- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- ঘামের কারণে গোপনাঙ্গে চুলকানি সংক্রমণ, মুক্তি পাবেন কয়েকটি অব্যর্থ এই ঘরোয়া টোটকায়
ঘামের কারণে গোপনাঙ্গে চুলকানি সংক্রমণ, মুক্তি পাবেন কয়েকটি অব্যর্থ এই ঘরোয়া টোটকায়
- FB
- TW
- Linkdin
গরম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ঘামের কারণে যৌনাঙ্গে আর্দ্রতা বেড়ে যায়, যার কারণে সমস্যা বাড়তে থাকে। যোনিতে চুলকানি, সংক্রমণ, ফুসকুড়ি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে, ফুলে যাওয়ার মত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মেয়েদের। এই সমস্যাগুলি এড়াতে, সেই জায়গাটি পরিষ্কার এবং শুকনো রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে বাজারে প্রাইভেট পার্টস পরিষ্কারের জন্য হাজার হাজার প্রোডাক্টস রয়েছে, তবে ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ অনুসারে, বাজার থেকে কেনা কিছু প্রোডাক্টস প্রাইভেট পার্ট এলাকায় সমস্যা দূর করার বদলে নতুন করে তৈরি করতে পারে।
আয়ুষ মন্ত্রকের রাষ্ট্রীয় আয়ুর্বেদ বিদ্যাপীঠের অধ্যাপক অচ্যুত ত্রিপাঠির মতে, বাজারে যে সমস্ত ওষুধ তৈরি হয় তা আলাদা ফর্মুলায় তৈরি হয়। তিনি বলেন, খাঁটি ভেষজ ব্যবহার করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। এ ছাড়া একজন ভালো চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করুন। প্রাইভেট পার্ট এলাকায় সমস্যা দূর করার ও পরিষ্কার রাখার উপায় জানার জন্য।
নিমের জল- নিমের এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গোপনাঙ্গের চুলকানি, ছত্রাকের সংক্রমণ দূর করে। কিছু নিম পাতা জলেতে ফুটিয়ে তা দিয়ে গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করুন। ২ থেকে ৩ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। অফিস থেকে ফিরে কুসুম গরম জল দিয়ে আবার গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করুন।
নিম ছাড়াও কারি পাতা, বেরি এবং মিষ্টি নিম পাতা জলতে সিদ্ধ করে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি সংক্রমণ থেকে চুলকানি দূর করতেও কাজ করে। তবে এই উপায় তাদের জন্য যাদের কোনও অতিরিক্ত সমস্যা নেই।
গোপনাঙ্গ পরিষ্কার রাখতে গরম জলের চা চামচ লবন ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না। লবন ছাড়াও, নারকেল দিয়ে তৈরি সাবানও ব্যবহার করা যেতে পারে এবং পরে হালকা গরম জল দিয়ে জায়গাটি ধুয়ে ফেলতে পারে। এটিও ত্বক ভালো রাখে।
দিনে দুই থেকে তিন লিটার জল পান করলেও চুলকানি, সংক্রমণের সমস্যা চলে যায়। এছাড়াও, মনে রাখবেন যে স্নান করার সময়, গোপনাঙ্গটি সঠিকভাবে পরিষ্কার করুন, যাতে কোনও ধরণের ত্বকে সংক্রমণ না হয়।
গোপনাঙ্গ থেকে নিঃসৃত নিঃসরণ নিজেই সেই পরিষ্কার করে, কিন্তু তারপরও যদি চুলকানি এবং সংক্রমণের সমস্যা থেকে থাকে, তবে সুগন্ধযুক্ত সাবান একেবারেই ব্যবহার করবেন না। এই জাতীয় প্রোডাক্টস গোপনাঙ্গে ভাল ব্যাকটেরিয়া এবং pH এর ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে এবং গুরুতর ক্ষেত্রে জ্বালা এবং প্রদাহ হতে পারে। এছাড়া গরমের সময় ঢিলেঢালা পোশাক পরার চেষ্টা করুন।
গরুর ঘি শরীরের অনেক রোগ দূর করতে সহায়ক। আয়ুর্দেব বিশেযজ্ঞদের মতে, গরুর ঘি হালকা গরম করে তুলায় ভিজিয়ে যৌনাঙ্গে রাতে দিয়ে রাখুন। সেই ঘি থেকে গোপনাঙ্গের শুষ্কতা দূর হবে। তবে অতিরিক্ত কোনও সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।