- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- Work From Home-এর ফলে পেট ফোলা ভাবের সমস্যায় ভুগছেন, সমস্যা এড়াতে পাতে রাখুন এই খাদ্যগুলি
Work From Home-এর ফলে পেট ফোলা ভাবের সমস্যায় ভুগছেন, সমস্যা এড়াতে পাতে রাখুন এই খাদ্যগুলি
- FB
- TW
- Linkdin
করোনা আতঙ্কের মধ্যেও এখনও বহু সংস্থা বাড়ি থেকে কাজ (Work From Home) পক্রিয়াতেই কাজ করছে। বেশিরভাগ কোম্পানি তাদের কর্মীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাড়ি থেকে কাজ (Work From Home) করার কিছু সুবিধা থাকলেও এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এর ফলে মানুষের জীবনধারা সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হয়েছে, কারণ তারা এমন অভ্যাসে জড়িয়ে পড়েছে, যা স্বাস্থ্য এবং চেহারা উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুধু তাই নয়, কম শারীরিক পরিশ্রমের কারণে নানা রোগ মানুষকে গ্রাস করছে। এসব রোগের মধ্যে থাইরয়েড, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তে শর্করার নাম রয়েছে। এসব রোগ ছাড়াও একটি অতি সাধারণ রোগ রয়েছে যা এই কারণে বেশিরভাগ মানুষকেই গ্রাস করছে, আর তা হল স্থূলতা।
এখন মানুষ খাওয়ার পর ভারী হওয়ার অভিযোগ করতে শুরু করেছে। এই স্থূলতার কারণে, অনেকেই দৈহিক কাজ করতে পছন্দ করেন না এবং এটি তার কাজের উত্পাদনশীলতাকে প্রভাবিত করছে। প্রসঙ্গত, এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলো খেলে পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখা যায়। পাশাপাশি এই স্থূলতার থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব এবং পেট ফোলা ভাব কমাতেও সাহায্য করবে এই খাবারগুলি। জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার রয়েছে এই তালিকায়-
ভিটামিন এবং মিনারেল ছাড়াও আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আসলে, হজম সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে ফাইবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং তাই ডাক্তাররাও দিনে একবার আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। আপনি চাইলে দিনে একবার আপেলের রসও খেতে পারেন। প্রসঙ্গত, আপেল যদি নিয়মিত খাওয়া হয়, তাহলে তা মুখের উজ্জ্বলতাও বজায় রাখে।
ঘরে বসে কাজ করার সময়, একবারে আপনার খাবারের পরিমান খুব বেশি রাখা যাবে না। চেষ্টা করবেন পরিমানে কম খেতে। বেশি পরিমানে খাওয়া পেট ফোলা ভাব সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর জন্য ডায়েটে অবশ্যই পাকা পেঁপে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এতে ভিটামিন এ, বি এবং সি পাওয়া যায়। এটি চোখের ব্যথা এবং মাথা ব্যাথাতেও উপশম দেয়।
পেটের ভারি ভাব থেকে মুক্তি পেতে খাবার খাওয়ার সময় এর সঙ্গে দই খাওয়াই ভালো। বলা হয়ে থাকে যে দই খাওয়া একটি ভালো পরিপাকতন্ত্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে। সুস্বাদু হওয়ায় শিশুরাও খেতে পছন্দ করে। শীতকালে, বিকেলে এটি খাওয়া সঠিক বলে মনে করা হয়।
এতে রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। এই উপাদানগুলি খাবার হজম করতে সহায়ক। এর পাশাপাশি বিটরুট আরও অনেক রোগকে শরীর থেকে দূরে রাখে। আপনি যদি এটিকে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে চান তবে আপনি এটি সালাদ আকারে বা এর রস বের করার পরেও পান করতে পারেন।
আপনি যদি পেটে ভারি ভাবের সম্মুখীন হতে না চান, তাহলে অবশ্যই দিনে একবার ওটস খান। এটি খুব হালকা এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা সৃষ্টি করে না। ফাইবার স্বাস্থ্যকর পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভালো এবং ওটস এটিতে সমৃদ্ধ। আপনি যদি ওটস পোরিজকে আরও স্বাস্থ্যকর করতে চান, তবে আপনি এটি তৈরি করার সময় গাজর এবং সবুজ শাকসবজিও এর সঙ্গে রাখতে পারেন।