের কমিশনার প্রসূন মুখোপাধ্যায়, এবং দুই অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিং ও অজয় কুমার। সাসপেন্ড করতে হয়েছিল ডিসি ডিডি থেকে শুরু করে কড়েয়া থানার কয়েক জন পুলিশ কর্তাকে।