লকডাউনে জামাইষষ্ঠী, কব্জি ডুবিয়ে খেতে বসার আগে চোখ রাখুন এই টিপসে
- FB
- TW
- Linkdin
যারা পাশাপাশি রয়েছেন তারা আজকের দিনের শুরু থেকেই শ্বশুরবাড়িতে। সকালের জলখাবার থেকে রাতের ডিনার পুরো দিনটাতেই জমিয়ে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া। তাই সকালের লুচি,ছোলার ডাল খাওয়ার আগেও কিছু জিনিস মাথায় রাখুন।
সকালের জলখাবার খাওয়ার সময় পুরো পেট ভরে খেলে হবে না। কব্জি ডুবিয়ে দুপুরে খেতে হলে সকালের খাবার পেট খালি রেখেই খেতে হবে। কারণ একবার অ্যাসিডিটি হলে গেলে পুরো দিনটাই বৃথা।
দুপুরে খেতে বসার আগে এক গ্লাস জল খেয়ে নিন। তার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর খাওয়া শুরু করুন। তবে দুপুরে খাওয়ার সময়ও ভাত বেশি খেলে হবে না। কারণ ভাত বেশি খেল অন্যান্য খাবার কিন্তু ঠিকমতো খেতে পারবেন না।
তাই ভাতের পরিমাণ কমিয়ে মাছ, মাংস , আরও অন্যান্য সব পদ পেট ভরে খান। মাছ মাংস খাওয়ার সময়ও বুঝে শুনে খান।
এমনিতেই গরম তার উপর করোনা আতঙ্ক, এই দুটোই মাথায় রাখতে হবে। মাছ, মাংস যতই সুস্বাদু করে শাশুড়ি রান্না করুক না কেন ওজন বুঝে ভোজন করতে হবে।
সমস্ত খাবারের মধ্যে স্যালাড অবশ্যই থাকবে। তাই স্যালাডটা পরিমাণে বেশি খেতে হবে। চাইলে শাশুড়ি মায়ের থেকে আরওএকটু চেয়ে নিতে হবে। এতে যেমন হজমের সমস্যা হবে না তেমনি খাবারও বেশি পরিমাণে খেতে পারবেন।
এবার আসা যাক মিষ্টি। জামাইষষ্ঠী স্পেশ্যালে মিষ্টি মুখ হবে না এটা হয় না। কিন্তু ভুল করেও মিষ্টি খাবারের শেষে খাবেন না। সন্ধ্যেবেলা বা বিকেল বেলা মিষ্টি খান। তবে তখনও লোভে পরে সব মিষ্টি খেয়ে ফেলবেন না যেন।
গুরুপাক খাওয়া-দাওয়ার সময় একদম জল খাবেন না। এতে পেটও যেমন ভরে যাবে, তেমনই আবার বদহজমও হতে পারে। তার খাওয়ার শেষে লেবুর জল খেতে পারে। এতে হজম ভাল হবে।
খাওয়ার শেষ পাতে রায়তা খেয়ে নিন। দেখবেন সব সমস্যার সমাধান। অনেকে কাজের চাপে দুপুরে না গিয়ে রাতে জামাইষষ্ঠী করতে যান। এক্ষেত্রে সাবধান। রাতের বেলা এত গুরুপাক খাবার না খাওয়াই ভাল। এতে শরীরে নানা রকমের সমস্যা হতে পারে। তাই যারা রাতের বেলা যাবেন তারা খুব বুঝে শুনেই খাবার খাবেন।