ভারতের অনন্য গ্রাম, যেখানে বেশিরভাগ হয় যমজ সন্তান, হতবাক গবেষকরাও
- FB
- TW
- Linkdin
এই পৃথিবী রহস্যে ভরা। তবে সময়ে সময়ে অনেক রহস্যও উন্মোচিত হয়েছে। কিন্তু, আজ পর্যন্ত অনেকেরই রহস্যের সমাধান করা যায়নি। আজ আমরা আপনাকে ভারতের এমনই এক গ্রামের কথা বলতে যাচ্ছি, যার রহস্য আজ পর্যন্ত সমাধান করা যায়নি। শুধু তাই নয়, বড় বড় চিকিৎসকরাও এই সত্যের কথা জেনে অবাক। তো চলুন জেনে নেই এই গ্রাম সম্পর্কে কিছু মজার কথা।
অন্যান্য গ্রামের মতো ভারতের এই গ্রামটিও খুবই সাধারণ। কিন্তু, সন্তান জন্ম নিয়ে এমনই এক কাহিনি রয়েছে, যা চমকে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। কেরালার মালাপুরম জেলায় অবস্থিত এই গ্রামের নাম কোডিনহি। এই গ্রামে মোট দুই হাজার পরিবারের বসবাস। এই গ্রামের বিশেষত্ব হল এখানকার বেশিরভাগ শিশুই যমজ।
দেশে এমন একটি গ্রামও রয়েছে যেখানে সর্বাধিক সংখ্যক যমজ সন্তানের জন্ম হয়। কেন কেরালার মানাপ্পাপুরম জেলার কোডিনি গ্রামে সর্বাধিক সংখ্যক যমজ শিশুর জন্ম হয় তা এখনও বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্য। দ্য নিউজ মিনিটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০০ পরিবারের এই গ্রামে ৪০০ জোড়া যমজ সন্তান রয়েছে। এই গ্রামটি টুইন ভিলেজ নামেও পরিচিত।
দ্য নিউজ মিনিটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গ্রামে বসবাসকারী ৪৬ বছর বয়সী শামসাদ বেগম জানান, ১৯ বছর আগে তাদের যমজ কন্যা সন্তান হয়। তাদের নাম রাখা হয়েছে শাহজারা ও ইশানা। তিনি বলেন, সংসারে দ্বিগুণ সুখ পাবেন তা কখনো ভাবেননি। তাদের গত পাঁচ প্রজন্মের মধ্যে কোনও যমজ সন্তানের জন্ম হয়নি। বিয়ের পর, ২০০০ সালে, তিনি তার স্বামীর সঙ্গে গ্রামে চলে যান।
যমজ সন্তান কারও জন্য আনন্দের কারণ এবং কারও জন্য আর্থিক সমস্যার কারণ বলে মনে করেন এই গ্রামের বাসিন্দারা। অভিলাষ, যিনি একজন অটোরিকশা চালক হিসাবে কাজ করেন, বলেন যে তার দুটি যমজ সন্তান হয়েছে। তাদের উদ্বেগের কারণ হল রাজ্য সরকার এই জাতীয় পরিবারগুলিকে কোনও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা করেনি। এখন আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটছে ৪ সন্তানের জন্ম হওয়ার পর।
কেন এই গ্রামে এত যমজ শিশুর জন্ম হয় তা বোঝার জন্য অনেক নামী প্রতিষ্ঠান গবেষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি, ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন, হায়দ্রাবাদ, কেরালা ইউনিভার্সিটি অফ ফিশারিজ অ্যান্ড ওশান স্টাডিজ। এই রহস্য সমাধানের জন্য গবেষকরা লালা ও চুলের নমুনা নেন এবং সেগুলোর মাধ্যমে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়।
কেরালা ইউনিভার্সিটি অফ ফিশারিজ অ্যান্ড ওশান স্টাডিজের গবেষক প্রফেসর ই প্রীতম বলছেন, অনেক বিজ্ঞানীও বিশ্বাস করেন যে জেনেটিক কারণেই এমনটা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় চমকপ্রদ কিছু পাওয়া যায়নি, যাতে প্রমাণ করা যায় কেন এই গ্রামে এত যমজ সন্তান রয়েছে।