মধুর নামে চিনির সিরাপ খাচ্ছেন না তো, জেনে নিন কিভাবে চিনবেন খাঁটি মধু
এখন বাজারে নানা ধরনের মধু পাওয়া যায়। কখনওবা সুন্দরবনের খাঁটি মধুর নাম দিয়ে ভেজাল, রাসায়নিকযুক্ত উপাদান বিক্রি করাও হয়। প্রাচীন কাল থেকেই গ্রিস ও মিশরে ক্ষত সারানোর কাজে মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে।মধু একটি উচ্চ ওষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এতে রয়েছে একাধিক রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। মধুর স্বাস্থ্যগত উপকারিতা সম্পর্কে কম বেশি আমরা সবাই জানি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মধু ও দারচিনির মিশ্রণ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। পিত্ত থলির সংক্রমণ রোধ করতে, বাতের ব্যথায়, মুখের দুর্গন্ধ কাটাতে, এমনকি শরীরের বাড়তি ওজন কমাতেও মধু খুবই কার্যকরী উপাদান। মধু কখনও নষ্ট হয় না। কিন্তু কী করে জানবেন যে মধুটি খাঁটি কিনা। শুধু তাই নয়, অনেক নামী সংস্থার প্রক্রিয়াজাত মধুতেও মেলে ভেজাল। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক খাঁটি মধু চিনে নেওয়ার কয়েকটি সহজ উপায়।
| Published : Dec 23 2020, 03:18 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
অনেকদিন ধরে মধু রেখে দিলে তাতে চিনি জমতে দেখা যায়। তবে পাত্র সহ মধু গরম জলে কিছুক্ষণ রেখে দিন। যদি চিনি গলে মধু আবার স্বাভাবিক হয়ে আসে তবে সেটি খাঁটি, নকল মধুর ক্ষেত্রে তা হবে না।
এক টুকরো ব্লটিং পেপার নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা মধু দিন। যদি কাগজ তা সম্পূর্ণ শুষে নেয়, তবে মধুটি নকল।
এক টুকরো সাদা কাপড়ে মধু মাখিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি দাগ থেকে যায়, বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়।
মোমবাতির সলতে নিয়ে মধুতে ডুবিয়ে আগুনে জ্বালানোর চেষ্টা করুন। যদি জ্বলে ওঠে, তাহলে বুঝবেন যে মধু খাঁটি।
আর যদি না জ্বলে, বুঝবেন যে মধুতে জল মেশানো আছে।
খাঁটি মধুর গন্ধ হবে মিষ্টি ও আকর্ষণীয়। মধুর স্বাদ হবে মিষ্টি, এতে কোনও ঝাঁঝালো ভাব থাকবে না। মধুতে কখনও কটু গন্ধ থাকবে না।
গ্লাসে বা পাত্রে খানিকটা জল নিন। তার মধ্যে এক চামচ মধু দিন। যদি মধু জলের সঙ্গে সহজেই মিশে যায়, তাহলে বুঝবেন যে এটা অবশ্যই নকল।
আসল মধুর ঘনত্ব জলের চাইতে অনেক বেশী, তাই মধু সহজে জলে মিশবে না। খাঁটি মধু জলে মিশতে একটু সময় লাগে।